Peruvian Mummies: স্বাভাবিক মৃত্যু নয়, মেরে ফেলা হয়! পেরুতে উদ্ধার 'এলিয়েন মমি' নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি গবেষণায়

Science News: গবেষণায় চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল। ছবি: ফ্রিপিক।

ছবি: ফ্রিপিক।

স্বাভাবিক মৃত্যু নয়, মেরে ফেলা হয়! পেরুতে উদ্ধার এলিয়েন মমি নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি গবেষণায়

মানুষের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে চেহারা। কিন্তু মানুষ বলে মানতে কোথাও যেন অস্বস্তি হচ্ছিল। পেরুর Nazca মরুভূমি থেকে উদ্ধার হওয়া মমিগুলি আসলে ভিন্গ্রহীদের, অর্থাৎ Alien Mummies বলে তাই দাবি ওঠে।

সেই এলিয়েন মমি নিয়ে এবার চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল। বিজ্ঞানীদের দাবি তিন আঙুল বিশিষ্ট ওই এলিয়েন মমিগুলিগুলিকে খুন করা হয়েছিল।

২০১৭ সালে পেরুর Nazca মরুভূমিতে ওই মমিগুলি উদ্ধার হয়। বছর দুই আগে সেগুলিকে গোটা পৃথিবীর সামনে তুলে ধরা হয়।

আগেই ওই মমিগুলিকে ‘বায়োলজিক্যাল’ বলে উল্লেখ করেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু জানা যায়, পৃথিবীর বিবর্তনের সঙ্গে ওই মমিগুলির কোনও সম্পর্ক নেই। হতে পারে সেগুলি বাইরে থেকে এসেছিল।

এমনকি মমিগুলির মুখের ভিতর ক্যামেরা ঢুকিয়ে বাঁধানো দাঁতের সন্ধান মিলেছে বলে জানান Mexican Navy Medical Department-এর প্রাক্তন ডিরেক্টর José Zalce. সেই নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল কয়েক মাস আগেই।

সেই মমিগুলির এমন পরিণতির কারণ খুঁজতে গিয়ে সম্প্রতি আরও চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের দাবি, মমিগুলির মাথার খুলি পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। তাতে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে।

তাই বিজ্ঞানীদের মতে, শান্তিপূর্ণ মৃত্যু হয়নি মমিগুলির। আঘাত পেয়ে, হিংস্র মৃত্যুর শিকার হয় সেগুলি। তাই মমিগুলিকে জীবিত অবস্থায় খুন করা হয় বলেই মত বিজ্ঞানীদের।

DNA পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ওই মমিগুলি ‘অর্ধেক মানব’ এবং ‘আংশিক অজানা প্রজাতি’র। সেই নিয়ে মেক্সিকোতে UFO সমাবেশও হয়। মমিগুলি নকল হতে পারে, পশুপাখির হাড়গোড় দিয়ে বানানো পুতুল হতে পারে বলেও দাবি ওঠে।

কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণা অন্য কথা বলছে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, আজ থেকে প্রায় ১২০০০ বছর আগে মমিগুলির মৃত্যু হয়। তবে সেগুলি কোথা থেকে এসেছে, এখনও তা অস্পষ্ট।

তবে এই মমিগুলির মধ্যে দু’টিকে স্ত্রী এবং একটিকে পুরুষ বলে চিহ্নিত করার খবরও সামনে এসেছে। ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি দৈর্ঘ্যের একটি মমির শরীরে কাটা এবং কামড়ের দাগ রয়েছে।