Alien Turned Soviet Soldiers to Stone: এলিয়েনদের হাতে পাথর হয়ে যান ২৩ রুশ সৈনিক? আমেরিকার ‘গোপন’ নথি ফাঁস
Science News: CIA-র ‘গোপন’ নথি হিসেবে একপাতার একটি রিপোর্ট ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

নয়াদিল্লি: ভিন্গ্রহীদের নিয়ে আমেরিকা তথ্য গোপন করছে বলে অভিযোগ আজকের নয়। আমেরিকার গুপ্তচর সংস্থা CIA-র সেই সংক্রান্ত একটি ‘গোপন’ নথি নিয়ে এই মুহূর্তে জোর চর্চা। কারণ ওই নথিতে বলা হয়েছে, ভিন্গ্রহীদের সঙ্গে সরাসরি সংঘর্ষ বাধে রাশিয়ার। সেই সংঘর্ষে ২৩ রুশ সেনাকে পাথরে রূপান্তরিত করে দেয় ভিন্গ্রহীরা। (Alien Turned Soviet Soldiers to Stone)
CIA-র ‘গোপন’ নথি হিসেবে একপাতার একটি রিপোর্ট ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আমেরিকার New York Post ওই নথিকে ঠান্ডা যুদ্ধের সময়কার বলে দাবি করেছে। ঘটনাটি ১৯৮৯ অথবা ১৯৯০ সালে ঘটে বলে নথিতে উল্লেখ রয়েছে। সাইবেরিয়ায় সামরিক প্রশিক্ষণ চলাকালীন একদল রুশ সৈনিক ভিন্গ্রহীদের সংস্পর্শে আসেন বলে দাবি করা হয়েছে। (Science News)
নথি অনুযারী, ভিন্গ্রহীদের সাক্ষাৎ পাওয়ার বিষয়টি চেপে গিয়েছিল তদানীন্তন সোভিয়েত ইউনিয়ন। কিন্তু ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন হলে, ভেঙে যায় তাদের গুপ্তচর সংস্থা KGB-র। আর তাতেই গোপন কথা আর চাপা থাকেনি।
New York Post-এর দাবি, KGB ভেঙে গেলে তাদের ২৫০ পাতার একটি রিপোর্ট CIA-র হাতে আসে। আর তাতেই ভিন্গ্রহীযান দেখতে পাওয়া থেকে ভিন্গ্রহীদের সঙ্গে সাক্ষাতের বিশদ বর্ণনা ছিল। রিপোর্টে প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানও নথিবদ্ধ ছিল। রক্তস্নাত এক রুশ সৈনিকের পাথর হয়ে যাওয়ার ছবিও মেলে বলে দাবি করেন আমেরিকার এক গুপ্তচর। প্রতিশোধস্পৃহা থেকেই ভিন্গ্রহীরা রুশ সৈনিকদের পাথরে রূপান্তরিত করে দেয় বলে জানা যায়।
ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রশিক্ষণ চলাকালীন খুব নীচ দিয়ে ভিন্গ্রহীযান উড়ে যেতে দেখেন রুশ সৈনিকরা। প্লেটের মতো দেখতে একটি যানকে মাথার উপর দিয়ে উড়ে যেতে দেখে অবাক হয়ে যান সকলে। শত্রুপক্ষের হানা ভেবে সেই সময় ওই যানকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ভিন্গ্রহীযানটি মাটিতে আছড়ে পড়ে। এর পর যানটির ভিতর থেকে পাঁচ খর্বাকৃতির ভিন্গ্রহী প্রাণী বেরিয়ে আসে বলে দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে। বলা হয়েছে, তাদের মাথা ছিল আকারে তুলনামূলক বড়, চোখ ছিল কালো ও বড় বড়।
ওই ভিন্গ্রহীরা দলবদ্ধ হয়ে গোল হয়ে দাঁড়ায় এবং আকারে ক্রমশ বড় হতে থাকে বলে দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে। একসময় উজ্জ্বল আলো ঠিকরে বেরোতে শুরু করে তাদের গা থেকে। খুব কাছ থেকে গোটা বিষয়টি দেখছিলেন ২৩ জন রুশ সৈনিক। সেই আলোর স্পর্শে তাঁরা প্রস্তরস্তম্ভে পরিণত হয়ে যান। আরও দুই রুশ সৈনিক ছাউনির নীচে কিছুটা তফাতে ছিলেন। তাঁরা আলোর বিস্ফোরণের আঁচ এড়াতে পারেন বলে দাবি করা হয়েছে। ধ্বংসপ্রাপ্ত ওই ভিন্গ্রহীযান এবং পাথর হয়ে যাওয়া সৈনিকদের KGB উদ্ধার করে মস্কোর গোপন আস্তানায় নিয়ে যায় বলে দাবি। ওই উজ্জ্বল আলোর প্রভাবেই মানবশরীরের কোষ প্রস্তরীভূত হয়ে যায়, যাকে চুনাপাথরের সঙ্গে তুলনা করেন তদানীন্তন সোভিয়েত বিজ্ঞানীরা। এই দাবি সত্য হলে ভিন্গ্রহীরা অতি শক্তিশালী হাতিয়ারের অধিকারী বুঝতে হবে বলে মত সকলের।
যে ‘গোপন’ নথিকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে, সেটি ২০০০ সালে প্রথম সামনে আসে। কানাডা ও ইউক্রেনের সংবাদমাধ্যম সেই নিয়ে খবরও ছাপে। তবে রাশিয়া বা আমেরিকার সরকার সেই নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।






















