WB election 2021: মত্ত অবস্থায় তুমুল গালিগালাজ! কাটোয়ার তৃণমূল নেতার ভিডিও ভাইরাল
প্রতিবাদে শনিবার সকালে বেহাল রাস্তাটি কেটে দেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। আর রাতে সেখানে হাজির হন খোদ পুরসভার প্রশাসক শিশির মণ্ডল। অভিযোগ, মত্ত অবস্থায় এলাকায় পৌঁছেই তিনি গালিগালাজ শুরু করেন।
রানা দাস, পূর্ব বর্ধমান: কাটোয়ার দাঁইহাটে তৃণমূল নেতা তথা পুরপ্রশাসকের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। অভিযোগ, ওই ভিডিওয় মত্ত অবস্থায় তাঁকে গালিগালাজ করতে দেখা গিয়েছে, দিয়েছেন জেল খাটানোর হুমকিও। আর এ নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। মত্ত অবস্থায় থাকার কথা অস্বীকার করলেও, আচরণের জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন অভিযুক্ত।
কখনও মত্ত অবস্থায় গালিগালাজ, কখনও জেল খাটানোর হুমকি! সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া ভিডিওয় যাঁকে এই কীর্তি করতে দেখা যাচ্ছে, তিনি আর কেউ নন, পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার তৃণমূল নেতা তথা দাঁইহাট পুরসভার প্রশাসক শিশির মণ্ডল। যদিও এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ।
কিন্তু কেন এরকম আচরণ? দাঁইহাট পুরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডের বকুলতলার বাসিন্দাদের দাবি, এলাকার রাস্তার অবস্থা দীর্ঘদিন ধরেই খারাপ! অভিযোগ, বারবার বলা সত্ত্বেও কর্ণপাতই করেননি পুরপ্রশাসক তথা বিদায়ী চেয়ারম্যান। এর প্রতিবাদে শনিবার সকালে বেহাল রাস্তাটি কেটে দেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। আর রাতে সেখানে হাজির হন খোদ পুরসভার প্রশাসক শিশির মণ্ডল। অভিযোগ, মত্ত অবস্থায় এলাকায় পৌঁছেই তিনি গালিগালাজ শুরু করেন।
দাঁইহাটের বাসিন্দা গঙ্গা হালদার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তা খারাপ। তাই খুঁড়ে দিয়েছি। এরপর মত্ত অবস্থায় এসে গালিগালাজ করে।
ওই এলাকার আর এক বাসিন্দা সবিতা সরকারের কথায়, চেয়ারম্যান এসে গালিগালাজ করেছে। আমরা থানায় গিয়ে জানিয়েছি। বলেছে লিখিত অভিযোগ জানাতে।
ভোটের মুখে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। পূর্ব বর্ধমানের বিজেপি সহ সভাপতি অনিল দত্ত বলেন, ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। চেয়ারম্যান গালিগালাজ করছে। এটা মাতাল না চেয়ারম্যান বুঝতে পারছি না।
আর যাঁর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ, সেই পুর প্রশাসক শিশির মণ্ডল মত্ত অবস্থায় থাকার অভিযোগ অস্বীকার করলেও বাকি ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন। তবে বিজেপির বিরুদ্ধে পাল্টা উস্কানির অভিযোগও করেছেন তিনি। শিশিরবাবু বলেন, রাস্তা হবে বলে টেন্ডারও হয়ে গিয়েছে। বিজেপি ইন্ধন জুগিয়ে মানুষকে উত্তেজিত করেছে। এ ধরনের ঘটনার জন্য দুঃখিত।
যাঁর ওপর গোটা পুর এলাকার বাসিন্দাদের দেখভালের দায়িত্ব, সেই প্রশাসকের এ হেন আচরণে হতবাক এলাকাবাসী।