Jagdeep Dhankhar Delhi Visit:আজ দিল্লি যাচ্ছেন রাজ্যপাল, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হতে পারে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে
উল্লেখ্য, বিধানসভা ভোটের আগেও বিভিন্ন ইস্যুতে রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্য সরকারের মতবিরোধ প্রকাশ্যে এসেছিল। ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় ফেরার পর রাজ্যপালের সঙ্গে নবান্নের সংঘাত তুঙ্গে উঠেছে।
কলকাতা: আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে সংঘাতের মধ্যেই আজ দিল্লি যাচ্ছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। রাজভবন সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সঙ্গে তাঁর দেখা করার কথা। রাজভবন সূত্রে আরও জানা গেছে, সেই সাক্ষাতে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কথা হতে পারে। বিশেষ করে যেখানে গতকালই রাজ্যপাল রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এই সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও তাঁর সাক্ষাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, বিধানসভা ভোটের আগেও বিভিন্ন ইস্যুতে রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্য সরকারের মতবিরোধ প্রকাশ্যে এসেছিল। ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় ফেরার পর রাজ্যপালের সঙ্গে নবান্নের সংঘাত তুঙ্গে উঠেছে। ভোট-পরবর্তী হিংসা নিয়ে তিনি বারেবারেই সরব হয়েছেন। আঙুল তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও পুলিশ প্রশাসনের দিকে। ভোটে হিংসার অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তিনি নিজেই কোচবিহার ও পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে গিয়েছিলেন। এই ঘটনা ঘিরে রাজ্য সরকারের সঙ্গে তাঁর সংঘাত দেখা দিয়েছিল। রাজ্যপাল ধনকড় মাঝেমধ্যেই ট্যুইট করে ভোট-পরবর্তী হিংসার অভিযোগের ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছেন।
উল্লেখ্য, গতকাল বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে রাজভবনের খোলা বারান্দায় বৈঠক করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপি বিধায়করা রাজভবনে গিয়েছিলেন।
রাজভবনের বাইরে বেরিয়ে দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকরের দাবি জানিয়ে মুকুল রায়ের উদ্দেশে সময়সীমা বেধে দেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক আশা করব বুধবারের মধ্যে পদত্যাগ করবেন। নইলে রাজ্যপালের আবেদন করব। অধ্যক্ষ ব্যবস্থা না নিলে আইনের দ্বারস্থ হব।
এর প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় বলেছিলেন, দলত্যাগ বিরোধী আইন কীভাবে রূপায়িত হবে, তার একটা নির্দিষ্ট আইনি প্রক্রিয়া আছে। রাজ্যপালের এক্ষেত্রে কোনও ভূমিকা নেই। তিনি অভিযোগ করেন, রাজ্যপাল বিজেপির এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন।
সবমিলিয়ে ভোট-পরবর্তী হিংসার অভিযোগ দলবদলের আবহে দলত্যাগ বিরোধী আইন নিয়ে রাজ্যের শাসক ও বিরোধী দলের চাপানউতোর তুঙ্গে উঠেছে।