এক্সপ্লোর
Advertisement
ফ্রিজের মধ্যে ৪০টি ব্যাঘ্রশাবকের দেহ, তাইল্যান্ডে মন্দির তল্লাশিতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ সরকারি কর্মীদের
ব্যাংকক: বাঘের মন্দির নয়, আসলে বাঘের কবরখানা। গোটা বিশ্বে বিখ্যাত তাইল্যান্ডের টাইগার টেম্পলের আসল চেহারা যত সামনে আসছে, ততই শিউরে উঠছেন বন্যপ্রাণী বিষয়ক কর্মীরা। বুধবার ওই বৌদ্ধ মন্দিরের ফ্রিজের ভেতর থেকে উদ্ধার হয়েছে ৪০টি বাঘের ছানার দেহ। ফলে প্রশ্ন উঠেছে, বন্যপ্রাণীর বেআইনি কারবারের সঙ্গে মন্দির কর্তৃপক্ষের যোগসাজস ছিল কিনা।
টাইগার টেম্পলের বিরুদ্ধে লুপ্তপ্রায় প্রাণীদের নিয়ে ব্যবসা করার অভিযোগ বহুদিন ধরেই ছিল। মাঝে মধ্যেই শোনা যেত, ওখানে থাকা বাঘের হিসেব মিলছে না। বিদেশি পর্যটকদের বাঘের সঙ্গে ছবি তোলা, বাঘকে চান করানো ইত্যাদির সুযোগ দিয়ে কোটি কোটি ডলার উপার্জন করত ওই ব্যাঘ্র মন্দির। বাঘের ব্যবসা বন্ধ করার চেষ্টা সরকার আগেও করেছে কিন্তু আদালত থেকে স্থগিতাদেশ এনে তা বন্ধ করে দেয় মন্দির কর্তৃপক্ষ। অবশেষে আদালতেই মামলা জিতে তাইল্যান্ডের বন্যপ্রাণী কর্মীরা পূর্ণবয়স্ক বাঘগুলিকে মন্দির থেকে সরানোর উদ্যোগ নেন। মন্দির তল্লাশির সময় স্থানীয় এক কর্মী তাঁদের জানান, ফ্রিজের মধ্যে ৪০টি মৃত বাঘের ছানা রয়েছে।
বাঘের দেহাংশ নিয়ে ব্যবসা বেআইনি হলেও এশিয়ার বিভিন্ন দেশে বিশেষ করে চিনে ওযুধের বাজারে এই দেহাংশের বিপুল চাহিদা রয়েছে। এমনকী ফ্রিজে জমানো বাঘের ছানাও এই বাণিজ্যিক সাম্রাজ্যের বাইরে নয়। ওয়াইনের বড় বড় জারে ভালুকের থাবা, সাপ, বিছের সঙ্গে অনেকে জমানো বাঘের ছানাও রাখেন। লাগে ওষুধ তৈরিতেও। সেইসব কারণে এইসব বাঘের ছানা রাখা হয়েছিল কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। যদিও মন্দির কর্তৃপক্ষের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই মৃত বাঘের ছানাদের দেহ ফ্রিজে সংরক্ষণ করে আসছে তারা, যাতে প্রমাণ করা যায়, তাদের দেহাংশ দিয়ে ব্যবসা হয়নি। এ ব্যাপারে সরকারে যথাযয রিপোর্ট করা হয়েছে বলেও তাদের দাবি।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
জেলার
ব্যবসা-বাণিজ্যের
খেলার
Advertisement