‘বাংলা হিংসার জায়গা নয়, এরাজ্যে দাঙ্গা করতে দেব না’, বিজেপিকে হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর, কটাক্ষ দিলীপের
পূর্ব মেদিনীপুর ও কলকাতা: বসিরহাটের অশান্তি নিয়ে ফের বিজেপিকে আক্রমণ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বঘোষিত গোরক্ষকদের তাণ্ডব থেকে অনুপ্রবেশ ইস্যুতে বিঁধলেন মোদী সরকারকেও। মুখ্যমন্ত্রীকে পাল্টা জবাব দিয়েছে বিজেপি। বসিরহাটের অশান্তির প্রেক্ষিতে এখন তুঙ্গে বিজেপি-তৃণমূল তরজা। বিজেপি যখন এই ঘটনাকে হাতিয়ার করে প্রশাসনিক ব্যর্থতার অভিযোগ তুলছে, তখন গেরুয়া শিবিরের উদ্দেশে পাল্টা হুঁশিয়ারি ছুড়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, বাংলা হিংসার জায়গা নয়। এরাজ্যে দাঙ্গা করতে দেব না। দাঙ্গা পলিউশন, শান্তি সলিউশন। সব ধর্মকে সঙ্গে নিয়ে মোকাবিলা করব। সীমান্তবর্তী বসিরহাট অশান্ত হয়ে ওঠার পরই মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, বহিরাগতরা সীমান্ত পেরিয়ে এসে গন্ডগোল পাকিয়েছে। এদিনও ফের একই অভিযোগ তুলে কেন্দ্রের দিকে আঙুল তোলেন তিনি। বলেন, সীমান্ত রক্ষার দায়িত্বে কেন্দ্র। বিএসএফ, এসএসবি। তাঁর প্রশ্ন, কী করে বহিরাগতরা এসে অশান্তি করল? পাল্টা জবাব দিয়েছে বিজেপিও। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, বিএসএফ কি খালি এখানে পাহারা দেয়? কোথাও সমস্যা নেই। যত সমস্যা এখানে। পোস্ট করার টাকা দিয়েছে। রাজ্য জমির ব্যবস্থা করেনি। অনুপ্রবেশের পাশাপাশি আরও একাধিক ইস্যুকে হাতিয়ার করে এদিন মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সপ্তমে সুর চড়ান মুখ্যমন্ত্রী। কখনও টেনে আনেন স্বঘোষিত গোরক্ষকদের তাণ্ডবের প্রসঙ্গ। বলেন, ওদের কাজ ভাগাভাগি, গোরক্ষার নামে তাণ্ডব। কখনও তোলেন চক্রান্তের অভিযোগ। বলেন, কেন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করবে? জবাব চাই, জবাব দাও। কখনও আবার কটাক্ষ ছুড়ে দেন প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফর নিয়ে। বলেন, উন্নয়নের সব কাজ রাজ্য করে, শুধু বিদেশে ঘুরে বেড়ানো ছাড়া কেন্দ্রের কোনও কাজ নেই। পাল্টা সুর চড়িয়েছে বিজেপি-ও। দিলীপ ঘোষ বলেন, মোদী বিদেশ ঘুরছে। বিদেশ ঘোরা দেখে মমতারও সাধ হয়েছে। উনিও ঘুরছেন। কী লাভ হয়েছে সবাই দেখছে। অসমে বজরং দল মহিলাদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ দিচ্ছে বলেও এদিন অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, আমার কাছে একটা ছবি এসেছে বজরং দল অস্ত্র প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। ওদের দাত নখ বেরিয়ে এসেছে। এই ইস্যুতে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে বিজেপি-ও। দিলীপ ঘোষেোর পাল্টা, পুলিশের হাতে লাঠিও নেই বন্দুকও নেই। তাই হয়তো বন্দুক তুলে নিয়েছে। সব মিলিয়ে তৃণমূল-বিজেপি তরজা ঘিরে এখন তপ্ত রাজ্য রাজনীতির পরিসর।