Uttarakhand Tunnel Rescue : হাতে পাথর খোঁড়া শুরু, জলের স্রোতে ব্যাহত ভার্টিক্যাল ড্রিলিং, কবে উদ্ধার হবেন শ্রমিকরা ?
Uttarakhand News : গোটা দেশ যে প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে, তার নিশ্চিত কোনও উত্তর নেই সোমবার রাতেও।
পার্থপ্রতিম ঘোষ, উত্তরকাশী : উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে (Uttarakhand Tunnel Collapse ) আটকে থাকা শ্রমিকরা অন্ধকারের জগত পেরিয়ে আলোর পথ দেখবেন কবে ? শেষপর্যন্ত কবে উদ্ধার করা যাবে ধসের জেরে সুড়ঙ্গে আটকে থাকা শ্রমিকদের ? গোটা দেশ যে প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে, তার নিশ্চিত কোনও উত্তর নেই সোমবার রাতেও।
সিল্কিয়ারা টানেল (Silkyara Tunnel) খোঁড়ার কাজে গিয়ে আটকে পড়েছেন বাংলার ৩ জন সহ ৪১ জন শ্রমিক। বারবার প্রশ্নের মুখে পড়ছে, আগে দু'বার ধস নামা পাহাড়ের নিচে সুড়ঙ্গে কাজের সময় উপযুক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা কি নেওয়া হয়েছিল শ্রমিকদের জন্য, তা নিয়ে। তার সঙ্গে আপাতত ঠিক কোন জায়গায় উদ্ধারকাজ ?
বিপত্তির বোঝা বেড়েছে ভার্টিক্যাল ড্রিলিংয়ের (Vertical Drilling) ক্ষেত্রেও। গতকাল থেকে পাহাড়ের মাথা থেকে উলম্বভাবে খুড়ে নিচে নামার কাজ শুরু হয়েছে। প্রায় ৩৬ মিটার পর্যন্ত নিচে নামা গেলেও ভার্টিক্যাল ড্রিলিংয়ের সময় নরম পাহাড়ের আস্তরণ থেকে বেরিয়ে পড়ছে জল। যার ফলে সেই জল বের করার কাজ করতে হচ্ছে। উলম্বভাবে প্রায় ৮৬ মিটার ড্রিল বা গর্ত করার কথা।
অন্যদিকে, সুড়ঙ্গ বরাবর আড়াআড়ি এগোনোর কাজে যন্ত্রের ভরসা ছেড়ে শেষমেশ হাতের ভরসা শুরু হয়েছে। মার্কিন অগার মেশিন ভেঙে চুরমার হয়ে যাওয়া অংশ বের করে আনার পাশাপাশি হাতে পাথর কাটার কাজ শুরু করেছেন একদল অভিজ্ঞ শ্রমিক। ২৪ জন শ্রমিক তিন শিফটে ২৪ ঘণ্টা উদ্ধারকাজ করার কাজে লাগানো হবে। যন্ত্রের মাধ্যমে যতটা তাড়াতাড়ি সম্ভব, তেমনটা স্বাভাবিক ভাবেই সম্ভব নয় হাতে। কিন্তু বারবার বাধার মুখে পড়ে উদ্ধারকাজে প্রয়োজনীয় বদলের বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে মানুষেই আস্থা রাখছে কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, আটকে থাকা শ্রমিকদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য যাতে ঠিক থাকে সেই বিষয়ে রাখা হচ্ছে নজর। সোমবারই টানেলের বাইরে বিএসএন বসিয়েছে নেটওয়ার্ক টাওয়ার। খাওয়া-দাওয়ার পাশাপাশি যাতে শ্রমিকরা পরিবারের লোকজনের সঙ্গে আরও খানিকটা বেশি কথা বলতে পারেন, তার জন্য এই ব্যবস্থা। ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে, অল্প রেঞ্জের ওয়াই-ফাই পরিষেবা বসানোর বিষয়েও।
এদিন সিল্কিয়ারায় উদ্ধারকাজ পরিদর্শনে যান প্রধানমন্ত্রীর প্রিন্সিপাল সচিব পি কে মিশ্র ও উত্তরাখণ্ডের মুখ্যসচিব S S সান্ধুর। জানা যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রোজই ব্যক্তিগতভাবে খোঁজ রাখছেন উদ্ধারকাজের। বিভিন্ন ভাবে পাহাড় ফুঁড়ে আটকে থাকা শ্রমিকদের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টায় সাফল্য পেতে এখনও বেশ কয়েকটা দিন লাগবে বলেই জানাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সেটা ঠিক কত দিন ? না, অনির্দিষ্টকালের অপেক্ষা ছাড়া নিশ্চিত কোনও উত্তর এখনও নেই।
আরও পড়ুন- ১০ লাখে শুরু করে ১৫ কোটিতে ঘরে ফেরা, আইপিএলে কোন বছর কত বেতন হার্দিকের ?