Lakhsmi Bhandar Rule : লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফর্ম ফিল আপে সমস্যা! নিয়ম সহজ করল রাজ্য সরকার
যাতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প থেকে টাকা পাওয়ার যোগ্য কেউ প্রকল্পের সুবিধা থেকে বাদ না পড়েন, সেই জন্যই এই বাড়তি উদ্যোগ রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে।
সুমন ঘড়াই, হাওড়া : লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফর্ম ফিল আপের ক্ষেত্রে সমস্যা কমাতে বাড়তি উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড, আধার কার্ড, তফসিলি জাতি বা তফসিলি উপজাতি সার্টিফিটেক না থাকার জেরে অনেক ক্ষেত্রেই সমস্যায় পড়ছেন অনেকে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প থেকে অর্থ পাওয়ার ক্ষেত্রে সক্ষম হলেও অনেকেই প্রয়োজনীয় কার্ড না থাকায় যাতে আর সমস্যায় না পড়েন, সেই জন্যই নতুন উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার।
শুক্রবার রাজ্যের প্রশাসনিক ভবন নবান্ন থেকে জারি করা এক নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে টাকা পাওয়ার ক্ষেত্রে কেউ যোগ্য কারোর যদি স্বাস্থ্যসাথী, আধার, তফসিলি জাতি ও তফসিলি উপজাতির কার্ড না থাকে, তাহলে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকেই নির্দিষ্ট কার্ড করিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য কোনও আবেদনকারীর নির্দিষ্ট কোনও কার্ড না থাকলে সেক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনের প্রতিনিধিরা নির্দিষ্ট আবেদনকারীর বাড়ি বাড়ি পৌঁছে গিয়ে যাতে নির্দিষ্ট কার্ড করিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেবেন। যাতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প থেকে টাকা পাওয়ার যোগ্য কেউ প্রকল্পের সুবিধা থেকে বাদ না পড়েন, সেই জন্যই এই বাড়তি উদ্যোগ রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে।
বিধানসভা নির্বাচনের ইস্তেহারে রাখা প্রস্তাব বাস্তবায়িত করে গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সুবিধা রাজ্যের মহিলাদের দিতে শুরু করেছে রাজ্য সরকার। তফসিলি জাতি–উপজাতির মহিলারা পাচ্ছেব মাসে ১০০০ টাকা। আর সাধারণ পরিবারের মহিলারা মাসিক ৫০০ টাকা পাচ্ছেন। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দেখালেই যেখানে আবেদন করা যায়। পাশাপাশি পরিচয়পত্র হিসেবে লাগে আধার কার্ড। আর তফসিলি জাতি ও তফসিলি উপজাতি গোষ্ঠীভুক্ত মহিলাদের ক্ষেত্রে সঙ্গে জমা দিতে হয় শংসাপত্র।
আরও পড়ুন- বেড়েছে 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার'-এর বাজেট, টাকা জোগাড়ের চিন্তায় ঘুম ছুটেছে সরকারি আধিকারিকদের