(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Israel Palestine War: প্যালেস্তাইনে দখলদারি ইজরায়েলের, নিন্দা প্রস্তাবের সমর্থনে ভোট দিল ভারত
Israel Palestine Conflict: পরিসংখ্যান বলছে, ইজরায়েল বনাম প্যালেস্তাইনের হামাস সংগঠনের মধ্যে গত একমাসব্যাপী যুদ্ধে গাজায় ১১ হাজার ৭৮ জন প্যালেস্তিনীয় নাগরিক মারা গিয়েছেন।
নয়াদিল্লি: নয় নয় করে একমাস পেরিয়ে গেলেও যুদ্ধ থামার লক্ষণ নেই। সেই নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত আন্তর্জাতিক মহল। গোড়া থেকে ইজরায়েলকে সমর্থন করছিলেন যাঁরা, একে একে তাঁরাও যুদ্ধবিরতির পক্ষে সওয়াল করতে শুরু করেছেন। সেই আবহে রাষ্ট্রপুঞ্জে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে ভোট দিল ভারত। প্যালেস্তাইনে ইজরায়েলি দখলদারির নিন্দা করল দিল্লি। (Israel Palestine War)
পরিসংখ্যান বলছে, ইজরায়েল বনাম প্যালেস্তাইনের হামাস সংগঠনের মধ্যে গত একমাসব্যাপী যুদ্ধে গাজায় ১১ হাজার ৭৮ জন প্যালেস্তিনীয় নাগরিক মারা গিয়েছেন। এর মধ্যে ৪ হাজার ৫০৬ শিশুও রয়েছে। ১৫০০ শিশু ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়েছে বলে খবর। এই পরিস্থিতিতে ইজরায়েলের আগ্রাসী মূর্তির বিরুদ্ধে একে একে সরব হতে শুরু করেছে আন্তর্জাতিক মহল। (Israel Palestine Conflict)
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপুঞ্জের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাবও ওঠে, প্যালেস্তাইনে জোরপূর্বক ইজরায়েলের বসতি গড়ে তোলার নিন্দা করা হয়। পূর্ব জেরুসালেম থেকে সিরিয়ার কাছ থেকে ছিনিয়ে অধিগ্রহণ করে রাখা গোলানে ইজরায়েলের কর্মকাণ্ডের নিন্দায় আনা হয় ওই প্রস্তাব। ইজরায়েলের নিন্দার সপক্ষে আনা ওই প্রস্তাবে ১৪৫টি দেশ সায় দেয়, যার মধ্যে রয়েছে দিল্লিও। ওই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে আমেরিকা এবং কানাডা-সহ আটটি দেশ। ১৮টি দেশ ভোটদান থেকে বিরত থেকেছে।
আরও পড়ুন: Vladimir Putin: ৭৩ বছরেও মসনদ ছাড়তে নারাজ! রাশিয়ায় ফের নির্বাচনে নাম লেখাচ্ছেন পুতিন
গত ৭ অক্টোবর যুদ্ধের সূচনা ঘটলে গোড়াতেই ইজরায়েলের পাশে থাকার বার্তা দেয় ভারত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি খোদ সেই মর্মে বিবৃতি দেন, যা ভারতের এযাবৎকালীন বিদেশনীতির পরিপন্থী ছিল। এর পর বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, ভারত স্বাধীনতা প্যালেস্তাইনের পক্ষেই। শুধুমাত্র হামাসের কার্যকলাপের বিরোধী। সেই সময় গাজায় শান্তি ফেরানোর প্রস্তাব উঠলে, ভোটদানে বিরত থাকে দিল্লি।
কিন্তু যুদ্ধ শুরুর পর এক মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গিয়েছে। ইজরায়েলি হানায় শুধুমাত্র গাজাতেই ১১ হাজারের বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন, যাঁদের প্রায় অর্ধেক শিশু। প্রাণহানি ঘটেছে ওয়েস্ট ব্য়াঙ্কেও। এমনকি গাজার বৃহত্তম হাসপাতাল আল-শিফাকে অবরুদ্ধ করে রাখা, সেখানে বিদ্যুৎ এবং জ্বালানির সরবরাহ বন্ধ রাখার অভিযোগ উঠেছে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে। তাতে ইতিমধ্যেই এক শিশু এবং এক প্রাপ্তবয়স্কের মৃত্যুর ঘটনা শোনা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, একটু নড়াচড়া করতে দেখলেই স্নাইপাররা এলোপাথাড়ি গুলি চালাচ্ছেন, হাসপাতালে ড্রোন হামলাও চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ।
ইজরায়েলি হামলায় ১৯৮ জন চিকিৎসা কর্মী মারা গিয়েছেন, ৫৩টি অ্যাম্বুল্যান্স পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। হামাসের হামলায় তাদের ১৬০০ নাগরিক মারা গিয়েছেন বলে প্রথমে দাবি করে ইজরায়েল। কিন্তু সম্প্রতি সই সংখ্যায় সংশোধন ঘটায় তারা। জানায়, ১৬০০ নয়, ১২০০ জন মারা গিয়েছেন।
এই আবহে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল মাকরঁও যুদ্ধবিরতির আবেদন জানিয়েছেন। তাতে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানইয়াহু।