(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Chandrayaan 3: ইতিহাস তৈরি ভারতের! চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে 'বিক্রম'ধ্বজা
Chandrayaan 3 Live:চমকে দেওয়ার মতো তথ্য মিলবে, আশায় তামাম বিশ্বের মহাকাশ বিজ্ঞান সংস্থাগুলি।
কলকাতা: ইতিহাস তৈরি করল ভারত। দেশের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ISRO-এর বিজ্ঞানী ও অন্য কর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রম আর মেধার জয়ধ্বজা উড়ল চাঁদের (Moon South Pole) দক্ষিণ মেরুতে। ২৩ অগাস্ট সফলভাবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফট ল্যান্ডিং (Soft Landing) করল ভারতের তৈরি চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3)। মানব সভ্যতার ইতিহাসে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর এমন জায়গায় এই প্রথম পৃথিবীর মাটিতে তৈরি মহাকাশযান সফট ল্য়ান্ডিং করল, পথিকৃৎ ভারত (India)। সেখানেই এবার কাজ শুরু করবে রোভার। চমকে দেওয়ার মতো তথ্য মিলবে, আশায় তামাম বিশ্বের মহাকাশ বিজ্ঞান সংস্থাগুলি।
পথটা বড়ই লম্বা ছিল। ১৪ জুলাই চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি জমিয়েছিল চন্দ্রযান ৩। ইসরোর (ISRO Moon Mission) নিখুঁত অঙ্কে মাপা দীর্ঘ পথ অতিক্রম করেছে এতদিনে। একাধিক জটিল ম্যানুভার ধাপে ধাপে পেরিয়েছে। সফল হয়েছে সফট ল্যান্ডিংয়ের ক্ষেত্রেও। সফট ল্যান্ডিং সফল হওয়ায় মহাকাশ বিজ্ঞানের দুনিয়ায় ভারত চার নম্বর দেশ হল। চাঁদের দক্ষিণ মেরু ভূপ্রকৃতিগত ভাবে অত্যন্ত দুর্গম। বিশাল আকৃতির পাহাড় এবং গভীর ক্রেটার রয়েছে সেখানে। ওই এলাকা আঁধারে ডুবে থাকে। এতগুলো বাধা পেরিয়ে সেখানে সফলভাবে সফট ল্যান্ডিং (Chandrayaan 3 Moon Landing) করে ইতিহাস তৈরি করেছে ভারত। (Chandrayaan 3 Landing on Moon)
চাঁদের (Moon Mission) পা রাখার স্বপ্ন ভারত দেখেছিল এক দশকেরও আগে। চন্দ্রযান মিশনের প্রথম অভিযান চন্দ্রযান ১ (Chandrayaan 1) উৎক্ষেপিত হয়েছিল ২০০৮ সালের অক্টোবরে। চাঁদের মাটির একশো কিলোমিটার উপর থেকে প্রদক্ষিণ করেছিল সেটি। একাধিক তথ্য সংগ্রহ করার লক্ষ্য ছিল ওই চন্দ্রযানের। ওই মহাকাশযানে ছিল ১১টি যন্ত্র। ভারত ছাড়াও, আমেরিকা, ব্রিটেন, জার্মানি, সুইডেন এবং বুলগেরিয়ার তৈরি যন্ত্র নিয়ে উড়েছিল চন্দ্রযান ১। মূল লক্ষ্য সফল হওয়ার পরে আরও কিছুদিন তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছিল। পরে ২০০৯ সালের ২৯ অগাস্ট এর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এটি একটি Impact Probe ছিল। চাঁদের মাটিতে জলের অণু বা Water Molecules খুঁজে পাওয়ার জন্য চন্দ্রযান ১-অভিযান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
এরপর এসেছে চন্দ্রযান ২ (Chandrayan 2)। আগেরটির তুলনায় প্রযুক্তি ও পরিকাঠামোগত দিক থেকে এটি অনেকটাই উন্নত ছিল। ২০১৯ সালের ২২ জুলাই উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। একাধিক ম্যানুভার পেরিয়েছিল সেটি। এতে দুটি অংশ ছিল, ল্যান্ডার (Moon Lander) এবং অরবিটার। শেষ মুহূর্তের একটি অংশ ব্যর্থ হয়। সফট ল্যান্ডিং না হয়ে চাঁদের মাটিতে আছড়ে পড়েছিল ল্যান্ডার। সেই মুহূর্তেও বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য় জোগাড় করেছিল চন্দ্রযান ২। সেই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়েই বেশ কিছু পরিবর্তন করা হয়েছিল চন্দ্রযান ৩-এ। তাতেই চমক। সফল হল এই অভিযান। চাঁদের দক্ষিণ মেরুর প্রত্যন্ত-দুর্গম এলাকায় সফট ল্য়ান্ডিং করল ভারতের চন্দ্রযান ৩। কয়েকদিন আগে রাশিয়ার লুনা যা পারেনি, সেটাই করে দেখালেন ভারতের বিজ্ঞানীরা, আর খরচও ছিল নামমাত্র। মাত্র ৬১৫ কোটি টাকার আশপাশে। যা বিদেশি মহাকাশগবেষণা সংস্থার তুলনায় অনেক অনেক কম।