NASA Shares Image of Earth : রাতের পৃথিবীর ছবি শেয়ার NASA-র, 'জ্বলজ্বল করছে ভারত', লিখলেন নেটিজেনরা
Earth At Night : ইন্সটাগ্রামে NASA পুরনো ছবিটি শেয়ার করেছে
ওয়াশিংটন ডিসি : সম্প্রতি রাতের পৃথিবীর একটি অত্যাশ্চর্য পুরানো ছবি শেয়ার করেছে আমেরিকান স্পেস এজেন্সি NASA। যে ছবিটি আমাদের গ্রহ জুড়ে মানববসতির একটি স্পষ্ট রূপরেখা তুলে ধরেছে। নাসার ছবি সামনে আসতেই সোশাল মিডিয়ায় বিভিন্ন রকমের মন্তব্য করলেন নেটিজেনরা।
রাতের পৃথিবীর স্যাটেলাইট ছবিকে প্রায়শই "নাইট লাইট" হিসাবে উল্লেখ করা হয়। যা প্রায় ২৫ বছর ধরে জনসাধারণের কৌতূহলের কারণ থেকেছে এবং মৌলিক গবেষণার হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। NASA সম্প্রতি যে ছবিটি শেয়ার করেছে, তা অত্যন্ত সুন্দর। ছবিতে দেখা গেছে, কীভাবে মানুষ পৃথিবীতে বসতি গড়ে তুলেছে এবং অন্ধকারে আলো জ্বালিয়েছে।
ইন্সটাগ্রামে NASA একটি পুরনো ছবি শেয়ার করেছে। ২০১৬ সালের ছবি সেটি। তাতে রাতের আলোয় পৃথিবীকে কেমন দেখায় তা ছবিবন্দি করা হয়েছে। পৃথিবীর কক্ষপথকে নীল আলোয় উজ্জ্বল দেখাচ্ছে। ছবিতে ধরা পড়েছে ইউরোপ ও উত্তর আফ্রিকার আলোকিত বিভিন্ন শহর। ছবির ক্যাপশনে আমেরিকার স্পেস এজেন্সি লিখেছে, ছবিটি ২০১৬ সালে রাতের আলোয় পৃথিবীকে দেখা যাচ্ছে। এটি কম্পোজিটিং কৌশলে এটি তোলা হয়েছে যার জন্য ২০১৬ সালের প্রতিটি মেঘমুক্ত রাতগুলিকে বেছে নেওয়া হয়েছে।
নাসার প্রাক্তন এক বিজ্ঞানী মিগুয়েল রোমানকে উদ্ধৃত করে সংস্থা তরফে বলা হয়েছে, এই ডেটা ব্যবহার করে আমরা ঝড়, ভূমিকম্প বা অন্যান্য বিশৃঙ্খলার মতো ছোটখাট পরিবর্তন লক্ষ্য করতে পারব। আমরা নগরায়ন, অর্থনৈতিক পরিবর্তন এবং বিদ্যুতায়ন দ্বারা চালিত পরিবর্তনগুলিও নিরীক্ষণ করতে পারি। এর মাধ্যমে একটি শহরের বিভিন্ন দিক ট্র্যাক করতে পারি । যা মন মুগ্ধ করার মত।
প্রসঙ্গত, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিই মঙ্গলের মাটিতে অভিযান চালানোর সময় কিউরিওসিটির ক্যামেরায় ধরা পড়ে পাথরের গায়ে ছোট ছোট ঢেউ খেলানো দাগ। যেন জলের উপর ঢেউ খেলে গিয়েছে। বিস্তৃত জায়গা জুড়ে এমন পাথর ছড়িয়ে, সেটাই ক্যামেরাবন্দি করে রোভারের ক্যামেরা। তাতেই সাড়া পড়ে যায় পৃথিবীর বিজ্ঞানীদের মধ্যে। কারণ তাঁদের একটি বড় অংশ মনে করেন, এই ঢেউ খেলানো দাগ আসলে বহুযুগ আগে মঙ্গলের মাটিতে জল থাকার বড়সড় প্রমাণ। NASA সূত্রে খবর, এই ঢেউ খেলানো দাগ মঙ্গল গ্রহে Mount Sharp-এর পাথুরে মাটিতে পাওয়া যায়। Curiosity বহু পাথুরে জমির উপর দিয়ে গিয়েছে, পরীক্ষা করেছে, ছবি তুলেছে। কিন্তু এর আগে এত স্পষ্ট দাগ দেখতে পাওয়া যায়নি বলে জানান বিজ্ঞানীরা।