SC on COWIN Registration: কোউইন অ্যাপে বাধ্যতামূলক নথিভুক্তিকরণ নিয়ে কেন্দ্রকে ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের
যাঁরা নিয়ম তৈরি করছেন তাঁদের মাটিতে কান থাকা উচিত। একইসঙ্গে দেশের শীর্ষ আদালত এদিন বলে, কেন্দ্রের উচিত সারা দেশে কী হচ্ছে দেখা এবং সেই অনুযায়ী নীতি বদল করা।
নয়াদিল্লি: কোভিডের ভ্যাকসিনের জন্য কোউইন অ্যাপে বাধ্যতামূলক নথিভুক্তিকরণ নিয়ে এবার প্রশ্ন তুলল সুপ্রিম কোর্ট। কড়া ভাষায় কেন্দ্রকে ভর্ৎসনা করল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। এদিন মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট বলে, এর ফলে গ্রামাঞ্চলের মানুষদের সমস্যা হতে পারে। যাঁরা নিয়ম তৈরি করছেন তাঁদের মাটিতে কান থাকা উচিত। একইসঙ্গে দেশের শীর্ষ আদালত এদিন বলে, কেন্দ্রের উচিত সারা দেশে কী হচ্ছে দেখা এবং সেই অনুযায়ী নীতি বদল করা।
টিকাকরণের জন্য কোউইন অ্যাপে নথিভুক্তিকরণ বাধ্যতামূলক করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এদিন মামলার শুনানিতে শীর্ষ আদালত বলে, দেশের সিংহভাগ মানুষ এখনও স্মার্টফোন এবং ইন্টারনেট পরিষেবার সুবিধা নিতে পারেন না। আদালত এদিন বলে, ডিজিটাল ইন্ডিয়া বলে আপনারা চিৎকার করেন। কিন্তু আসল সত্যিটা আপনারা বোঝার চেষ্টা করেন না। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতাকে এই কথা বলেন বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, এল নাগেশ্বর রাও এবং এস রবীন্দ্র ভটের বেঞ্চ। একইসঙ্গে প্রযুক্তিগত বৈষম্যের বিষয়টিও তুলে ধরেন বিচারপতি।
এদিন শুনানিতে আদালত বলে, রেজিস্ট্রেশনের নির্দেশ দেওয়া যেতেই পারে। কিন্তু প্রযুক্তিগত বৈষম্যের প্রশ্নের নিরিখে আপনাদের জবাব কী হবে? কীভাবে রেজিস্ট্রেশন করবেন সেই সব পরিযায়ী শ্রমিকরা যাঁরা এক রাজ্য থেকে আরেক রাজ্যে ফিরছেন। ঝাড়খণ্ডের একজন গরিব শ্রমিক কীভাবে এই সুবিধা পাবেন? কেন্দ্রকে প্রশ্ন করেন বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়।
শুধু কোউইন অ্যাপ নিয়েই নয়। এদিন একাধিক বিষয়ে শীর্ষ আদালতের প্রশ্নের সম্মুখীন হয় কেন্দ্র। ভ্যাকসিন ভিন্ন দাম, ভ্যাকসিনের অপ্রতুলতা, গ্রামাঞ্চলের সমস্যা নিয়েও শীর্ষ আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়ে কেন্দ্র। একাধিক জায়গায় ভ্যাকসিন না পেয়ে অবরোধ, বিশৃঙ্খলার ছবি উঠে এসেছে গত কয়েক মাসে। সেই প্রসঙ্গ তুলে এদিন আদালত বলে চলতি বছরের মধ্যে টিকাকরণ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। এই বিষয়ে জবাব দেওয়ার ২ সপ্তাহ সময় চেয়েছে কেন্দ্র।
এদিন আদালত প্রশ্ন করে, ৪৫ বছর বেশি বয়সিদের জন্য ভ্যাকসিন কিনছে কেন্দ্র। কিন্তু ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সিদের জন্য ৫০ শতাংশ ভ্যাকসিন কিনছে রাজ্য। তার দাম করে দিচ্ছে কেন্দ্র। বাকি ভ্যাকসিন কিনছে বেসরকারি হাসপাতালগুলি। এটা কোন ধরনের নিয়ম? ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বদের মৃত্যু হার সবথেকে বেশি হলেও দ্বিতীয় ঢেউতে তাঁরা মারাত্মকভাবে আক্রান্ত হননি। বরং মারাত্মক প্রভাব দেখা গিয়েছে ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সিদের মধ্যে। যদি সবাইকে ভ্যাকসিন দেওয়া লক্ষ্য হয় তবে কেন শুধুমাত্র ৪৫ বছর বেশি বয়সিদের জন্য ভ্যাকসিন কিনছে কেন্দ্র? প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের।