Offbeat Story: ভারতের এই গ্রামে জন্মের সঙ্গে সঙ্গেই মারা যেত শিশু! ৫০০ বছরের অভিশাপের মুখোমুখি গ্রামবাসীরা?
Do You Know: গ্রামবাসীদের বিশ্বাস, গ্রামে সন্তান প্রসব হলে তা প্রতিবন্ধী হয়ে জন্মায়। এছাড়া গ্রামবাসীরা আরও বলেন, গ্রামে সন্তান জন্ম দিলে মা বা সন্তানের মৃত্যু হয়।
নয়া দিল্লি: আমাদের দেশে এমন একটি গ্রাম রয়েছে, যেখানে সন্তান জন্ম দেওয়ার আগে মানুষ ভয় পায়। এ গ্রামের লোকজন জানান, ৫০০ বছর ধরে গ্রামে কোনও শিশুর জন্ম হয়নি। গ্রামে ডেলিভারি ঘটলেও হয় শিশু বা মা মারা যায়। গ্রামবাসীরা আরও বলেন, একটি শিশু বেঁচে থাকলে সে প্রতিবন্ধী হয়ে পড়ে। এই ধরনের খবর সত্যিই বিস্ময়কর। আসুন খবরে জেনে নেওয়া যাক এই গ্রামগুলো কোথায় এবং এসব আশঙ্কার পেছনে বিস্তারিত কী আছে?
গ্রামটি কোথায়?
আমরা যে গ্রামের কথা বলছি সেটি মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপাল থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে রাজগড় জেলার পার্বতী নদীর তীরে অবস্থিত। এই গ্রামের নাম শ্যামজি শঙ্কা।
গ্রামে না হলে ডেলিভারি হয় কোথায়?
গ্রামবাসীদের বিশ্বাস, গ্রামে সন্তান প্রসব হলে তা প্রতিবন্ধী হয়ে জন্মায়। এছাড়া গ্রামবাসীরা আরও বলেন, গ্রামে সন্তান জন্ম দিলে মা বা সন্তানের মৃত্যু হয়। এ কারণে কোনো নারী গর্ভবতী হলে তাকে প্রসবের জন্য গ্রামের বাইরে পাঠানো হয়। গ্রামে কোনো নারীর প্রসব হয় না। গ্রামবাসী কোনো বৈজ্ঞানিক তথ্য বুঝতে অস্বীকার করে। তারা বলছেন, যেভাবে চলছে তা ঠিক। আমরা একই কাজ চালিয়ে যাব। তাদের মনে ভয় কাজ করে যে খারাপ কিছু হয়ে গেলে কি হবে।
আগে কীভাবে প্রসব করার ব্যবস্থা ছিল?
গ্রামবাসীদের মতে, পুরনো দিনে যখন কোনো হাসপাতাল ছিল না এবং যাতায়াতের কোনো মাধ্যম ছিল না, তখন নারীদের ডেলিভারির জন্য আশেপাশের গ্রামে নিয়ে যাওয়া হতো, কিন্তু গ্রামে কেউ প্রসব হতো না। প্রসবের কয়েকদিন পর ওই নারীদের গ্রামে ফিরিয়ে আনা হয়। কয়েক বছর ধরে গ্রামের মানুষ এভাবে ডেলিভারি করাচ্ছেন। গ্রামের নারীরা জানান, আগে যখন কোনো হাসপাতাল ছিল না, তখন গ্রামের বাইরের মাঠে অনেক প্রসব হতো।
আরও পড়ুন, ফ্রিজে রাখা তরমুজ খাচ্ছেন গরমে? ভুলেও এই ভুল করবেন না!