Central Vista Project : প্রধানমন্ত্রী বাসভবন তৈরি না করে, সেই টাকায় মানুষকে বাঁচান; কেন্দ্রকে তোপ প্রিয়াঙ্কার
সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রোজেক্টের কাজের দায়িত্বে রয়েছে কেন্দ্রীয় পূর্ত দপ্তর। তাদের তরফে সরকার নিযুক্ত বিশেষজ্ঞ কমিটিকে জানানো হয়েছে, ২০২২-এর ডিসেম্বরের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন নির্মাণের কাজ শেষ হয়ে যাবে।
নিউ দিল্লি : করোনা সংক্রমণ কমার কোনও লক্ষণ নেই। করোনা মোকাবিলায় বারবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলছে কংগ্রেস। এদিকে এই মহামারী পরিস্থিতিতে সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রোজেক্ট নিয়ে আজ সরব হলেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গাঁধী।
টুইটারে লেখেন, এমন একটা সময় যখন মানুষ অক্সিজেন, ভ্যাকসিন, হাসপাতালের বেড ও ওষুধের ঘাটতির জেরে সমস্যায় পড়ছেন, তখন ১৩ হাজার কোটি টাকা খরচ করে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নতুন বাসভবন না বানিয়ে সেই অর্থ মানুষের জীবন রক্ষার জন্য ব্যবহার করা উচিত সরকারের।
সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রোজেক্টের কাজের দায়িত্বে রয়েছে কেন্দ্রীয় পূর্ত দপ্তর। তাদের তরফে সরকার নিযুক্ত বিশেষজ্ঞ কমিটিকে জানানো হয়েছে, ২০২২-এর ডিসেম্বরের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন নির্মাণের কাজ শেষ হয়ে যাবে।
এরপরই টুইটারে সরব হন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা। হিন্দিতে লেখেন, এই ধরনের ব্যয়ে আমজনতার কাছে এই বার্তা যাবে যে সরকারের অগ্রাধিকার রয়েছে অন্য কাজে।
করোনা মহামারীর কারণে সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রোজেক্টের কাজে অনেকটাই ব্যাঘাত ঘটেছে। এদিকে এই প্রকল্প পরিবেশ সংক্রান্ত ছাড়পত্র পেয়েছে। বিরোধীদের আপত্তি সত্ত্বেও, সরকার ২০ হাজার কোটি টাকার এই পরিকল্পনায় টাইমলাইন মেনে চলছে। এই প্রোজেক্টের আওতায় থাকছে- ত্রিভুজাকারের নতুন সংসদ ভবন, কেন্দ্রীয় সচিবালয়, রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে ইন্ডিয়া গেট পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার রাজপথের পুনর্নির্মাণ এবং প্রধানমন্ত্রী ও উপ রাষ্ট্রপতির জন্য নতুন বাসভবন।
প্রসঙ্গত, দেশে এই ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতিতে সম্পূর্ণ লকডউনের কথা আজই বলেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী। টুইটারে তিনি লেখেন, ভারত সরকার বুঝতে পারছে না। সম্পূর্ণ লকডাউন করাই করোনা সংক্রমণ রোখার একমাত্র পথ। এর সঙ্গে দুর্বল শ্রেণিকে ন্যূনতম আয় যোজনায় সুরক্ষা দিতে হবে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে ৩.৫৭ লক্ষ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এনিয়ে দেশে মোট সংক্রমণের সংখ্যা ২ কোটির গণ্ডি পেরিয়ে গিয়েছে। মোট মৃত্যু হয়েছে ২.২ লক্ষর বেশি মানুষের।