(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
ক্ষুদিরাম বসুর ১৩২-তম জন্মদিনে হাতে তেরঙা নিয়ে তমলুকে পদযাত্রা শুভেন্দুর
তমলুক, গড়বেতা, কাঁথিতে পরপর কর্মসূচি নন্দীগ্রামের বিধায়কের
কলকাতা ও মেদিনীপুর: কাঁথির অনুষ্ঠানে গেলেন না শুভেন্দু অধিকারী। ক্ষুদিরাম বসুর ১৩২-তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে সকালে কাঁথি সেন্ট্রাল বাস স্ট্যান্ডের কাছে বিপ্লবীর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান কর্মসূচি ছিল শুভেন্দু অধিকারীর।
কাঁথির অনুষ্ঠানে না গিয়ে সরাসরি তমলুকে শুভেন্দু। তমলুক হাসপাতাল মোড় থেকে হ্যামিলটন হাই স্কুল পর্যন্ত হাতে তেরঙা নিয়ে পদযাত্রা করেন। উদ্যোক্তা তাম্রলিপ্ত জনকল্যাণ সমিতি। যার সভাপতি শুভেন্দু নিজেই। শুভেন্দু অনুগামী তৃণমূলের জেলা সম্পাদক কনিষ্ক পণ্ডার মুখে গেরুয়া মাস্ক, মাথায় গেরুয়া টিকা।
পদযাত্রার পর হাই স্কুল চত্বরে একটি সভা করেন শুভেন্দু। দুপুরে গড়বেতায় ক্ষুদিরাম বসুর একটি মূর্তি উন্মোচন করবেন শুভেন্দু অধিকারী। তার আগে চন্দ্রকোণা থেকে গড়বেতা পর্যন্ত বাইক র্যালি করবেন শুভেন্দুর অনুগামীরা। এছাড়াও, আজ দুপুরে হলদিয়ায় শুভেন্দু অনুগামীদের পদযাত্রা।
পদযাত্রার পর হাই স্কুল চত্বরে একটি সভা করার কথা শুভেন্দুর। দুপুরে গড়বেতায় ক্ষুদিরাম বসুর একটি মূর্তি উন্মোচন করবেন শুভেন্দু অধিকারী। তার আগে চন্দ্রকোণা থেকে গড়বেতা পর্যন্ত বাইক র্যালি করবেন শুভেন্দুর অনুগামীরা। এছাড়াও, আজ দুপুরে হলদিয়ায় শুভেন্দু অনুগামীদের পদযাত্রা।
এদিন পরপর কর্মসূচি থাকলেও, রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েই গেল নন্দীগ্রামের বিধায়ককে ঘিরে। মঙ্গলবার রাতে গোপনীয়তার আবহে শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে বৈঠকে বসেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, বৈঠকের শেষদিকে সৌগত রায়ের ফোনে শুভেন্দুর সঙ্গে কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একসঙ্গে চলার বার্তা দেন। সূত্রের দাবি, সব শুনে শুভেন্দু বলেন, ঠিক আছে দিদি।
কিন্তু, সুর কাটে বুধবার দুপুরে। মধ্যস্থতাকারী সৌগত রায়কে হোয়াটসঅ্যাপে শুভেন্দু জানান, একসঙ্গে কাজ করা সম্ভব নয়। আর এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হল, শুভেন্দু শেষ অবধি করবেন টা কী? বিজেপিতে যাবেন? নিজের দল তৈরি করবেন? না কি অন্য বিকল্প?
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ বলছেন, মঙ্গলবার রাতে শুভেন্দু-অভিষেক-পিকের বৈঠকের পর যখন তৃণমূল দাবি করেছিল, সব মিটে গেছে তখনও কিন্তু রাজ্য বিজেপির দায়িত্বপ্রাপ্ত কৈলাস বিজয়বর্গীয়র গলার ছিল আত্মবিশ্বাসের সুর।
আর বুধবার আচমকাই নাটকীয় পরিবর্তনের পর, যখন শুভেন্দুর সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব আরও বাড়ার জল্পনা যখন তুঙ্গে, তখনও কৈলাস বলছেন, এটাই তো হওয়ার ছিল।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের একাংশের মতে, শুভেন্দু যদি বিজেপিতে যান, তাহলে গেরুয়া ব্রিগেডেরই লাভ! আর তিনি যদি আলাদা দল গড়েন, তাহলেও লাভ বিজেপিরই।
শেষপর্যন্ত কী করবেন নন্দীগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক? সূত্রের খবর রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করবেন শুভেন্দু অধিকারী। সেদিনই নিজের অবস্থান স্পষ্ট করবেন তিনি।
আর এই জল্পনার মাঝেই কলকাতার ৬টি জায়গায় শুভেন্দুর ছবি সহ আমরা দাদার অনুগামী লেখা পোস্টার। এদিন সকালে যাদবপুর, গোলপার্ক, গড়িয়াহাট মোড়, বাসন্তী দেবী কলেজের সামনে, রাসবিহারী মোড় ও সাদার্ন অ্যাভিনিউতে শুভেন্দু অনুগামীদের পোস্টার দেখা যায়। সেখানে লেখা, "মানুষের কাজ করতে কোনও পদ লাগে না..।"