Chandrayaan 3 Lands on Moon: বিশ্বে প্রথম ভারত! চন্দ্রযান ৩-অভিযানে নয়া পালক ইসরোর মুকুটে
Chandrayaan 3 Live: বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে সফল ভাবে সফট ল্যান্ডিং করল ভারতের পাঠানো মহাকাশযান
নয়াদিল্লি: একসঙ্গে একাধিক রেকর্ড তৈরি করল ভারতের ISRO. চন্দ্রযান ৩- (Chandrayaan 3)এর হাত ধরে মহাকাশ বিজ্ঞানে বড়সড় লাফ দিল ভারত। বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে চাঁদের মাটিতে সফলভাবে সফট ল্যান্ডিং (Soft Landing) করল ভারত। নির্দিষ্ট সময়ে চাঁদের মাটি ছুঁল বিক্রম। একদিকে সফল সফট ল্যান্ডিং করে বিশ্বের এলিট স্পেস ক্লাবে (Elite Space Club) যেমন ঢুকে পড়ল ভারত। তার পাশাপাশি তৈরি করল আরও একটি রেকর্ড (Record)। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর (Moon South Pole) কাছে সফল ভাবে সফট ল্যান্ডিং করল ভারতের পাঠানো মহাকাশযান। চাঁদের মাটিতে জলের খোঁজের জন্য এখন এই এলাকাতেই নজর সারা বিশ্বের।
Chandrayaan-3 Mission:
— ISRO (@isro) August 23, 2023
'India🇮🇳,
I reached my destination
and you too!'
: Chandrayaan-3
Chandrayaan-3 has successfully
soft-landed on the moon 🌖!.
Congratulations, India🇮🇳!#Chandrayaan_3#Ch3
২৩ অগাস্ট, বুধবার সন্ধে ৬টা বেজে ৪ মিনিটে চাঁদের মাটি ছোঁয় ভারতের চন্দ্রযান ৩-এর ল্যান্ডার।
মুছে গেল চন্দ্রযান-২-এর ব্যর্থতা। চাঁদে পৌঁছল চন্দ্রযান ৩। কিন্তু এরপর কী? চাঁদের পিঠে ঘুরে ঘুরে বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ করবে রোভার ‘প্রজ্ঞান’। দেখবে চাঁদের মাটির গভীরে কোথায় কী আছে। বুধবার থেকেই শুরু হল চন্দ্রদিন। অর্থাৎ চাঁদের দিন। ওই সময় চাঁদের ওই প্রান্তে পড়বে সূর্যের হালকা আলো। সেই আলোকে কাজে লাগিয়ে পৃথিবীর হিসেবে মাত্র ১৪ দিন যা চাঁদের নিরিখে এক চন্দ্রদিন কাজ করবে চন্দ্রযান-৩।
'বিক্রম' ল্যান্ডারে রয়েছে তিনটি পেলোড। তার মধ্যে RAMBHA-LP চন্দ্রপৃষ্ঠের প্লাজমার ঘনত্ব এবং সময়ের সঙ্গে তার পরিবর্তন পরিমাপ করবে। Chandra’s Surface Thermophysical Experiment বা ChaSTE চাঁদের দক্ষিণ মেরু অঞ্চলের কাছাকাছি তাপমাত্রাগত বৈশিষ্ট্যের পরিমাপ করবে এবং Instrument for Lunar Seismic Activity বা ILSA অবতরণ স্থানের চারপাশে কম্পন পরিমাপ এবং চাঁদের মাটি ও আবরণের গঠন নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে। অন্যদিকে, চাঁদের বায়ুমণ্ডলের মৌলিক গঠনের উপর তথ্য সংগ্রহ করবে ৬ চাকার রোভার। রোভারেও ২টি পেলোড। চন্দ্রপৃষ্ঠের মৌলিক গঠন বোঝার পাশাপাশি, চাঁদে থাকা পাথরের রাসায়নিক উপাদান নিয়ে পরীক্ষা চালাবে তারা। কিন্তু এতসব করতে হবে মাত্র ১৪ দিনে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মতে, চাঁদের দক্ষিণ গোলার্ধে যে জায়গায় সূর্যের আলো পড়ে না, সেখানে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের ২০০ ডিগ্রি নীচে। এই অংশে বরফের আকারে জল থাকতে পারে। উত্তর গোলার্ধের মাটি ও পাথর পৃথিবীতে এনে গবেষণা করেছে তিনটি দেশ। কিন্তু দক্ষিণ গোলার্ধ অনেকটাই অচেনা। সেই অচেনা অংশের কাছাকাছি গিয়ে সেখানকার পরিবেশকে চিনবে রোভার।
আরও পড়ুন: ইতিহাস তৈরি ভারতের! চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে 'বিক্রম'ধ্বজা