SSKM Vaccine Crisis : 'রবিবার রাত থেকে অপেক্ষায়' , এসএসকেএম-এ এখনও ভ্যাকসিন পেলেন না অনেকেই
পরিস্থিতি এমনই যে, এসএসকেএম হাসপাতালে গত দু’দিন ধরে ভ্যাকসিনের জন্য লাইন দিয়ে রয়েছেন কেউ কেউ।
কলকাতা : শহরে করোনার ভ্যাকসিন সঙ্কট কাটতেই চাইছে না। পরিস্থিতি এমনই যে, এসএসকেএম হাসপাতালে গত দু’দিন ধরে ভ্যাকসিনের জন্য লাইন দিয়ে রয়েছেন কেউ কেউ। এই ভ্যাকসিন গ্রাহকদের বেশিরভাগই হাওড়া থেকে এসেছেন। রবিবার রাত থেকে বসে রয়েছেন তাঁরা। দু’দিন ধরে যাঁরা অপেক্ষা করছেন তাঁদের দাবি, লাইনে বিশৃঙ্খলার জন্য পুলিশ অনেককে সরিয়ে দেয়। ফলে তাঁরা পিছনে পড়ে যান। তাই ভ্যাকসিন পাননি।
গতকালও এসএসকেএমে ভ্যাকসিন হয়রানির অভিযোগে লাইনে বিশৃঙ্খলা হয়। ভ্যাকসিন গ্রহীতাদের দাবি, রবিবার সন্ধে থেকে বিভিন্ন জেলার বাসিন্দারা ভ্যাকসিন নিতে এসেছিলেন। খোলা আকাশের নীচেই মশারি টাঙিয়ে রাত কাটান অনেকে। শুধু একটা ভ্যাকসিনের ডোজ পাওয়ার আশায়। লাইন দিয়ে নামের তালিকা তৈরি করা হলেও অভিযোগ পুলিশ তা নাকচ করে দেয় বলে অভিযোগ। এর ফলে অনেকেই পরে এসে লাইনে আগে দাঁড়িয়ে পড়েছেন বলে দাবি করেন ভ্যাকসিন গ্রহীতাদের একাংশ। সোমবার সকাল থেকে এনিয়ে এসএসকেএম চত্বরে উত্তেজনা ছড়ায়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। SSKM সূত্রে খবর, এদিন কোভিশিল্ডের এক হাজার ডোজ এবং কোভ্যাক্সিনের ১০০টি ডোজ দেওয়া হয়েছে।
এখনও প্রতিদিন দেশজুড়ে বহু মানুষের প্রাণ কাড়ছে করোনা। অথচ ভ্যাকসিন নিয়ে ভোগান্তি চলছেই! সোমবার কোভিড ভ্যাকসিন ক্যাম্পের সামনে বিশৃঙ্খলার ছবি ধরা পড়ে বীরভূমের নলহাটি জুনিয়ার হাই স্কুলে। নলহাটি শহরে ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার কথা ছিল। সেই মতো সোমবার সকাল থেকে ভ্যাকসিন ক্যাম্পের সামনে লম্বা লাইন পড়ে। যখন ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য স্কুলের মেন গেট খুলে দেওয়া হয় তখনই শুরু হয় বিশৃঙ্খলা। পিছনে যারা ছিলেন তারা আগে ঢোকার জন্য হুড়োহুড়ি শুরু হয়। পড়ে যান বেশ কয়েক জন। বেশ কয়েকজন অল্প বিস্তর আহত হন । ঘটনাস্থলে আসে নলহাটি থানার পুলিশ। পুলিশের সামনে ক্ষোভপ্রকাশ করেন গ্রহীতারা। লাইনে থাকা একাংশ ভ্যাকসিন না নিয়ে ফিরে য়ায়।
এরই মধ্যে সুখবর, অগাস্টে রাজ্যে আসছে, প্রায় ৬৪ লক্ষ কোভিশিল্ড। তবে, তা রাজ্যের চাহিদার তুলনায় অনেক কম। অগাস্টে সারা দেশে ৯ কোটি ৮৪ লক্ষ কোভিশিল্ড বণ্টন করবে কেন্দ্র। টিকা প্রাপ্তির তালিকায় ১ নম্বরে বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশ।যোগী রাজ্য পাবে প্রায় ১ কোটি সাড়ে ৩৫ লক্ষ ভ্যাকসিন। দ্বিতীয় স্থানে মহারাষ্ট্র। সেখানে পাঠানো হচ্ছে ৮১ লক্ষের বেশি ভ্যাকসিন। তৃতীয় স্থানে বিহার। প্রতিবেশী রাজ্য পাচ্ছে প্রায় ৬৫ লক্ষ ভ্যাকসিন। চতুর্থস্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। এরাজ্যে আসছে ৬৪ লক্ষ ভ্যাকসিন।
মোট ১৩ দফায় আসবে এই ৬৪ লক্ষ ভ্যাকসিন। রাজ্যে করোনা ভ্যাকসিনের অসম বণ্টনের অভিযোগ নিয়ে মোদি সরকারকে বারবার চিঠি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকেও বেশি টিকা পাঠানোর দাবি জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।