(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Viral News: দুরন্ত গতিতে ছুটে এল BMW! ওষুধ কিনতে এসে গাড়ির তলায় পিষ্ট যুবক
Viral Video: পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, 'ওই বিএমডব্লুটি চালাচ্ছিলেন ২৮ বছর বয়সি এক মহিলা। অশোক বিহার এলাকার বাসিন্দা তিনি। তিনি পেশায় একজন স্থপতি।
নয়া দিল্লি: জীবনদায়ী ওষুধ কিনতে এসে জীবনহানি হল এক যুবকের। যে সিসিটিভি ফুটেজ সামনে এসেছে সেখানে দেখা যাচ্ছে এক যুবক বাইক করে যাচ্ছিলেন। সেই সময়ই পিছন থেকে দ্রুত গতিতে আসা একটি বিএমডব্লু তাঁকে ধাক্কা দিয়ে চাকায় পদপিষ্ট করে দেয়। গাড়িটিও টাল সামলাতে না পেরে ধাক্কা মারে দেওয়ালে।
রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম দিল্লির মোতি বাগের কাছে একটি মেট্রো স্টেশনে। স্থানীয় সুত্রে খবর, বছর ৩৬ এর যুবক, নাম অজয় গুপ্ত, তিনি একটি মুদি দোকান চালান। সেই সময় বাড়ি ফিরছিলেন। পরে অবশ্য বাড়ি ফিরলেন কিন্তু নিথর দেহে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, 'ওই বিএমডব্লুটি চালাচ্ছিলেন ২৮ বছর বয়সি এক মহিলা। অশোক বিহার এলাকার বাসিন্দা তিনি। তিনি পেশায় একজন স্থপতি। রবিবার রাতে বেশ কিছুটা দ্রুত গততেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন তিনি। প্রথমে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি জেনারেটরে ধাক্কা মারেন তিনি। এরপর সোজা এসে অজয়কে ধাক্কা মারেন। পুলিশ এও জানিয়েছে, রবিবার রাতে গ্রেটার কৈলাশে একটি পার্টিতে ছিলেন ওই মহিলা।
এই মর্মান্তিক ঘটনার পরই পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন তিনি। দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ৪.০৮ নাগাদ পুলিশের কাছে একটি পিসিআর কল আসে এই দুর্ঘটনা নিয়ে। পুলিশ যখন সেখানে পৌঁছয় দেখে বাইক এবং গাড়িটিকে ক্ষতিগ্রস্থ অবস্থায় দেখতে পায়। যদিও ওখানে বিএমডব্লুর চাকায় পিষ্ট অজয় কিংবা গাড়ির চালক মহিলা কাউকেই খুঁজে পাওয়া যায়নি, এমনটাই জানিয়েছেন ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ (পশ্চিম) ঘনশ্যাম বনসল।
জানা যায় গাড়িটি দুর্ঘটনা করার পর ওই মহিলাকে তাঁর আত্মীয় পরিজনেরা নিয়ে যায় ইএসআই হাসপাতালে। পুলিশ যখন ওই স্পটে যায় অভিযুক্তকে আটক করা সম্ভব হয়নি তাঁর স্বাস্থ্যের অবস্থা দেখে। অন্যদিকে, চাকায় পিষ্ট অজয়েরও শারীরিক অবস্থা তখন শেষের পথে । আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে আক্রান্ত ব্যক্তি হাসপাতাল থেকে ওষুধ খেয়ে বাড়ি যাচ্ছিলেন যখন মহিলা পার্টি থেকে বাড়ি ফিরছিলেন।
অজয় গুপ্তর পরিবার অবশ্য বাইরে থাকেন। রাতে দোকান সেরে তিনি যখন বাড়ি ফিরছিলেন সেই সময় ওষুধ কিনতে যান তিনি। সেই সময়ই ধাক্কা মারে বিএমডব্লুটি। যদিও এই ধাক্কা সামলাতে পারেনি অজয় গুপ্ত। মৃত্যুর পর ময়নাতদন্তের জন্য দীনদয়াল উপাধ্যায় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে দেহ। পরে তা পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানান হয়েছে।
ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৭৯ ধারা, ৩৩৭ ধারা এবং ৩০৪ ধারা-এর অধীনে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন, আপনিও স্বাক্ষরের সময় এমন ভুল করেন, সাবধান, জেনে নিন সঠিক উপায়?