Do You Know: কেন এই মহাদেশকে 'পৃথিবীর রেফ্রিজারেটর' বলা হয়?
Antarctica: আন্টার্কটিকার বরফের আস্তরণ পৃথিবীর একক বরফের আস্তরণের নিরিখে বৃহত্তম। আন্টার্কটিকার ৯৮ শতাংশই বরফে ঢাকা। পৃথিবীর মোট বিশুদ্ধ জলের ৬০ শতাংশই আন্টার্কটিতায় মজুত রয়েছে।
কলকাতা: বিজ্ঞানীরা (Scientist) মহাকাশে অন্য গ্রহে প্রাণের সন্ধানে ব্যস্ত থাকলেও এখন পর্যন্ত পৃথিবীর (Earth) মতো নিরাপদ এমন কোনও গ্রহ খুঁজে পাওয়া যায়নি। এখন পর্যন্ত কোনও গ্রহে প্রাণের কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি। পৃথিবীর তাপমাত্রা ও বায়ুমণ্ডল এমন যে মানুষ সহ সকল জীবই সহজে বসবাস করতে পারে।
তবে গত কয়েক বছরে জলবায়ু পরিবর্তনের (Climate Change) কারণে পৃথিবীও বিপদের মুখে পড়েছে। অ্যান্টার্কটিক সম্পর্কে সাম্প্রতিক যে রিপোর্ট বেরিয়েছে তা বেশ উদ্বেগজনক। যেখানে বলা হচ্ছে এখানের বরফ ক্রমাগত গলে যাচ্ছে। তবে জানেন কি, অ্যান্টার্কটিকায় বরফ থাকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং কেন একে পৃথিবীর রেফ্রিজারেটর বলা হয়?
অ্যান্টার্কটিকা (Antarctica), বরফের চাদরে ঘেরা একটি মহাদেশ, যেখানে নিজস্ব আবহাওয়া রয়েছে। এই মহাদেশ সম্পূর্ণতই তুষারে বেষ্টিত। এই মহাদেশটি বরফের পুরু স্তরে আবৃত। গত কয়েক বছর ধরে বরফের চাদরে ঢাকা মহাদেশ নিয়ে বিজ্ঞানীরা ক্রমশ উদ্বিগ্ন হয়ে উঠছেন। কারণ এই বরফের চাদর ক্রমাগত পাতলা থেকে ছোট হয়ে আসছে। জলবায়ু পরিবর্তনকেই এর কারণ বলা হচ্ছে।
আন্টার্কটিকায় বাতাসের গতি তীব্র। কোনও কোনও জায়গায় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় প্রায় ৩০০ কিলোমিটার। আন্টার্কটিকা পৃথিবীর পঞ্চম বৃহত্তম মহাদেশ। আন্টার্কটিকার বরফের আস্তরণ পৃথিবীর একক বরফের আস্তরণের নিরিখে বৃহত্তম। আন্টার্কটিকার ৯৮ শতাংশই বরফে ঢাকা। পৃথিবীর মোট বিশুদ্ধ জলের ৬০ শতাংশই আন্টার্কটিতায় মজুত রয়েছে। এবং বিশুদ্ধ জল থেকে তৈরি বরফের ৯০ শতাংশই সেখানে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ বছর সমুদ্র পৃষ্ঠের তাপমাত্রা আগের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। অ্যান্টার্কটিকের বরফ যদি এভাবেই গলতে থাকে তাহলে তা পুরো বিশ্বকে প্রভাবিত করতে পারে। বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে আন্টার্কটিকার বরফ গলতে শুরু করেছে। আন্টার্কটিকার পশ্চিম অংশের বরফের চাদর পুরোপুরি গলে গেলে, গোটা বিশ্বের সমুদ্রের জলস্তর ১৬ ফুট বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করেন বিজ্ঞানীরা।
কেন একে পৃথিবীর রেফ্রিজারেটর বলা হয়?
সমুদ্রের বরফ খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি একটি আয়নার মতো কাজ করে। যার কারণে সৌরশক্তি প্রতিফলিত হয়। এটি সমগ্র বিশ্বের জলবায়ুকে প্রভাবিত করে। সমুদ্রের বরফ পুরোপুরি অদৃশ্য হয়ে গেলে ঠান্ডা কমে যাবে এবং প্রচণ্ড তাপের কারণে পৃথিবীর বিপদ পড়তে পারে। তাই অ্যান্টার্কটিকাকে পৃথিবীর রেফ্রিজারেটরও বলা হয়। এটা ছাড়া পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়তেই থাকবে।
আরও পড়ুন, দেহ ফুঁড়ে জন্ম প্রশান্ত মহাসাগরের, প্রায় ৪০০ বছরের অন্তরালপর্ব, অবশেষে অষ্টম মহাদেশের নাগাল মিলল