জেনে নিন ক্রিকেটের এই ২৪টি অনন্য রেকর্ডের কথা

শেন ওয়ার্নের ব্যাটিংয়ের হাত খারাপ ছিল না। কিন্তু তিনি কোনওদিন টেস্টে শতরান করতে পারেননি। সর্বোচ্চ রান ৯৯।

পাকিস্তানের প্রাক্তন পেসার ওয়াকার ইউনিসই একমাত্র বোলার যিনি পরপর তিনটি একদিনের ম্যাচে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন।

প্রাক্তন ক্যারিবিয়ান পেসার কোর্টনি ওয়ালশ টেস্টে সবচেয়ে বেশিবার (৪৩) শূন্য রানে আউট হয়েছেন।

ভারতের টেস্ট অধিনায়ক বিরাট কোহলিই বিশ্বের একমাত্র ব্যাটসম্যান যাঁর টি-২০ ম্যাচে ব্যাটিং গড় ৫০-এর বেশি। অন্য কোনও ব্যাটসম্যানের গড় ৪০-ও না। দ্বিতীয় স্থানে থাকা অস্ট্রেলিয়ার অ্যারন ফিঞ্চের টি-২০ গড় ৩৮.৯৬।

রিকি পন্টিংয়ের অস্ট্রেলিয়া ২০০৩-এর ১১ জানুয়ারি থেকে ২৪ মে পর্যন্ত টানা ২১টি একদিনের ম্যাচ জিতেছিল। এই ম্যাচগুলির মধ্যে সেবারের বিশ্বকাপও ছিল। ফাইনালে হেরে গিয়েছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ভারত।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০০টি শতরান করা সচিন তেন্ডুলকর একদিনের ম্যাচে ৯০-এর ঘরে আউট হয়েছেন ১৮ বার।

রাহুল দ্রাবিড় টেস্ট ম্যাচে ৩১,২৫৮টি বল খেলেছেন। তাঁর চেয়ে বেশি বল অন্য কোনও ব্যাটসম্যানই খেলেননি। দ্বিতীয় স্থানে থাকা সচিন খেলেছেন ২৯,৪৩৭টি বল।

একটি ম্যাচে উইকেটরক্ষক ছাড়া অন্য ফিল্ডার হিসেবে সবচেয়ে বেশি (৮টি) ক্যাচ ধরার রেকর্ড অজিঙ্ক রাহানের দখলে। ২০১৫ সালের ১৪ অগাস্ট গলে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম টেস্টে তিনি এই রেকর্ড গড়েন।

অস্ট্রেলিয়ার মিক লিউইস ২০০৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে একদিনের ম্যাচে ১০ ওভারে ১১৩ রান দিয়েছিলেন। একদিনের ম্যাচের ইতিহাসে এটাই কোনও বোলারের দেওয়া সবচেয়ে বেশি রান।

পাকিস্তানের কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান জাভেদ মিয়াঁদাদ টানা ৯টি একদিনের ম্যাচে অর্ধশতরান করার রেকর্ড গড়েছিলেন ৩০ বছর আগে। সেই রেকর্ড আজও অক্ষত।

হ্যাটট্রিক তো অনেকেই করেছেন। কিন্তু কুয়াডট্রিক? মানে পরপর চার উইকেট! এটি করেছেন একমাত্র লসিথ মালিঙ্গা। শ্রীলঙ্কার এই পেসার ২০০৭ সালে একদিনের বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে পরপর চার বলে শন পোলক, অ্যান্ড্রু হল, জ্যাক কালিস ও মাখায়া এনতিনিকে আউট করেন।

দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডার জ্যাক কালিস টেস্ট ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশিবার (২৩) ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হয়েছেন। দ্বিতীয় স্থানে মুথাইয়া মুরলীধরন (১৯)।

অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন লেগস্পিনার জিমি ম্যাথুজ একমাত্র বোলার হিসেবে একই টেস্টের দুই ইনিংসেই হ্যাটট্রিক করেন। ১৯১২ সালে ইংল্যান্ডের ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তিনি এই রেকর্ড গড়েন।

ইংল্যান্ডের জিম লেকার একটি টেস্টে ১৯টি উইকেট নেওয়ার রেকর্ড গড়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। প্রথম ইনিংসে ৯ উইকেট নেওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে নেন ১০ উইকেট। ভারতের বর্তমান কোচ অনিল কুম্বলে দ্বিতীয় বোলার হিসেবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দিল্লি টেস্টে এক ইনিংসে ১০ উইকেট নেন।

ভারতের কে এল রাহুলই একমাত্র ওপেনার যিনি টেস্ট এবং একদিনের আন্তর্জাতিকের অভিষেক ম্যাচেই শতরান করেছেন।

পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার হাসান রাজার একদিনের ম্যাচে অভিষেক হয়েছিল মাত্র ১৪ বছর ২৩৩ দিন বয়সে। ১৯৯৬ সালে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে সেই ম্যাচ খেলেন রাজা।

দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন অধিনায়ক গ্রেম স্মিথ ২০০৩ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে ১০৯টি টেস্টে দলকে নেতৃত্ব দেন। তিনিই সবচেয়ে বেশি টেস্টে দেশের নেতা। অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক অ্যালান বর্ডার ৯৩টি টেস্টে নেতৃত্বে ছিলেন।

দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন ক্রিকেটার হার্শেল গিবসই একদিনের ম্যাচে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে এক ওভারে ৬টি ছক্কা মারেন। তিনি এই রেকর্ড গড়েছিলেন নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে।

Iসংক্ষিপ্ত ওভারের ক্রিকেটে ভারতের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি প্রথম অধিনায়ক হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২০০টি ছক্কা মেরেছেন।

নিউজিল্যান্ডের প্রাক্তন পেসার ক্রিস মার্টিন সবচেয়ে বেশিবার (৭) টেস্টের দুই ইনিংসেই শূন্য রানে আউট হওয়ার লজ্জাজনক রেকর্ড গড়েছেন। ৭১টি টেস্টে তিনি মোট ৩৬ বার শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন।

কিংবদন্তি বাঁ হাতি স্পিনার বাপু নাদকার্নি ৫০ বছর আগে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে চেন্নাই টেস্টে টানা ২৭ ওভার মেডেন বল করেছিলেন। তিনি ৩২ ওভারে মাত্র ৫ রান দেন। সেই রেকর্ড আজও অক্ষত।

একটি টেস্ট ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ছক্কা মারার রেকর্ড কিন্তু পাকিস্তানের প্রাক্তন পেসার ওয়াসিম আক্রমের। তিনি জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ১৯৯৬ সালে ২৫৭ রানের ইনিংসে ১২টি ছক্কা মেরেছিলেন। ১৯৩২-৩৩ সালে ইংল্যান্ডের ওয়ালি হ্যামন্ড অকল্যান্ড টেস্টে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৩৩৬ রানের ইনিংসে ১০টি ছক্কা মেরেছিলেন। সেই রেকর্ড ভেঙে দেন আক্রম।

পাকিস্তানের শাহিদ আফ্রিদি সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে একদিনের ম্যাচে শতরান করেছিলেন। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে নাইরোবিতে ১৯৯৬ সালে ১৬ বছর ২১৭ দিন বয়সে তিনি এই শতরান করেন।

শ্রীলঙ্কার সনৎ জয়সূর্যর একদিনের ম্যাচে ১৭ বলে ৫০ করার রেকর্ড প্রায় ২০ বছর অক্ষত ছিল। সেই রেকর্ড ভেঙে দেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান এবি ডিভিলিয়ার্স (১৬ বলে ৫০)।