Ukraine-Russia Crisis: রুশ আক্রমণের আশঙ্কা, ইউক্রেনে জারি জরুরি অবস্থা
Russia Ukraine Conflict:গতকালই দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারির ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট ভলোডিমির জেলেনিস্কির ঘোষণাকে অনুমোদন দিয়েছে ইউক্রেনের পার্লামেন্ট।
কিয়েভ ও মস্কো: রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তে যুদ্ধের দামামা।দেশের বাইরে সামরিক বাহিনীকে ব্যবহারের অধিকার পেয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বুধবারই দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে ইউক্রেন। চাপ বাড়াতে মস্কোর ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আমেরিকা। এই ঘোষণা করেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। কানাডা-সহ একই পথে হেঁটেছে ব্রিটেন, জার্মানির মতো ইউরোপের একাধিক দেশ। আগেই ইউরোপের বাজার রাশিয়ার জন্য বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ইউরোপিয় ইউনিয়ন। এর আগে ইউক্রেনের ডোনেত্স্ক ও লুহান্স্কয় নামে দু’টি অঞ্চলকে স্বাধীন বলে ঘোষণা করে রাশিয়া। মস্কোর এই পদক্ষেপের পরই কড়া অবস্থান নিয়েছে আমেরিকা-সহ পশ্চিমী দেশগুলি। এদিকে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আশঙ্কা যত জোরাল হচ্ছে, ততই বিশ্বজুড়ে বাড়ছে উদ্বেগ। মস্কো তাদের ইউক্রেনে দূতাবাস চত্বর খালি করে সেখান থেকে কূটনীতিকদের বের করে এনেছে। গতকালই দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারির ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট ভলোডিমির জেলেনিস্কির ঘোষণাকে অনুমোদন দিয়েছে ইউক্রেনের পার্লামেন্ট। এই জরুরি অবস্থা বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়ে আগামী ৩০ দিন বলবৎ থাকবে।
ইউক্রেন সীমান্তে মোতায়েন রুশ সেনা আক্রমণের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত:আমেরিকা
আমেরিকার এক পদস্থ সামরিক আধিকারিক বলেছেন, আক্রমণের আদেশ দেওয়া হলে ইউক্রেনের সীমান্তের সন্নিকটে মোতায়েন রুশ সামরিক বাহিনী আক্রমণের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত অবস্থায় রয়েছে। নিজের পরিচয় গোপন রাখার শর্তে ওই মার্কিন সামরিক আধিকারিক বলেছেন, সীমান্ত এলাকায় মোতায়েন ৮০ শতাংশ রুশ বাহিনী একেবারেই প্রস্তুত অবস্থায় রয়েছে। ওই বাহিনী ইউক্রেন সীমান্তের ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে মোতায়েন রয়েছে। তিনি বলেছেন, এখনও এই বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারছি না যে, রুশ সেনাবাহিনী ডোনেত্স্ক (ইউক্রেনে বিদ্রোহীদের আওতাধীন এলাকা) –এর মধ্যে ঢুকে পড়েছে কিনা।
অন্যদিকে, রাষ্ট্রপুঞ্জে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত বিদ্রোহী এলাকায় ইউক্রেন হিংসা ও নরসংহার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন। এই হিংসা থামাতে সাহায্য করতে রুশ রাষ্ট্রদূত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কাছে আর্জি জানিয়েছেন। বুধবার তিনি রাষ্ট্রপুঞ্জে বলেছেন, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে শান্তি লঙ্ঘনকারীদের প্রতি কোনওরকম নরম মনোভাব রাখা উচিত নয়। ডোনেত্স্ক ও লুহান্স্কউ থেকে হাজার হাজার মানুষের রাশিয়ায় চলে আসা এটাই প্রমাণ করে যে, সেখানে তাদের প্রতি অপমানজনক ব্যবহার করা হচ্ছে।