(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
চলন্ত ট্রেনের সামনে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় এক পলিটেকনিক ছাত্রের মৃত্যু
রানাঘাট: সেলফির নেশা ফের কাড়ল তরতাজা প্রাণ। ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু পলিটেকনিক ছাত্রের। মঙ্গলবার সকালে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে নদিয়ার কল্যাণী স্টেশন থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে এই জায়গায়। মৃত ছাত্রের নাম রাকেশ ত্রিগুণা। বয়স ২৩। পলিটেকনিক কলেজের পড়ুয়া। বাড়ি বিহারে। তবে তিনি নদিয়ার কল্যাণীর আনন্দনগরে ভাড়া থাকতেন। সোমবার রাতে রাকেশ বন্ধুদের সঙ্গে পিকনিক করেন। তারপর ভোরে বন্ধুরা মিলে চলে আসেন রেল লাইনের ধারে। হঠাৎই রাকেশ এবং তাঁর এক বন্ধুর ঝোঁক চাপে, তারা চলন্ত ট্রেনের সামনে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলবে। দূর থেকে ডাউন লাইনে আসছিল কৃষ্ণনগর লোকাল। সেই লাইনেই গিয়ে দাঁড়ায় রাকেশ ও তার বন্ধু। পরিকল্পনা ছিল, চলন্ত ট্রেনের একেবারে সামনে থেকে সেলফি তুলে সোশাল সাইটে দেবে। কিন্তু, লাইকের নেশায় তাঁরা বাস্তব ভুলে বসেছিলেন। ঝড়ের গতিতে আসা ট্রেন দু’জনকে নড়াচড়ার সুযোগ দেয়নি। ট্রেনের ধাক্কায় উড়ে গিয়ে পড়েন রাকেশ। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। রাকেশের সঙ্গে সেলফি তুলতে রেললাইনে গিয়েছিলেন তাঁর বন্ধু, নবম শ্রেণির ছাত্র সুরজ মণ্ডলও। ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন। তাঁকে প্রথমে কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতাল ও পরে কলকাতায় এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেলফির নেশা কীভাবে মারণ হয়ে উঠতে পারে, তা এর আগেও দেখেছি আমরা। কিন্তু, তাতেও হুঁশ ফিরছে কই? লাইক, কমেন্টের নেশায় বুঁদ তরুণ প্রজন্মের একাংশ কি অ্যাডভেঞ্চার আর মূর্খামির ফারাকটুকু ভুলতে বসেছে?