আজ মহালয়া, ভোর থেকেই শুরু তর্পণ, 'কোভিড যেন দুর্গাপুজোর উত্সাহকে দমিয়ে দিতে না পারে', ট্যুইট মুখ্যমন্ত্রীর
ভাদ্র মাসের কৃষ্ণা প্রতিপদ থেকে শুরু করে পরবর্তী অমাবস্যা--এই সময়কেই বলা হয় পিতৃপক্ষ৷ গোটা পক্ষকাল ধরেই পিতৃপুরুষদের স্মরণ ও তর্পণ করা হয়৷ যার চূড়ান্ত প্রকাশ বা মহালগ্ন হল মহালয়া৷ মহালয়ার দিন অমাবস্যায় তাঁদের উদ্দেশ্যে জলদানই হল তর্পণ৷
কলকাতা: আজ মহালয়া৷ পিতৃপক্ষের অবসান ও দেবীপক্ষের সন্ধিক্ষণের পুণ্যতিথি৷ ভোর থেকেই শুরু তর্পণ।
আগমনীর গানে অতীতকে স্মরণ করেই মায়ের অপেক্ষা৷ বাবুঘাট থেকে বাগবাজার ঘাটে পিতৃপুরুষের উদ্দেশে তর্পণ৷ গঙ্গার ঘাটে কড়া নিরাপত্তা।
তৎপর কলকাতা পুলিশ ও রিভার ট্রাফিক পুলিশ। সতকর্তামূলক ব্যবস্থা হিসেবে মোতায়েন রাখা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে।
ভাদ্র মাসের কৃষ্ণা প্রতিপদ থেকে শুরু করে পরবর্তী অমাবস্যা--এই সময়কেই বলা হয় পিতৃপক্ষ৷ গোটা পক্ষকাল ধরেই পিতৃপুরুষদের স্মরণ ও তর্পণ করা হয়৷ যার চূড়ান্ত প্রকাশ বা মহালগ্ন হল মহালয়া৷ মহালয়ার দিন অমাবস্যায় তাঁদের উদ্দেশ্যে জলদানই হল তর্পণ৷
করোনা আবহে আজ মহালয়া। এ নিয়ে ট্যুইট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ট্যুইটে তিনি লিখেছেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে সতর্কতার সঙ্গে উত্সব পালন করতে হচ্ছে। তবে দেখতে হবে, কোভিড যেন দুর্গা পুজোর উত্সাহকে দমিয়ে দিতে না পারে। সেইসঙ্গেই ট্যুইটে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, তাঁর মহালয়ার প্রতিশ্রুতি, কেউ দুর্গাপুজোর উত্সব থেকে বঞ্চিত হবেন না। যাঁদের সাহায্যের প্রয়োজন, তাঁদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসারও আহ্বান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
On the auspicious occasion of Mahalaya,I extend my warm regards to one & all.Although #COVID19 has restricted how we celebrate festivals, we shall not allow it to dampen the spirit of this Durga Puja. To this end & to lighten up every home,I undertake #MahalayaProtishruti. (1/2)
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) September 16, 2020
As a part of this pledge, I vow to ensure that this Durga Pujo, no one is devoid of the festivities. I urge everyone to come forward, extend a helping hand to those in need & spread joy everywhere. Shubho Mahalaya to everyone! (2/2)
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) September 16, 2020
করোনা-আবহে তর্পণেও এবার নিউ নর্ম্যালের ছোঁয়া। কলকাতা পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, বাগবাজার মায়ের ঘাট, আহিরিটোলা ঘাট, কাশী মিত্র ঘাট, বাবুঘাট, জাজেস ঘাট, আহিরিটোলা ঘাট-সহ কলকাতার ১৫টি ঘাটে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে সাদা গোল দাগ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া সেখানে পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেমের মাধ্যমে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বলা হচ্ছে।
কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, সমস্ত ঘাটে রিভার ট্রাফিক পুলিশের নজরদারি থাকবে। যেসব ঘাটে বেশি ভিড় হয়, সেখানে বিপর্যয় মোকাবিলা দল মোতায়েন রাখা হবে।
ব্যারাকপুর কমিশনারেটের তরফে জানানো হয়েছে, দক্ষিণেশ্বর ঘাট এখন বন্ধ। বাকি ঘাটগুলিতে পুলিশি নজরদারি থাকবে।