Science News: আজ সবচেয়ে ছোট দিন, ক্যালেন্ডারে চিহ্নিত আরও দু’টি তারিখ, হঠাৎ জোরে ছুটছে পৃথিবী, কারণ নিয়ে ধন্দে বিজ্ঞানীরা
Earth Spinning Faster: নিজের অক্ষের চারিদিকে একবার ঘুরতে ২৪ ঘণ্টা বা ৮৬ হাজার ৪০০ সেকেন্ড সময় নেয় পৃথিবী।

নয়াদিল্লি: ২০২৫ সালের ৯ অগাস্ট দিনটির উল্লেখ থাকতে পারে ইতিহাসের পাতায়। কারণ পৃথিবীর ইতিহাসে আজই দিনের দৈর্ঘ্য সবচেয়ে কম হতে পারে। অদ্ভুত এক সন্ধিক্ষণে এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে আমরা। কারণ আজ নিজের অক্ষের উপর পৃথিবীর ঘূর্ণন আগের চেয়ে বেড়ে গিয়েছে। (Science News)
নিজের অক্ষের চারিদিকে একবার ঘুরতে ২৪ ঘণ্টা বা ৮৬ হাজার ৪০০ সেকেন্ড সময় নেয় পৃথিবী। মাঝেমধ্যে এতে সামান্য হেরফের হয় বইকি। পৃথিবীর গতির এই হেরফেরের উপর নজরদারি চালায় International Earth Rotation And Reference System Service (IERS). আজ পৃথিবীর গতি সবচেয়ে বেশি থাকবে বলে জানিয়েছে তারাই। (Earth Spinning Faster)
গ্রীষ্মকালে সাধারণত দিনের দৈর্ঘ্য বেশি হয়। কিন্তু বছরের অন্য দিনের তুলনায়, আজ বুধবার দিনের দৈর্ঘ্য ১.৩ মিলি সেকেন্ড কম হবে বলে জানিয়েছে IERS. পৃথিবীর গতি বাড়ছে বলে ২০২০ সালেই প্রথম বুঝতে পারে তারা। তবে শুধুমাত্র আজ ৯ অগাস্ট নয়, পর পর আগামী বেশ কয়েক দিন দিনের দৈর্ঘ্য কম থাকবে বলে জানিয়েছে IERS.
IERS জানিয়েছে, ৯ জুলাই, ২২ জুলাই এবং ৫ অগাস্ট দিনের দৈর্ঘ্য তুলনামূলক কম হবে। পৃথিবীর গতিবেগ বেশি থাকবে এই সময়কালে। এই সময় নিরক্ষরেখা থেকে চাঁদের দূরত্বও বেশি হবে। পৃথিবীর ঘূর্ণনে চাঁদেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। চাঁদের অভিকর্ষবলের দরুণ পৃথিবীতে যেমন জোয়ার-ভাঁটা হয়, তেমনই গতির উপরও প্রভাব পড়ে। চাঁদের অভিকর্ষ শক্তি বেশি অনুভূত হলে, সামান্য শ্লথ হয়ে পড়ে পৃথিবী।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, আজ থেকে ২০ কোটি বছর আগে, পৃথিবীতে দিনের দৈর্ঘ্য ছিল ২৩ ঘণ্টা। সেই নিরিখে আগামী ২০ কোটি বছরে দিনের দৈর্ঘ্য বেড়ে ২৫ ঘণ্টা হবে বলে মত তাঁদের। কখনও কখনও এক সেকেন্ড এদিক ওদিক জুড়ে দেয় IERS, যাতে হিসেব নিয়ন্ত্রণে থাকে। শেষ বার, ২০১৬ সালের ৩১ অক্টোবর বাড়তি এক সেকেন্ড যোগ করা হয়েছিল সময়ের হিসেবে।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, নিরক্ষরেখা থেকে চাঁদের দূরত্ব বাড়লে, প্রথমেই তার প্রভাব বোঝা যায় না। দিনের দৈর্ঘ্য যদিও একটু বেশি হয়। তবে সাম্প্রতিক হিসেব বলছে, ২০২০-র আগের তুলনায় বর্তমানে সময়ের ফারাক প্রায় ১/২ মিলি সেকেন্ড।
পৃথিবীর ঘূর্ণন প্রভাবিত হয় একাধিক কারণে। ২০১১ সালে জাপানে যখন ৯.০ তীব্রতায় ভূমিকম্প হয়েছিল, সেই সময় দিনের দৈর্ঘ্য ১.৮ মাইক্রোসেকেন্ড কমে যায়। বর্তমানে কী কারণে পৃথিবীর গতিতে হেরফের ঘটছে, তার কারণ এখনও নির্ধারণ করতে পারেননি বিজ্ঞানীরা।






















