Narendra Modi 3.0 : কালই শপথ মোদির, শুভেচ্ছাটুকু জানাল না পাকিস্তান ! জানিয়ে দিল কারণও
যদি সত্যিই সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতেই চায় পাকিস্তান, তাহলে মোদিকে অভিনন্দন জানালো না কেন? জানাল বিদেশ মন্ত্রক।
ইসলামাবাদ: তৃতীয়বারের জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী ( PM Modi ) হিসাবে শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদি ( Narendra Modi ) । ক্ষমতায় আসছে মোদি ৩.০। দেশ-বিদেশ থেকে আসছে অভিনন্দনের ঢেউ। কিন্তু প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের ( Pakistan ) তরফে এখনও আসেনি কোনও শুভেচ্ছা বার্তা।
লোকসভা নির্বাচনে ২৯৩ টি আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসছে এনডিএ। রবিবার সন্ধেয় মোদির শপথ অনুষ্ঠান রাষ্ট্রপতিভবনে । শনিবার পর্যন্ত আসেনি কোনও শুভেচ্ছাবার্তা। কেন? এই সৌজন্যটুকুও দেখাল না পাকিস্তান ? অবশেষে তা নিয়ে মুখ খুলল প্রতিবেশী দেশ। পাকিস্তান জানিয়েছে, তারা ভারত ও তাদের বাকি সব প্রতিবেশীর দেশের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কই রাখতে চায়। সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে ইচ্ছুক। আলোচনার মাধ্যমে বিরোধের সমাধান করতে চায়। জানিয়েছেন সে-দেশের বিদেশ দফতরের মুখপাত্র মুমতাজ জাহরা বালোচ।
কিন্তু যদি সত্যিই সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতেই চায় পাকিস্তান, তাহলে মোদিকে অভিনন্দন জানালো না কেন। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র মুমতাজের কাছে জানতে চাওয়া হয়, তাঁদের তরফে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে কি না। তিনি আরও বলেন, দেশের নেতৃত্ব কে দেবেন, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া ভারতীয় নাগরিকদের অধিকার। তবে তিনি এও জানান, ভারতের নির্বাচনী প্রক্রিয়া সম্পর্কে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চান না। যেহেতু নতুন সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ নেয়নি, তাই ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানানোর বিষয়ে কথা বলার এখন কোনও মানে নেই।
ভারতের সঙ্গে বৈদেশিক সম্পর্কের বিষয়ে পাকিস্তান জানিয়েছে, গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে তারা প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সমস্ত বিরোধ মিটিয়ে নিতে চায় তারা। বালোচের মতে,পাকিস্তান সবসময়ই ভারত সহ তার সব প্রতিবেশীদের সঙ্গে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক কামনা করে। জম্মু ও কাশ্মীরের মূল বিরোধ সহ সমস্ত অমীমাংসিত সমস্যাগুলি মিটিয়ে নেওয়ার বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়ে এসেছে তারা। আর ভারতও পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনার ব্যাপারে বরাবর আগ্রহ দেখিয়ে এসেছে। যদিও ভারত বারবারই সন্ত্রাসমুক্ত আবহ তৈরি করার দায়িত্ব পাকিস্তানের ওপরই দিয়ে এসেছে। দু’দেশের মধ্যে পাকিস্তানকেই এর দায়িত্ব নিতে হবে।
এই বছরের শুরুর দিকে, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও পাকিস্তানের সঙ্গে কথা বলার রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়নি বলে মন্তব্য করেছিলেন। তবে তিনি বলেন, ' প্রশ্ন হল কী নিয়ে কথা বলতে হবে। যদি কোনও দেশে এতগুলি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন থাকে, তাহলে সেই নিয়েই কথা বলা দরকার। '
আরও পড়ুন :
বাংলা থেকে কারা জায়গা পেতে পারেন মোদি মন্ত্রিসভায়? রইল সম্ভাব্য তালিকা
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে