Science News: মঙ্গলের আকাশে রহস্যজনক বস্তু, ধূমকেতু না ভিনগ্রহী চর? 3I/ATLAS নিয়ে কেন এই নীরবতা? বাড়ছে কৌতূহল
3I/ATLAS Comet: মঙ্গলের আকাশে নলাকার বস্তুটি আসলে 3I/ATLAS-, সেটি আসলে ভিনগ্রহী যান বলে দাবি করতে শুরু করেছেন আরও অনেকেই।

নয়াদিল্লি: ধূমকেতু বলে দাগিয়ে দেওয়া হলেও, আসলে সেটি ভিনগ্রহী চর বলে দাবি বিজ্ঞানীদেরই একাংশের। সেই আবহেই মঙ্গলের আকাশে দেখা মিলল রহস্যজনক আন্তঃনাক্ষত্রিক বস্তুর, যা 3I/ATLAS বলেই মনে করা হচ্ছে। গত সপ্তাহে মঙ্গলগ্রহের খুব কাছাকাছি অবস্থান করছিল সেটি। ওই সময়ই মঙ্গলের মাটি থেকে ছবিটি তুলে পাঠিয়েছে NASA-র পার্সিভ্যারেন্স রোভার। আর সেই ছবি সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। অস্বাভাবিক আকার দেখে আবারও প্রশ্ন উঠছে, 3I/ATLAS সত্যিই ধূমকেতু তো? কোনও ভিনগ্রহী যান নয় তো? (3I/ATLAS Comet)
মঙ্গলের মাটিতে মোতায়েন রয়েছে NASA-র পার্সিভ্যারেন্স রোভার। রাতের আকাশে তাক করে সেটিই যে ছবি তুলেছে, তা 3I/ATLAS-এর বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ ওই দিন মঙ্গলের সবচেয়ে কাছাকাছি অবস্থানে থাকার কথা ছিল আন্তঃনাক্ষত্রিক বস্তুটির। পার্সিভ্যারেন্স রোভারের রাইট নেভিগেশন ক্যামেরা (ন্যাভক্যাম) জেজিরো গহ্বর থেকে যে ছবিটি তুলেছে, তাতে নলাকার একটি মহাজাগতিক বস্তু দেখা যাচ্ছে। সেটির গায়ের রংও ঊজ্জ্বল বলে ঠাহর হচ্ছে ছবিত, যা কৌতূহলের উদ্রেক ঘটিয়েছে। কারণ নলাকার গ্রহাণু বা ধূমকেতু সাধারণত চোখে পড়ে না। তাই সেটি কোনও সাধারণ মহাজাগতিক বস্তু নয় বলে মনে করছেন অনেকেই। কিন্তু এই মুহূর্তে বিশদ কিছুই জানা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ আমেরিকায় রাজনৈতিক টানাপোড়েনের জেরে সরকারি সব কাজকর্ম বন্ধ। বন্ধ রয়েছে NASA-র কাজকর্মও। ফলে ‘র’ ফর্ম্যাটে একটি অস্পষ্ট ছবিই শুধুমাত্র আপলোড করা হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়।

চলতি বছরের ১ জুলাই 3I/ATLAS আবিষ্কৃত হয়। সেটিকে আন্তঃনাক্ষত্রিক বস্তু,বলে চিহ্নিত করেন বিজ্ঞানীরা। বলা হয়, 3I/ATLAS সৌরজগতের বাইরের কোনও নক্ষত্রের অংশ। আমাদের সৌরজগত হয়ে ছুটে যাবে। চরিত্রগত ভাবে সেটি একটি ধূমকেতু, যাকে ঘিরে রয়েছে বরফ, ধুলো ও গ্যাস। 3I/ATLAS-এর আয়তন ১১.২ কিলোমিটার বলেও জানানো হয়।
কিন্তু গোড়া থেকেই 3I/ATLAS-কে ঘিরে বিতর্ক। হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক তথা বিজ্ঞানী আবি লোব দাবি করেন, 3I/ATLAS কোনও আন্তঃনাক্ষত্রিক বস্তু নয়, বরং ভিনগ্রহীদের মহাকাশযান। আবি এবং তাঁর সহযোগী অ্যাডাম হিবার্ড এবং অ্যাডাম ক্রোল একটি গবেষণাপত্রও প্রকাশ করেন। তাঁরা জানান, আগে যে আন্তঃনাক্ষত্রিক বস্তুর সন্ধান মিলেছিল, সেগুলির গতি অনেক বেশি ছিল। যেভাবে সৌরজগতে প্রবেশ করছে 3I/ATLAS, তাও একেবারে আলাদা। ভিনগ্রহের কোনও সভ্যতা সেটিকে সৌরজগতে নজরদারি ও তথ্য সংগ্রহ করতে পাঠিয়েছে। পৃথিবীবাসী যেমন মহাকাশে কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠান, একই বাবে ভিনগ্রহীরা সৌরজগতে মহাকাশযান পাঠিয়েছে। মঙ্গল, বৃহস্পতি এবং শুক্রগ্রহের উপর নজরদারি চালাতে বিশেষ প্রযুক্তি মোতায়েন করা হতে পারে বলেও দাবি করেন আবি এবং তাঁর সহযোগীরা।
মঙ্গলের আকাশে নলাকার বস্তুটি আসলে 3I/ATLAS-, সেটি আসলে ভিনগ্রহী যান বলে দাবি করতে শুরু করেছেন আরও অনেকেই। মহাকাশ সন্ধিৎসু Leo Orwelliano সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘র’ ফুটেজ তুলে ধরে লেখেন, ‘আবারও 3I/ATLAS-এর দেখা মিলল। ধূমকেতু বলে কিন্তু মনে হচ্ছে না একেবারেই। মঙ্গলের আকাশে ঊজ্জ্বল নলাকার একটি বস্তু। না ধুলো, না ধোঁয়া। পরিষ্কার আকার। সেকেন্টে ৬৮ কিলোমিটার গতি। ঠিক কী দেখছি আমরা’?
NEW IMAGE FROM MARS:
— Leo Orwelliano 👁️🗨️ (@orwelliano90) October 6, 2025
3I/ATLAS spotted again and this time, it doesn’t look like a comet. A perfect glowing cylinder drifting across the Martian sky. No dust plume. No fragmentation. Just… structure.
Do you realize this is happening right now at 68 kilometers per second?
What… pic.twitter.com/KKW3pekYmX
NASA-র কাজকর্ম যদিও বা বন্ধ হয়, চিন বা ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি কী করছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। একজন লেখেন, “মঙ্গলের উপর দিয়ে ছুটছে 3I/ATLAS. NASA বন্ধ, ভাল কথা, সন্দেহজনকও, কাকতালীয় হলেও দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয়। কিন্তু চিনের Tianwen-½-এর তোলা ছবি কোথায়? ESA-র ছবি কই? জ্যোতির্বিজ্ঞানী, বিজ্ঞান সংস্থার বক্তব্য কোথায়? সকলে নীরব কেন’? প্রাচীন যুগে গুহায় আঁকা ছবির সঙ্গেও ওই মহাজাগতিক বস্তুর মিল পেয়েছেন কেউ কেউ।
এই মুহূর্তে মঙ্গলের গা ঘেঁষে ছুটে চলেছে 3I/ATLAS. ঘণ্টায় ৩ কোটি কিলোমিটার গতিতে ছুটে চলেছে সেটি। 3I/ATLAS-এর উপর নজরদারি চালাতে হাবল স্পেস টেলিস্কোপ এবং জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ প্রস্তুত রেখেছিল NASA. পাশাপাশি, কৃত্রিম উপগ্রহ থেকেও নজরদারি চালানোর কথা ছিল। আমেরিকায় সরকারের কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যাওয়ায়, সব কিছু অন্ধকারে।























