US Supreme Court: মুম্বই হামলার অন্যতম চক্রী তহব্বুর রানাকে হাতে পাচ্ছে ভারত, প্রত্যর্পণে সায় আমেরিকার
Tahawwur Rana: প্রথমে নিম্ন আদালতে, তার পরে ওয়াশিংটনের প্রাদেশিক আদালতে প্রত্যর্পণের বিরুদ্ধে আবেদন করেন রানা। কোথাও সুরাহা হয়নি।
নয়া দিল্লি: ২৬/১১ মুম্বই হামলায় অন্যতম অভিযুক্ত তহব্বুর রানাকে ভারতে প্রত্যর্পণে অনুমতি দিল আমেরিকার সুপ্রিম কোর্ট। এই পাকিস্তানি নাগরিককে এবার ভারতের বিচার প্রক্রিয়ার সম্মুখীন হতে হবে। নির্দেশের পরই পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত কানাডার ব্যবসায়ী রানাকে ভারতে নিয়ে আসার চেষ্টা শুরু করে নয়াদিল্লি।
মুম্বই হামলায় ১৬৬ জন নিহতের মধ্যে ছ’জন মার্কিন নাগরিকও ছিলেন। ওই হামলায় পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক রানার স্পষ্ট যোগ পাওয়া যায়। প্রথমে নিম্ন আদালতে, তার পরে ওয়াশিংটনের প্রাদেশিক আদালতে প্রত্যর্পণের বিরুদ্ধে আবেদন করেন রানা। কোথাও সুরাহা হয়নি। সান ফ্রান্সিসকোর আপিল আদালতেও প্রত্যর্পণের পক্ষেই রায় গিয়েছে। এ বার আমেরিকার সুপ্রিম কোর্টও রানাকে প্রত্যর্পণের অনুমতি দিল।
দীর্ঘ দিন ধরেই তাঁকে এ দেশে প্রত্যর্পণের জন্য যৌথ ভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ভারত এবং আমেরিকা ৷ তবে আইনি জটিলতার কারণে এই প্রক্রিয়া বিলম্বিত হচ্ছিল। রানা বর্তমানে লস অ্যাঞ্জেলেসের একটি কারাগারে বন্দি আছেন। তাঁকে ২০০৯ সালে শিকাগো থেকে গ্রেফতার করে এফবিআই। তিনি পাকিস্তান বংশোদ্ভূত আমেরিকান ডেভিড কোলম্যান হেডলির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ৷ যিনি ছিলেন মুম্বই হামলার মূল চক্রী ৷ ‘দাউদ গিলানি’ নামে পরিচিত হেডলি মুম্বই হামলার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন৷ বর্তমানে আমেরিকার জেলে বন্দি তিনি৷ ৩৫ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন।
ভারতের ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসী ঘটনাগুলির মধ্যে একটি ২৬/১১-এর মুম্বই হামলা। দ্বিপাক্ষিক বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুসারে আবার রানাকে আমেরিকার থেকে ফেরত চায় ভারত। তার পরে ২০২০ সালের জুন মাসে মুম্বই নাশকতার ঘটনাতেই ফের রানাকে গ্রেফতার করে আমেরিকার পুলিশ। ক্যালিফোর্নিয়ার একটি আদালতে রানার তরফে জামিনের আবেদন জানানো হলেও বছর দেড়েক আগে তা খারিজ হয়ে গিয়েছিল। ফলে তাঁর প্রত্যর্পণের পথ প্রশস্ত হয়।
তহব্বুর রানা ও ডেভিড হেডলি উভয়ই পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবা (LeT)-র সদস্য ছিলেন৷ তাঁদের তৈরি নীল নকশা অনুসরণ করেই ২০০৮ সালে আরবসাগরের তীরে ভায়বহ জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে৷ মুম্বইয়ের বড় বড় হোটেল, টার্মিনাসগুলিকে হামলা চালায় ১০ জঙ্গি৷ যাদের মধ্যে একমাত্র আজমল আমির কাসবকে জীবিত গ্রেফতার করে পুলিশ৷ পরে তাঁকে ফাঁসি দেওয়া হয়৷ ওই জঙ্গি হামলায় শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়৷
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
