বাঁকুড়া: জন্মদিনে ৫০ জন রিক্সা ও ভ্যানচালককে নৈশভোজ ডেকে আপ্যায়ন বড়জোড়ার করোনা-জয়ী কিশোরের
পাতে ছিল -- বেগুনী, ভাত, ডাল, বাঁধাকপির তরকারি, মুরগির মাংস, চাটনি, পাঁপড়, পায়েস, মিষ্টি।
বাঁকুড়া: অভিনবভাবে নিজের ১৭ তম জন্মদিন পালন করল বাঁকুড়ার বড়জোড়ার কিশোর সায়ন চৌধুরী। একেবারে, ছাপানো আমন্ত্রণপত্র বিলি করে অঞ্চলের জনা পঞ্চাশ রিক্সা ও ভ্যানচালককে ডেকে পাত পেড়ে খাওয়াল সায়ন।
গত শুক্রবার ছিল সায়নের জন্মদিন। সপ্তদশী কিশোর আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, এলাকার রিক্সা, ভ্যান ও মোটরভ্যানচালক কাকুদের নিজের মতো করে সম্মান জানাবেন। পরিবারের কাছে সেই ইচ্ছাপ্রকাশ করায় তাঁরাও সকলে ছেলের উদ্যোগকে সম্মান ও সম্মতি জানান।
সেইমতো, শুক্রবার সন্ধেয় সায়নের জন্মদিনে উপস্থিত হন জনা পঞ্চাশ রিক্সা ও ভ্যানচালক। নৈশভোজে সায়ন তাঁদের আপ্যায়ন করে। পাতে ছিল -- বেগুনী, ভাত, ডাল, বাঁধাকপির তরকারি, মুরগির মাংস, চাটনি, পাঁপড়, পায়েস, মিষ্টি।
জন্মদিনের এই অভিনব উদ্যোগ নিয়ে একাদশ শ্রেণিতে পাঠরত সায়ন বলেছে, দীর্ঘ লকডাউন চলার সময় দেখেছি, এখানকার ভ্যান ও রিক্সাওয়ালা কাকুরা কী পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে চলেছে। আমি ঠিক করি, একদিন ওদের পাশে থাকব, ওদের খাওয়াব। সেইমতো, জন্মদিনের দিন ওদের খাইয়েছি। তাঁদের খাওয়াতে পেরে এবং তাঁদের আশীর্বাদ নিতে পেরে আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান বলে মনে করি। আগামীদিনেও তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করব।
সায়নের বাবা সুজয় চৌধুরী জানান, লকডাউনের সময় স্কুলশিক্ষিকদের সঙ্গে খাবার বণ্টন থেকে শুরু করে স্যানিটাইজার বিলি করেছে। পরে, মাসকয়েক আগে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিল সায়ন। মারণ ভাইরাসকে পরাজিত করে সুস্থ হয়ে উঠেছে। তাই তার জন্মদিনে গরিব রিকশাচালক ভ্যানচালকদেরকে নৈশভোজে নিমন্ত্রণ করে তাঁদের সেবার মাধ্যমে আশীর্বাদ সংগ্রহ করল।