![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/Premium-ad-Icon.png)
Suvendu Adhikari Resigns: বিধায়ক পদে ইস্তফা শুভেন্দুর, "খতিয়ে দেখে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ", জানালেন স্পিকার
দীর্ঘ জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বিধায়ক পদ ত্যাগ শুভেন্দুর
![Suvendu Adhikari Resigns: বিধায়ক পদে ইস্তফা শুভেন্দুর, Suvendu Adhikari Resignation Suvendu In Assembly House Bidhan Sabha Suvendu Adhikari Resigns: বিধায়ক পদে ইস্তফা শুভেন্দুর,](https://static.abplive.com/wp-content/uploads/sites/3/2020/12/16160702/web-suvendu-split-still-161220.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
কলকাতা: জল্পনার অবসান। ইঙ্গিত মঙ্গলবারই মিলেছিল। বুধবার তৃণমূল বিধায়ক পদে ইস্তফা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন বিকেল চারটে নাগাদ বিধানসভায় গিয়ে ইস্তফা পেশ করেন শুভেন্দু।
বুধবার অত্যন্ত নাটকীয়ভাবে বিধানসভায় পৌঁছন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি সাধারণত যে গাড়ি ব্যবহার করে থাকেন, এদিন তাতে নয়, অন্য একটি গাড়িতে আচমকাই বিধানসভার গেটে পৌঁছন শুভেন্দু অধিকারী। ঢাকা ছিল গাড়ির কাচ। সঙ্গে ছিলেন পুরুলিয়ার কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায়। সে সময় স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভায় উপস্থিত ছিলেন না। ১টা নাগাদ তিনি বেরিয়ে যান। বিকেল ৪টে নাগাদ শুভেন্দু বিধানসভায় পৌঁছন। বিধানসভার রিসিভিং সেকশনে গিয়ে ইস্তফাপত্র জমা দেন। যদিও, স্পিকার জানিয়েছেন, শুভেন্দু যেভাবে ইস্তফা দিয়েছেন তা বৈধ নয়।অধ্যক্ষকে ইমেল করে ইস্তফাপত্র পাঠালেন শুভেন্দু। যদিও বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন, ‘শুভেন্দুর ইস্তফাপত্র গৃহীত হচ্ছে না। কারণ, ‘ইস্তফাপত্র গ্রহণের এক্তিয়ার নেই সচিবের।’
স্পিকার জানিয়ে দেন, ইস্তফাপত্র গ্রহণ করা হবে কি না, তা নিয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বলেন, ‘বিধানসভায় গিয়ে পদত্যাগপত্র দেখব। পদত্যাগপত্র দেখে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’ তাই স্পিকার এক্ষেত্রে পরবর্তী কী পদক্ষেপ নেন, সেদিকেও সবার নজর থাকবে।
প্রসঙ্গত, গতকালই, খবর প্রকাশিত হয় যে, চলতি সপ্তাহের শেষেই বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন নন্দীগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক। শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা যায়, ১৭ ডিসেম্বর বিমানে তাঁর দিল্লি যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। ১৮ ডিসেম্বর দিল্লিতে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন তিনি।
১৯ ডিসেম্বর অমিত শাহ আসছেন বাংলায়। শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ট মহল সূত্রের দাবি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সেদিন একমঞ্চে দেখা যেতে পারে শুভেন্দু অধিকারীকে।
যদিও, শুভেন্দুর ঘনিষ্ঠ মহলের আরেকটি সূত্রে দাবি, দিল্লি থেকে ঘুরে আসার পর মেদিনীপুরেই আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন শুভেন্দু।
গতকাল শুভেন্দুর সঙ্গে ফোনে কথা হয় বঙ্গ বিজেপির দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়র। জন্মদিনে শুভেন্দুকে শুভেচ্ছা জানান কৈলাস। দুজনের মধ্যে মিনিট চারেকের কথা হয়। পাশাপাশি, শুভেন্দুকে দলে আহ্বান করেন দিলীপ ঘোষ। বিজেপি রাজ্য সভাপতি জানান, ‘বিজেপিতে সম্মান পাবেন শুভেন্দু’।
শুভেন্দু অনুগামী ও তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত নেতা কণিষ্ক পণ্ডা মঙ্গলবার বলেন, গেরুয়া শিবিরে যেতে পারেন কিনা সেটা পরিস্কার হয়ে যাবে, সেটা ১৯-২০ যে কোনও দিন হতে পারে, আপনাদের জানিয়েই তিনি সে কাজ করবেন, তৃণমূলে বাতি দেওয়ার লোক থাকবে না, আমাদের সবকিছুই গোছাতে হচ্ছে, সব জায়গা থেকে লোকজন যাবে, তৃণমূলে ফিরে যাবে না, ওর মেরুদণ্ড বড় কঠিন।
সম্প্রতি রাজ্যের দেওয়া জেড ক্যাটিগরির নিরাপত্তা ছেড়ে দেন শুভেন্দু। তারপর থেকে নিরাপত্তা ছাড়াই যাতায়াত করছিলেন তৃণমূলের হেভিওয়েট এই নেতা।
সূত্রের খবর, নন্দীগ্রামের বিধায়ককে জেড ক্যাটিগরির নিরাপত্তা দেবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সূত্রের খবর, শুভেন্দুর নিরাপত্তায় ২৪ ঘণ্টা ৩০ জন কেন্দ্রীয় জওয়ান থাকবেন।
সবসময় তাঁকে ঘিরে রাখবেন ১০ জন কমান্ডো। যেখানেই যাবেন, সেখানেই থাকবে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর পাইলট কার। সিআরপিএফ-কেই শুভেন্দুর নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হবে বলে সূত্রের দাবি।
শুভেন্দুর সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁর, পূর্ব মেদিনীপুর ও কলকাতায় তাঁর বাসভবনে মোতায়েন করা হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রের খবর, সম্প্রতি গোয়েন্দা রিপোর্টে শুভেন্দুর ওপর হামলার আশঙ্কা থেকেই এই সিদ্ধান্ত।
যদিও তৃণমূল শিবিরের দাবি, সবকিছুই আগে থেকেই ঠিক ছিল। তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, বাংলায় তো থার্ড গ্রেড, ফোর্থ গ্রেডের নেতারাও সেন্ট্রাল সিকিওরিটি পাচ্ছে, ও যে বিজেপির সঙ্গে আগাম আঁতাঁত করে রেখেছে, তারই প্রমাণ, রাজ্যের সিকিওরিটি ছাড়তেই ওকে কেন্দ্রের সিকিওরিটি দিচ্ছে, আগে থেকে তৃণমূলে থেকে ও বিজেপির সঙ্গে ষড়যন্ত্র করছিল।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)