Nuclear Explosion on Mars: মঙ্গলগ্রহেও ছিল মানবসভ্যতা, পরমাণু যুদ্ধে ভস্ম হয়ে যায় সবকিছু? হার্ভার্ড-বিজ্ঞানীর চাঞ্চল্যকর দাবি
Civilisation on Mars: মঙ্গলগ্রহে একসময় আস্ত সভ্যতা ছিল বলে বরাবরই দাবি করে আসছেন ব্র্যান্ডেনবার্গ।

নয়াদিল্লি: পৃথিবীর বাইরে প্রাণধারণের উপযুক্ত পরিবেশ খুঁজতে গিয়ে, সবার আগে নাম উঠে এসেছে লালগ্রহ মঙ্গলের। বিজ্ঞানীরা তো বটেই, পৃথিবীর তাবড় ধনকুবেরও ভবিষ্যতে সেখানে উপনিবেশ গড়ার স্বপ্নে বিভোর। সেই নিয়ে বিচার-বিশ্লেষণের মধ্যেই হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানী ডঃ জন ব্র্যান্ডেনবার্গের গবেষণা নিয়ে নতুন করে কাটাছেঁড়া শুরু হয়েছে। ব্র্যান্ডেনবার্গের দাবি ছিল, মঙ্গলের মাটিতে একসময় আস্ত সভ্যতা গড়ে উঠেছিল। কিন্তু ভিনগ্রহীদের আক্রমণে সেই সভ্যতা ধ্বংস হয়ে যায়। পরমাণু হামলা চালিয়ে শেষ করে দেওয়া হয় সবকিছু। সেই দাবি এবার গুরুত্ব পেতে শুরু করেছে। (Nuclear Explosion on Mars)
মঙ্গলগ্রহে একসময় আস্ত সভ্যতা ছিল বলে বরাবরই দাবি করে আসছেন ব্র্যান্ডেনবার্গ। ২০১১ সালেও সেই নিয়ে মুখ খুলেছিলেন তিনি। দাবি করেছিলেন, মঙ্গলের লাল রং এমনি এমনি হয়নি। একসময় নির্ঘাত সেখানে Thermonuclear বিস্ফোরণ ঘটেছিল। মঙ্গলের মাটিতে যে রাসায়নিক উপাদান পাওয়া গিয়েছে, তা পৃথিবীতে পরমাণুকেন্দ্রের মাটিতে পাওয়া উপাদানের সঙ্গে মিলে গিয়েছে। সেই সময় অধিকাংশ সতীর্থরাই ব্র্যান্ডেনবার্গের দাবিতে আমল দেননি। পরমাণু বিস্ফোরণ ঘটলে তেমন কোনও গহ্বর বা তার কোনও চিহ্ন কেন নেই প্রশ্ন তুলেছিলেন সকলে। (Civilisation on Mars)
কিন্তু সম্প্রতি ব্র্যান্ডেনবার্গের দাবি গুরুত্ব পেতে শুরু করেছে। কারণ Danny Jones Podcast-এ অংশ নেওয়া জেসন রেজা জোরজানি ব্র্যান্ডেনবার্গের সেই দাবিতে কার্যত সিলমোহর দিয়েছেন। জেসন পিএইচডি করেছেন দর্শনে। তিনি কল্পবিজ্ঞান নির্ভর গল্প লেখেন। তিনি জানিয়েছেন, মঙ্গলগ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব থাকা নিয়ে ব্র্যান্ডেনবার্গ তত্ত্ব দিয়েছিলেন, তা যথেষ্ট ‘উদ্বেগজনক প্রমাণ’। জেসন বলেন, “প্রত্যেক গ্রহে ভিন্ন ভিন্ন উপাদানের নির্দিষ্ট আইসোটোপ (রাসায়নিক উপাদানের) রয়েছে। সৌরজগতের সর্বত্র মোটামুটি ভাবে Xenon 129-এর সমমাত্রিক আইসোটোপ রয়েছে। একমাত্র ব্যতিক্রম মঙ্গলগ্রহ।”
আর এই প্রসঙ্গেই ব্র্যান্ডেনবার্গের গবেষণা তুলে ধরেন জেসন তিনি জানান, মঙ্গলগ্রহের বায়ুমণ্ডলে উচ্চ ঘনত্বের Xenon-129 রয়েছে। মাটিতে রয়েছে ইউরেনিয়াম এবং থোরিয়াম। Xenon-129 একটি স্থিতিশীল, তেজস্ক্রিয়হীন গ্যাস, যা Xenon মৌলের একটি বর্ণহীন, গন্ধহীন এবং স্বাদহীন রূপ। পৃথিবীর বায়ুণমণ্ডলেও এই গ্যাস স্বল্পমাত্রায় পাওয়া যায়। পরমাণু চুল্লি থেকে নির্গত হয় এই Xenon-129.
মঙ্গলগ্রহের Cydonia অঞ্চলে NASA অতিমাত্রায় Xenon-126 আইসোটোপ পেয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মঙ্গলের উত্তর গোলার্ধে অবস্থিত Cydonia-তে মনুষ্যনির্মিত স্তম্ভের মতো দেখতে কিছু কাঠামো রয়েছে। সেগুলি আসলে পিরামিড, তাতে মানুষের মুখের মতে নকশা বোঝা যায় বলেও দাবি করেন কেউ কেউ। যদিও NASA-র দাবি, ছায়া এবং মাটির আকার মিলে দৃষ্টিবিভ্রম ঘটে, তাতেই কাঠামোর উপর মুখ আঁকা বলে ঠাহর হয়।
মঙ্গলে অতিমাত্রায় Xenon-126 পাওয়া নিয়ে NASA-র দাবি, পাথুরে মাটি থেকে গ্যাস বায়ুমণ্ডলে গিয়ে মিশেছে। যদিও ব্র্যান্ডেনবার্গ দাবি করেন, পরমাণু বিস্ফোরণের জেরেই এমনটা ঘটেছে। শুধু তাই নয়, ব্র্যান্ডেনবার্গের দাবি, পৃথিবীর মতোই একসময় মঙ্গলগ্রহে প্রাণধারণের উপযুক্ত পরিবেশ ছিল। পৃথিবীর মিশর সভ্যতার সঙ্গে মঙ্গলের সভ্যতার তুলনা টানেন তিনি। জেসনের দাবি, আমেরিকার গুপ্তচর সংস্থা CIA-র একটি রিপোর্টে, মঙ্গলে একসময় সভ্যতা থাকার কথা তুলে ধরা হয়েছিল। গ্রহটি বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠলে সভ্যতা ধ্বংস হয়ে যায়। আজ থেকে লক্ষ লক্ষ কোটি বছর আগে মঙ্গলে সভ্যতা ছিল এবং সেই সময়ই পরমাণু বিস্ফোরণ ঘটে থাকতে পারে বলে দাবি করেছেন জেসন। CIA এবং ব্র্যান্ডেনবার্গের রিপোর্ট পাশাপাশি রেখে মিলিয়ে দেখার কথাও বলেন তিনি। জেসন আরও জানান, ১৯৮৪ সালে দো ম্যাকমোনাগলসকে মঙ্গলে নজরদারির দায়িত্ব দেয় CIA. মনরো ইনস্টিটিউট থেকে গোটা বিষয়টি পরিচালিত হয়। ‘Mars Exploration May 22, 1984’ নামের একটি ‘গোপন’ রিপোর্ট ২০১৭ সালে সামনে আসে। সম্প্রতি ফের সেটি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। যদিও CIA মঙ্গলে সভ্যতার অস্তিত্ব নিয়ে কখনওই প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করেনি।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
