Imran Khan: স্মার্টফোনের অপব্যবহারে বাড়ছে যৌনাচারের ঘটনা, ফের বিতর্ক বাড়ালেন ইমরান খান
"মোবাইল ফোনের অপব্যবহারের কারণে যৌন অপরাধ বৃদ্ধি পাচ্ছে দেশে।"
নয়া দিল্লি: ফের 'বেফাঁস' মন্তব্যে করে বিতর্ক বাড়ালেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। মোবাইল ফোনের অপব্যবহারের জন্যই যৌন নিপীড়ন বৃদ্ধি পেয়েছে এমনই মন্তব্য করেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী আধুনিক প্রযুক্তির ‘সঠিক ব্যবহার’ সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেন, মোবাইল ফোনের ‘অপব্যবহার’ এর কারণে পাকিস্তানে যৌন অপরাধ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
পাক প্রধানমন্ত্রীর কথায়, "মোবাইল ফোনের অপব্যবহারের কারণে যৌন অপরাধ বৃদ্ধি পাচ্ছে দেশে।" আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে তরুণদের সঠিক শিক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি, তাদের "চরিত্র গঠনের" জন্য সীরাত-ই-নবী (সা।)-এর সর্বোচ্চ গুণাবলী সম্পর্কে তাদের নির্দেশ ও শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন তিনি।
মিনার-ই-পাকিস্তানের ঘটনাকে আন্ডারলাইন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ ধরনের মামলা বাড়ছে কারণ শিশুদের সঠিকভাবে পথ দেখানো হচ্ছে না। বুধবার লাহোরে পাঞ্জাব শিক্ষা সম্মেলনে তিনি বলেন, "আমাদের সন্তানদের সীরাত-ই-নবীর সব গুণাবলী সম্পর্কে শিক্ষিত করা দরকার।"
লাহোরের বৃহত্তর ইকবাল পার্ক এলাকায় মিনার-ই-পাকিস্তানের কাছে ভিডিও-শেয়ারিং অ্যাপ্লিকেশনের জন্য একটি ক্লিপ শুটিং করার সময় পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসের দিন হয়রানি ও হেনস্থা করা হয়েছে একজন টিকটক ব্যবহারকারীকে। এর পরই পাক প্রধানমন্ত্রীর এমন মন্তব্য, মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।
তবে এই প্রথমবার নয় যে প্রধানমন্ত্রী যৌন নিপীড়নের বিষয়ে তার মন্তব্যের মাধ্যমে একটি আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। চলতি বছরের শুরুর দিকে এইচবিও -তে একটি টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন যে, পাকিস্তানে যৌন নিপীড়নের ঘটনা বৃদ্ধির সঙ্গে মহিলাদের "স্বল্প বসন" পরিধান দায়ী।
সে সময় তিনি বলেছিলেন, "যদি কোন নারী অশালীন পোশাক পরেন, তাহলে পুরুষদের উপর তার প্রভাব পড়বে। যদি না তারা রোবট হয়। এটা সাধারণ জ্ঞান।" একটি সাক্ষাৎকারে নারী সুরক্ষার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মহিলাদেরই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দেন ইমরান। তিনি বলেন, 'সমাজে ধর্ষণের ঘটনা অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে।' এর জন্য মহিলারাই দায়ী বলে জানান তিনি। পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মহিলাদের নিজেদের শরীর ঢেকে রাখা উচিত। পর্দা প্রথা ধারণার মূলেই রয়েছে এই ধরনের ইচ্ছা বিনষ্ট করা। আসলে সব পুরুষের নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার মতো ক্ষমতা থাকে না।' ধর্ষণের ঘটনায় সামাজিক পরিস্থিতি, দেশের বিচারব্যবস্থা, প্রশাসন ইত্যাদি বিষয়ে কোনও মন্তব্যই করেননি ইমরান। হলিউড ও বলিউডকেই এর জন্য দায়ী করেন পাক প্রধানমন্ত্রী।