শেষ বলে জয়ের জন্য ১ রানের প্রয়োজন ছিল নিউজিল্যান্ডের। কিন্তু শামির দুরন্ত ইয়র্কার দেন। অফ স্টাম্পের বাইরে এই ফুলার লেংথ বলে টেলর অন সাইডে স্লগ করার চেষ্টা করেন টেলর। কিন্তু বল তাঁর ব্যাটের কানায় লেগে স্টাম্পে আছড়ে পড়ে। ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে।
2/6
হ্যামিল্টনে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে চলতি টি ২০ সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে টানটান থ্রিলারে সুপার ওভারে জিতল ভারত। টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে ভারত। রোহিত শর্মার ঝোড়ো ৬৫ রানের ইনিংসে ভর করে ভারত নির্ধারিত ২০ ওভারে করে পাঁচ উইকেট ১৭৯ রান। রান তাড়া করতে নেমে একটা সময় জয়ের গন্ধ পাচ্ছিল ব্ল্যাক ক্যাপরা। কিন্তু ভারতের পেসার মহম্মদ শামির একটা ওভার ম্যাচের মোড় পাল্টে দিল। কার্যত নিশ্চিত হারের মুখ থেকে দলকে টেনে তুললেন তিনি। ম্যাচ গড়াল সুপার ওভারে। শেষ দুই বলে রোহিতের ছক্কায় নিউজিল্যান্ডের মাঠে প্রথমবার টি ২০ সিরিজ জয় নিশ্চিত করল মেন ইন ব্লু ব্রিগেড। ভারত সিরিজে এগিয়ে গেল ৩-০।
3/6
নিউজিল্যান্ডের দুই বলে দুই রান দরকার। এই পরিস্থিতিতে ওভারের পঞ্চম বল করেন শামি। সেই বলও খেলতে গিয়ে মিস করেন সেইফার্ট। নন স্ট্রাইকার টেলর রান নিতে দৌড় শুরু করেন। কেএল রাহুলের থ্রো উইকেটে লাগেনি। একটি বাই রান পায় নিউজিল্যান্ড। ম্যাচে উভয় দলের স্কোর তখন সমান।
4/6
শেষ ওভারে জয়ের জন্য নিউজিল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ৯ রানের। ক্রিজে ছিলেন রস টেলর ও কেন উইলিয়ামসন। এতক্ষণ দুরন্ত ব্যাটিংয়ে দলকে জয়ের লক্ষ্যে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন উইলিয়ামসন। ৯৫ রানে ব্যাট করছিলেন তিনি। ম্যাচ পুরোপুরি ঢলে ছিল নিউজিল্যান্ডের দিকেই। মনে হচ্ছিল, সিরিজের লড়াইয়ে ফিরে আসবে নিউজিল্যান্ড। কিন্তু শেষ ওভারে শামি আরও একবার প্রমাণ করলেন, ডেথ ওভারে কতটা বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারেন তিনি। ওই ওভারের প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে শামিকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেন টেলর। নিউজিল্যান্ডের তখন জয়ের জন্য প্রয়োজন পাঁচ বলে তিন রান। ম্যাচ তাদের হাতের মুঠোয় বলেই মনে হচ্ছিল। কিন্তু শামি মাথা ঠান্ডা রাখেন। দ্বিতীয় বল করলেন একেবারে সঠিক লেংথে অফ স্ট্যাম্পের বাইরে। ওই বলে এক রান হয়।
5/6
ফলে নিউজিল্যান্ডের শেষ তিন বলে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল দুই রানের। তখনও মনে হচ্ছিল না ম্যাচ নিউজিল্যান্ড হারবে। টিম সেইফার্ট ব্যাট করতে নামেন। বড় শট খেলার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু বল মিস করেন তিনি।
6/6
নিউজিল্যান্ডের চার বলে প্রয়োজন দুই রান। এই পরিস্থিতিতে শামির ওভারের তৃতীয় বলের মুখোমুখি হন উইলিয়ামসন। শামির শর্ট বল গালি অঞ্চল দিয়ে খেলার চেষ্টা করেন কিউই অধিনায়ক। কিন্তু বল কিছুটা বেশি ফাইন খেলেন তিনি। উইকেটরক্ষক কেএল রাহুল তাঁর ডান দিকে লাফিয়ে ক্যাচ ধরেন।