Kali Puja 2023: অস্থিসার মূর্তি, স্পষ্ট শিরা-ধমনী! বহু জনশ্রুতি কঙ্কালেশ্বরী মন্দির ঘিরে
Diwali 2023: কবে কে এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সেটাও নাকি এখন ইতিহাসের তলায় চাপা পড়ে গিয়েছে।
কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: আর পাঁচটা কালীমূর্তির মতো এই দেবীমূর্তির চেহারা নয়। শরীরের অস্থি, শিরা-ধমনী সবই স্পষ্ট এই দেবীমূর্তিতে। 'কঙ্কালেশ্বরী কালী' নামেই পরিচিত পূর্ব বর্ধমানের কাঞ্চননগরের এই দেবী। কথিত রয়েছে এই মন্দির অত্য়ন্ত জাগ্রত। পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) কঙ্কালেশ্বরী কালী মন্দির ঘিরে জড়িয়ে রয়েছে নানা কাহিনি।
কথিত রয়েছে, এই মন্দিরে প্রথমে নাকি কোনও বিগ্রহ ছিল না। কবে কে এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সেটাও নাকি এখন ইতিহাসের তলায় চাপা পড়ে গিয়েছে। পূর্ব বর্ধমানের কাঞ্চননগরের কঙ্কালেশ্বরী মন্দির ঘিরে জড়িয়ে রয়েছে নানা কাহিনি। এই মন্দিরে প্রথমদিকে ছিলনা বিগ্ৰহ,কবে কে এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন তাও জানা যায় নি। কথিত আছে, সাধক কমলানন্দ মায়ের স্বপ্নাদেশ পান। তিনি স্বপ্নে দেখেন যে দামোদরের তীরে দেবী রয়েছেন। দামোদরের তীরে ধোপাদের কাপড় কাচায় ব্যবহার হওয়া একটি পাথর উদ্ধার করেন সেই সাধক। কথিত রয়েছে, বাংলা ১৩২৩ সনে সাধক কমলানন্দ ওই পাথর উদ্ধার করেন। সেই পাথরেই নাকি খোদাই করা ছিল দেবী মূর্তি। পরে গরুর গাড়ি করে পাথরের সেই দেবীমূর্তি নিয়ে এসে প্রতিষ্ঠা করা হয় মন্দিরে।
এখানে দেবী কালীর রূপ কঙ্কালসার। ওই মন্দিরে শরীরের অস্থি,শিরা,ধমনী স্পষ্ট তাই নাম ‘কঙ্কালেশ্বরী কালী’। দেবী এখানে অষ্টভুজা। শায়িত শিবের নাভি থেকে উৎপত্তি হয়েছে দেবীর। শিবের নাভি থেকে বেরিয়েছে পদ্ম, সেই পদ্মের উপর বসে রয়েছেন দেবী। তাঁর চালচিত্রে রয়েছে হাতি। অনুমান করা হয়, এই দেবীমূর্তিটি সম্ভবত বৌদ্ধ বা পাল যুগের। মন্দিরে মূল মূর্তির পাশেই রয়েছে আরও একটি ছোট মূর্তি। মূল মূর্তিটি উদ্ধার হওয়ার কিছুদিন পরেই অন্য আরেকটি পুকুর থেকে উদ্ধার হয়েছিল ছোট মূর্তিটি, স্বপ্নদেশ পেয়ে ছোট মূর্তিটিকেও নিয়ে আসা হয় এই মন্দিরে।
এই মন্দিরে বলি হয় না,চামুণ্ডা মতে দেবীর পুজো (Kali Puja 2023) হয় এই মন্দিরে। সারা বছরই হয় নিত্য পুজো, দীপান্বিতা কালীপুজোর সময় বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়। সেই সময় প্রায় ৩০-৪০ হাজার ভক্তের সমাগম ঘটে এই মন্দিরে। কালীপুজোর দুদিন ধরে চলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। রয়েছে ভোগের ব্যবস্থাও। প্রতিদিনই মন্দিরে ১০ টাকার বিনিময়ে ভোগ খাওয়ানোর ব্যবস্থা আছে। এমনকি প্রতিদিন সকালে বর্ধমানের টাউন হল থেকে বিনা পয়সায় পুণ্যার্থীদের নিয়ে আসার জন্য বাসেরও ব্যবস্থা।
আরও পড়ুন: ভবানী পাঠকের হাতেই নাকি শুরু পুজো! কেন নাম গোবরজনা?