Nirmala Sitharaman:'মণিপুর নিয়ে এত কথা, সন্দেশখালিতে কী হচ্ছে?', কলকাতায় এসে তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ সীতারামনের
Sandeshkhali Incident:'বলা হচ্ছে ৭ দিনে গ্রেফতার হবে শেখ শাহজাহান। তা হলে শেখ শাহজাহান কোথায়, সব জানে', চড়া সুরে আক্রমণ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর।
কলকাতা: সন্দেশখালিতে ইডির উপরে হামলার ৫৪ দিন পরে মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। 'বলা হচ্ছে ৭ দিনে গ্রেফতার হবে শেখ শাহজাহান। তা হলে শেখ শাহজাহান কোথায়, সব জানে', চড়া সুরে আক্রমণ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর। রাজ্যের মন্ত্রীদের যেতে দেওয়া হলেও কী ভাবে বাকিদের ১৪৪ ধারা জারি করে আটকানো হচ্ছে, সেই নিয়েও মঙ্গলবার কলকাতায় দাঁড়িয়ে তীব্র সমালোচনা করেন তিনি। বলেন,
'রাজ্যের মন্ত্রীরা যাচ্ছেন। ১৪৪ ধারা জারি করে বাকিদের আটকানো হচ্ছে...আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে দেশের মধ্যে সবচেয়ে নীচে বাংলা।' লোকসভা ভোটের কয়েক মাস আগে মহানগরে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, 'পঞ্চায়েত ভোটে এত মৃত্যু হয়েছে। তার জবাব না দিয়ে শুধুই অন্যদের আক্রমণ। মণিপুর নিয়ে এত কথা, সন্দেশখালিতে কী হচ্ছে?'। রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে তুলোধনা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।
কী জানা গেল?
সন্দেশখালির ঘটনাপ্রবাহ ঘিরে আগেও সুর চড়াতে শোনা গিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের। বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকেও উঠে আসে সন্দেশখালির প্রসঙ্গ। এবার সুর চড়ালেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। বললেন, 'সন্দেশখালির কথা বলতে গিয়ে আমার গা-হাত-পা কেঁপে ওঠে। আইনশৃঙ্খলার কেমন ছবি এটি?' সংসদে মণিপুর নিয়ে একাধিক ও বহু প্রশ্ন উঠেছিল, মনে করান তিনি। সঙ্গে তাঁর জিজ্ঞাসা, 'রাজ্যের মন্ত্রীরা যাচ্ছেন, ১৪৪ ধারা জারি করে বাকিদের যাওয়া আটকানো হচ্ছে কী ভাবে?' শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতারির সম্ভাব্য 'মেয়াদের' প্রসঙ্গ তুলেও এদিন কটাক্ষ করেন অর্থমন্ত্রী। বলেন, 'তার মানে আপনারা জানেন ও কোথায়?'
আর যা..
কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি চলতি মাসের মাঝামাঝিই যেমন সাংবাদিক সম্মেলনে দাবি করেন, 'বাড়ি বাড়ি গিয়ে মমতার গুন্ডারা হিন্দু পরিবারের অল্পবয়সী মেয়েদের ধর্ষণ করছে... বাড়ি গিয়ে তৃণমূলেরা গুন্ডারা দেখে আসে, কাদের বাড়ির মেয়ে সুন্দরী, কোন মেয়েদের বয়স কম। তাঁদের স্বামীদের বলা হয়, স্বামী হলেও তাঁঁদের কোনও অধিকার নেই।' কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দাবি ছিল, সংবাদমাধ্যমের কাছে গ্রামের মহিলারাই এই ধরনের অভিযোগ করেছেন। দিনদশেক আগে আবার কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক বলেন, 'সন্দেশখালির বাসিন্দাদের পাশে রয়েছি আমরা। কিন্তু তাও আমাদের যেতে দেয়নি প্রশাসন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশের আচরণ তৃণমূলের গুন্ডাদের মতো। শুধু জমি নয়, সন্দেশখালির মহিলাদের সম্মান লুঠ করেছে তৃণমূল।' আক্রমণে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক। আরও একাধিক বার, বিজেপির একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা ও মন্ত্রীর কথায় সন্দেশখালির প্রসঙ্গ উঠে আসে। এবার সুর চড়ালেন সীতারামন।