Black Iceberg: সাদা বা নীলাভ নয়, সাগরে ভাসছে কালো রংয়ের হিমশৈল? মৎস্যজীবীর তোলা ছবি ভাইরাল
Science News: সম্প্রতি কানাডা উপকূলে কালো রংয়ের হিমশৈলটি দেখতে পান এক মৎস্যজীবী।

নয়াদিল্লি: শ্বেতশুভ্র বা হালকা নীলাভ নয়, জলের উপর কৃষ্ণবর্ণের হিমশৈলর খোঁজ মিলল। কানাডা উপকূলে, সাগরের বুকে মাথা তুলে ভেসে থাকতে দেখা গেল কালো রংয়ের হিমশৈলটিকে। সেই ছবি সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কারণ সাদা, হালকা নীলাভ হিমশৈল ছাড়া অন্য রংয়ের হিমশৈলর কথা শোনেনই অনেকে। এই হিমশৈল আবার কুচকুচে কালো। কী করে এমন সম্ভব প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। তবে এমনটা অসম্ভব নয় বলে মত বিজ্ঞানীদের। (Black Iceberg)
সম্প্রতি কানাডা উপকূলে কালো রংয়ের হিমশৈলটি দেখতে পান এক মৎস্যজীবী। ল্যাব্রাডর উপদ্বীপ এবং গ্রিনল্যান্ডের মাঝে, আটলান্টিক মহাসাগরের একটি শাখা ল্যাব্রাডর সাগর নামে পরিচিত। সেই ল্যাব্রাডর সাগরেই মাথা তুলে ভাসছিল কালো রংয়ের হিমশৈলটি। Hallur Antoniussen নামের ওই মৎস্যজীবী বলেন, “অনেক রকমের হিমশৈল দেখেছি, হিমশৈলকে গড়াতেও দেখেছি, কিন্তু ওই (কালো রংয়ের) হিমশৈলটি একেবারে আলাদা। রং শুধু কালো নয়, আকারে একেবারে হিরের মতো দেখতে।” (Science News)
তবে বিজ্ঞানীদের মতে, হিমশৈলর রং কালো হতেই পারে। এক্ষেত্রে বিজ্ঞানীদের যুক্তি, আসেল সাদা রংয়ের হিমশৈলকেই কালো বলে মনে হতে পারে আমাদের। এক্ষেত্রে হিমশৈলের গঠন অবিন্যস্ত হয়। ফাঁক ফোকরে ঢুকে থাকে বাতাস, যা সমস্ত তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো ছড়িয়ে দেয়।
সাদা আইসবার্গগুলি এমন দেখায় কারণ এগুলি ছোট ছোট আটকে থাকা বাতাসের পকেট দিয়ে ভরা থাকে যা সমস্ত তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো ছড়িয়ে দেয়। ফলে হিমশৈলকে কালো মনে হয়। কিন্তু বয়স যত বাড়ে, হিমশৈলের সঙ্কোচন ঘটে, গঠন আরও মজবুত হয়, বুদবুদের পরিবর্তে স্ফটিকের আকার বড় হয়ে ওঠে এতে ভিতরে ঢুকে থাকা বাতাস বেরিয়ে যায়, আলো ঢুকতে পারে। ফলে কাচের মতো স্বচ্ছ মনে হয় হিমশৈলকে। আবার লাল তরঙ্গদৈর্ঘ্য শোষণ করে যনীল তরঙ্গদৈর্ঘ্য ছড়িয়ে দিলে, সেই হিমশৈলকে নীলাভ দেখায়।
কিন্তু হিমশৈলকে যখন কালো বা ধূসর দেখতে লাগে, তার মধ্যে ময়লা বা গাঢ় পদার্থ বরফের ভিতর আবদ্ধ হয়ে যায়। হিমশৈল বিশেষজ্ঞদের মতে, ওই কালো হিমশৈলটি একটি বড় হিমশৈলের অংশ ছিল। কোনও ভাবে ভেঙে আলাদা হয়ে যায়। জলে ভেসে আসার সময় যেমন আবর্জনা মিশে যায়, তেমনই কিছু বরফও গলে যায় হিমশৈলটির। ফলে ভিতরে আবদ্ধ থাকা উপাদানই হয়ত চোখে পড়ছে দূর থেকে। হিমশৈলটির ৯০ শতাংশ জলের নীচেই রয়েছে। দূর থেকে শুধুমাত্র চূড়ার অংশই চোখে পড়ছে। অগ্ন্যুৎপাতের ফলে নির্গত উপাদান বা উল্কার ধ্বংসাবশেষ মিশলেও কালে দেখায় হিমশৈলকে।






















