Climate Change and Prolonged Pregnancy: ৪১ সপ্তাহ ধরে অন্তঃসত্ত্বা, মায়ের পেটেই বড় হয়ে যাচ্ছে সন্তান, দায়ী জলবায়ু পরিবর্তন, বলছে গবেষণা
Science News: ৩১ জানুয়ারি Urban Climate জার্নালে নয়া গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে।

নয়াদিল্লি: জলবায়ু পরিবর্তনের জেরে প্রভাবিত হচ্ছে মানুষের প্রজনন প্রক্রিয়াও। নয়া গবেষণায় এবার এমনই তথ্য উঠে এল। বিজ্ঞানীদের দাবি, বাতাসে দূষণের মাত্রা অতিরিক্ত হলে, অত্যধিক হারে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে গর্ভবতী নারীর শরীরের তার প্রভাব পড়ছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সন্তান প্রসব করার পরিবর্তে, দীর্ঘ সময় অন্তঃসত্ত্বা থাকার ঝুঁকি বাড়ছে ইদানীং। (Climate Change and Prolonged Pregnancy)
৩১ জানুয়ারি Urban Climate জার্নালে নয়া গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে। আর সেই গবেষণায় জলবায়ু পরিবর্তনকে দীর্ঘকালীন গর্ভাবস্থার জন্য দায়ী করেছেন বিজ্ঞানীরা। গর্ভাবস্থার উপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে প্রথম বার গবেষণা চালাতে গিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে বলে জানানো হয়েছে। (Science News)
অস্ট্রেলিয়ায় প্রায় ৪ লক্ষ সন্তান প্রসবের ক্ষেত্রে এই পরিবর্তন চোখে পড়েছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, অত্যধিক তাপমাত্রা বা ঠান্ডা আবহাওয়া যেখানে, বাতাসে ভাসমান ধূলিকণার মাত্রা (PM2.5) যেখানে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি, সেখানে নয় বা ১০ মাসের পরিবর্তে আরও বেশি সময় ধরে গর্ভবতী থাকার ঝুঁকি রয়েছে। ৩৬ বা ৪০ সপ্তাহের পরিবর্তে ৪১ সপ্তাহ পর সন্তানের জন্ম দিতে পারেন মহিলারা।
গবেষণায় বলা হয়েছে, ৪০ সপ্তাহ পর্যন্ত সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়। তারও পরে, ৪১ বা ৪২ সপ্তাহ পর যে সব শিশু জন্ম নেয়, তাদের জন্মের প্রক্রিয়াকে Late Term বা Post Term Births বলা হয়। দেরিতে ভূমিষ্ঠ হওয়ার ক্ষেত্রে বেশ কিছু ঝুঁকি থেকে যায়। দীর্ঘ সময় মায়ের পেটে থাকার দরুণ শিশুর শরীরের বৃদ্ধি ঘটে। সেই শিশু প্রসব করতে গেলে অত্যধিক রক্তক্ষরণ এমনকি হ্যামরেজ পর্যন্ত হতে পারে। আবার মৃত সন্তান প্রসব বা প্রসবের পর সন্তানের মৃত্যুর ঝুঁকিও বেড়ে যায়।
https://www.sciencedirect.com/science/article/pii/S221209552500032X?via%3Dihub বিশদ পড়ুন।
যাঁর নেতৃত্বে গবেষণাটি সম্পন্ন হয়, অস্ট্রেসিয়ার কার্টিন ইউনিভার্সিটির গবেষক সিলভেস্টাক দোদজি নিয়াদানু জানিয়েছেন, সময়ের আগে ভূমিষ্ঠ হওয়া সন্তানের সঙ্গেই শুধু স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ঝুঁকি থাকে না। দেরিতে সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার ক্ষেত্রেও ঝুঁকি থাকে।
গর্ভবস্থায় দূষিত বাতাসে শ্বাস নেওয়া মায়েদের নিয়ে গবেষণা চালানো হয়। সন্তানধারণের তিন থেকে প্রসবের মুহূর্ত পর্যন্ত তাঁদের নিয়ে গবেষণা চলে। আবহাওয়া, দূষণ, তাপমাত্রার ওঠাপড়া এবং আর্দ্রতা তাঁদের শরীরে উপর কী প্রভাব ফেলছে, দেখা হয়। Universal Thermal Climate Index ব্যবহার করে চলে গবেষণা।়
শেষ পর্যন্ত দেখা যায়, ৪৭ হাজার ৩৮০ জন, অর্থাৎ মোট গর্ভবতী মহিলাদের মধ্যে ১২ জনের গর্ভাবস্থা দীর্ঘায়িত হয়। তাঁরা ৪১ সপ্তাহ বা তার বেশি সময় ধরে অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। ওই ৪৭ হাজার ৩৮০ জনই অত্যধিক দূষণ এবং তাপমাত্রার মধ্য়ে ছিলেন। প্রথম বা মা হচ্ছেন যাঁরা, যাঁদের বয়স ৩৫-এর বেশি এবং শহরাঞ্চলে বাস যাঁদের, তাঁরাই বেশি ভুক্তভোগী।
গবেষকরা জানিয়েছেন, অত্যধিক তাপমাত্রা, সেই সঙ্গে বায়ুদূষণ, দুইয়ের জেরে প্রতিক্রিয়াশীল অক্সিজেন অণু সৃষ্টি করে, যা হরমোনের উপর প্রভাব ফেলে। যেভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের জেরে আবহাওয়া চরম থেকে চরমতম হয়ে উঠছে, তাতে ঝুঁকি ক্রমশ বাড়ছে। ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে প্রত্যেক দেশের এব্যাপারে সতর্ক হওয়া উচিত এবং সেই মতো ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত বলে মত বিজ্ঞানীদের।
Check out below Health Tools-
Calculate Your Body Mass Index ( BMI )






















