Sulabh Founder: স্বাধীনতা দিবস পালনের সময় বুকে ব্যথা, প্রয়াত সুলভ শৌচালয়ের রূপকার বিন্দেশ্বর পাঠক
Sulabh Founder Death: পতাকা উত্তোলন করার সময়েই আচমকাই অসুস্থবোধ করেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে ভর্তি করা হয় দিল্লির এইমসে।
নয়া দিল্লি: স্বাধীনতা দিবসেই (Independence Day) না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন ‘সুলভ শৌচালয়ের’ প্রতিষ্ঠাতা তথা বিশিষ্ট সমাজকর্মী বিন্দেশ্বর পাঠক (Bindeshwar Pathak)। মঙ্গলবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে পতাকা উত্তোলন করার সময়েই আচমকাই অসুস্থবোধ করেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে ভর্তি করা হয় দিল্লির এইমসে। চিকিৎসকদের আপ্রাণ চেষ্টা ব্যর্থ করে মৃত্যু হয়েছে অশীতিপর সমাজকর্মীর।
তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)।
The passing away of Dr. Bindeshwar Pathak Ji is a profound loss for our nation. He was a visionary who worked extensively for societal progress and empowering the downtrodden.
— Narendra Modi (@narendramodi) August 15, 2023
Bindeshwar Ji made it his mission to build a cleaner India. He provided monumental support to the… pic.twitter.com/z93aqoqXrc
১৯৪৩ সালের ২ এপ্রিল বিহারের হাজিপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন বিন্দেশ্বর পাঠক। বারাণসী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও পটনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ছাত্রজীবন থেকে সমাজ বদলের স্বপ্ন দেখতেন বিন্দেশ্বর পাঠক। ১৯৬৮ সালে বিহার সরকারের পক্ষ থেকে গান্ধি জন্মশতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে এক কমিটি গঠন করা হয়েছিল। ওই কমিটির সদস্য হিসেবে কিছু মানুষের জীবনের অসহনীয় যন্ত্রণা সম্পর্কে সম্যক অবহিত হন। প্রকাশ্যে শৌচকর্ম বন্ধে অর্থাৎ প্রকাশ্যস্থানে মল-মূত্র ত্যাগ বন্ধের উদ্দেশে ১৯৭০ সালে গড়ে তোলেন সুলভ আন্তর্জাতিক সমাজসেবা সংস্থা। আর ওই সংস্থার উদ্যোগেই ১৯৭৩ সালে বিহারের আরা পুরসভায় প্রথম তৈরি হয়েছিল সুলভ শৌচালয়। ওই শৌচালয় গড়তে বিন্দেশ্বর পাঠককে মাত্র ৫০০ টাকা বরাদ্দ করেছিলেন পুর কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন, বিপ্লবী থেকে সাধক, কারাকক্ষের অত্যাচার সহ্য করেই জীবনদর্শন বদলেছিলেন ঋষি অরবিন্দ
বিহারের আরা পুরসভার সুলভ শৌচালয়ের কথা ক্রমেই ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা দেশে। গত পাঁচ দশকে দেশের প্রতিটি কোণে গড়ে উঠেছে সুলভ শৌচালয়। প্রায় ১৫ লক্ষ সুলভ শৌচালয় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে দেশজুড়ে। খোলা জায়গায় শৌচকর্ম বন্ধে তাঁর উদ্যোগ গোটা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছিল। রেলের স্বচ্ছ মিশন অভিযানেরও অন্যতম পথিকৃৎ ছিলেন বিন্ধেশ্বর পাঠক। সমাজসেবায় বিশেষ অবদানের জন্য ২০০৩ সালে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে তাঁকে পদ্মবিভূষণ সম্মান দেওয়া হয়।
তিনি দেশ জুড়ে অসংখ্য সুলভ শৌচালয় তৈরি করান। দেশের বিরাট অংশের মানুষের শৌচালয় তৈরির আর্থিক ক্ষমতা নেই। ফলে তাঁদের কথা ভেবেই তাঁর এই উদ্যোগ। তিনি প্রায় ৫৪ মিলিয়ন সুলভ শৌচালয়, ১.৩ মিলিয়ন বাড়ির জন্য শৌচালয় তৈরি করার উদ্যোগ নেন এছাড়াও মানবাধিকার, পরিবেশ সুরক্ষা ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে শিক্ষাদান করার ক্ষেত্রেও তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। সমাজকর্মী বিন্ধেশ্বর পাঠকের মৃত্যুতে শোকের ছায়া সংগঠনে।