US on coronavirus : কোভিড সঙ্কট, নাগরিকদের ভারত ছাড়তে বলল আমেরিকা
কোভিডের জন্য ভারতে এখন স্বাস্থ্য পরিষেবা পাওয়ার বিষয়টা খুবই সীমিত। তাই মার্কিন নাগরিকরা এখন যেন ভারতে না যান। যাঁরা সে দেশে রয়েছেন, তাঁরাও যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভারত থেকে ফিরে আসুন। নাগরিকদের উদ্দেশ্যে এমনই বার্তা দিল আমেরিকা।
নয়া দিল্লি : কোভিডকালে ক্রমশই পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে ভারতে। বেগতিক দেখে এবার নাগরিকদের ঘরে ফেরার ডাক দিল আমেরিকা। মার্কিন ট্রাভেল অ্যাডভাইজারি-তে দেওয়া হয়েছে এই পরামর্শ।
নিত্যদিন দেশে বেড়েই চলেছে করোনা রোগীর সংখ্যা। আক্রান্তের সঙ্গে সঙ্গে এবার বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। রোগীর সংখ্যা বাড়ায় অনেক রাজ্যেই দেখা দিয়েছে অক্সিজেন ও বেডের সঙ্কট। ভারতের এই পরিস্থিতি দেখে এবার '৪ লেভেল ট্রাভেল অ্যাডভাইজরি' জারি করল আমেরিকা। যেখানে দ্রুত মার্কিন নাগরিকদের ভারতে ছাড়তে বলা হয়েছে।
কী রয়েছে সেই অ্যাডভাইজরিতে ?
মার্কিন নাগরিকদের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে, কোভিডের জন্য ভারতে এখন স্বাস্থ্য পরিষেবা পাওয়ার বিষয়টা খুবই সীমিত। তাই মার্কিন নাগরিকরা এখন যেন ভারতে না যান। যাঁরা সে দেশে রয়েছেন, তাঁরাও যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভারত থেকে ফিরে আসুন। ভারত-আমেরিকার মধ্যে প্রতিদিন সরাসরি ১৪টি বিমান যাতায়াত করে। এছাড়াও প্যারিস বা ফ্র্যাঙ্কফুর্ট হয়ে দেশে ফেরার ব্যবস্থা রয়েছে।
দেশের বর্তমান কোভিড পরিস্থিতি
দেশের কোভিড পরিস্থিতি সামাল দিতে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। দিল্লিতে অক্সিজেনের অভাবে রোগী ভর্তি বন্ধ করে দিয়েছিল বেশকিছু হাসপাতাল। ভারতের কোভিড গ্রাফ বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩,৬০,৯৬০ জন। করোনা প্রাণ কেড়েছে ৩২৯৩ জনের। যা এখনও পর্যন্ত দৈনিক মৃত্যুর নিরিখে রেকর্ড। এর আগে এক দিনে এতজন করোনা রোগী মারা যাননি ভারতে।
বিমান বাতিল করেছে অস্ট্রেলিয়া
কদিন আগেই কোভিড আতঙ্কে ভারত থেকে সব অস্ট্রেলিয়ামুখী বিমান বাতিল করেছে সে দেশের সরকার। অস্ট্রেলিয়ার বেশকিছু হোটেলে কোভিড সংক্রমিতের সংখ্যা বাড়তে থাকায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে শুধু অস্ট্রেলিয়া নয়, নিষেধাজ্ঞার পথে হেঁটেছে ব্রিটেনও। সম্প্রতি ব্রিটেনে জারি হয়েছে নতুন নির্দেশিকা। যেখানে, ১০ দিন আগে ভারতে ছিলেন এমন ব্যক্তিদের দেশে ঢুকতে না করা হয়েছে। এখানেই শেষ হয়নি নিষেধাজ্ঞা। ভারতে থেকে ইংল্যান্ডে আগত ব্রিটিশ ও আইরিশ নাগরিকদের হোটেলে কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে। কোনওভাবেই কোভিডকালে ঝুঁকি নিতে চাইছে না কোনও দেশ।