নয়াদিল্লি: ল্যাগরেঞ্জ পয়েন্টে পৌঁছতে এখনও কিছু সময় বাকি। তার আগেই কাছ থেকে সূর্যের দর্শন পেল ভারতের সৌরযান Aditya-L1. আদিত্য সোলার উইন্ড পার্টিকল এক্সপেরিমেন্ট (ASPEX) পেলোডটি শনিবার সক্রিয় করে দেওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত তার কাজকর্ম স্বাভাবিক রয়েছে। আর তার দৌলতেই Aditya-L1 প্রথম বার, কাছ থেকে সূর্যের দর্শন পেল। *(ISRO Solar Probe)
Aditya-L1 সৌরযানে যে পেলোড রয়েছে, তাতে দু'টি যন্ত্রাংশ বসানো রয়েছে, সোলার উইন্ড আয়ন স্পেকট্রোমিটার (Swis) এবং সুপার থার্মাল অ্যান্ড এনার্জেটিক পার্টিকল স্পেকট্রোমিটার (Steps). গত ১০ সেপ্টেম্বরই Steps কাজ শুরু করে দেয়। ২ নভেম্বর কাজে হাত দিল Swiss. আর গোড়াতেই সর্বোত্তম কার্যক্ষমতার পরিচয় দিল সেটি। ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরতে সক্ষম দু'টি পৃথক সেন্সর ব্যবহার করে সূর্যের দর্শন পাওয়া সম্ভব হয়েছে।ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ISRO জানিয়েছে, সৌরবায়ুর সঙ্গে বয়ে আসা আয়ন, প্রোটন এবং আলফা কণাগুলি মেপে দেখায় সাফল্য মিলেছে নভেম্বর মাসের প্রথম দুই দিনে একটি সেন্সরের মাধ্যমে এনার্জি হিস্টোগ্রামের নমুনা সংগ্রহ করা গিয়েছে, তাতে প্রোটোনের (H+) একাধিক রূপ এবং আলফার পার্টিকল কাউন্ট (ডাবল আয়োনাইজড হিলিয়াম, He2+) পাওয়া গিয়েছে।
ISRO জানিয়েছে, Swis-এর দিকনির্দেশক ক্ষমতাই সৌরবায়ু থেকে নির্গত প্রোটন এবং আলফার সঠিক পরিমাপ পেতে সাহায্য় করে। এর মাধ্য়মেই সৌরবায়ুর উপাদান, চারিত্রিক বৈশিষ্ট, তার মধ্যে থাকা উপাদান, অন্তর্নিহিত প্রক্রিয়া এবং পৃথিবীর উপর তার কী প্রভাব পড়ে, সেই নিয়ে জমে থাকা দীর্ঘদিনের প্রশ্নের উত্তর মিলবে বলে ভারতীয় আশাবাদী ভারতীয় বিজ্ঞানীরা।
ভারতীয় বিজ্ঞানীদের মতে, প্রোটন এবং আলফা কণার অনুপাতের যে যে পরিবর্তন লক্ষ্য নজরে পড়েছে Swiss-এর, তা থেকে সূর্য থেকে উৎসারিত উষ্ণ ঢেউ সম্পর্কে তথ্য মিলতে পারে, যার উপর আমাদের বায়ুমণ্ডলের প্রভাব রয়েছে।
এই প্রথম সৌর অভিযানে নাম লিখিয়েছে ভারত। গত ২ সেপ্টেম্বর অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধওয়ন স্পেস সেন্টার থেকে সৌরযান Aditya-L1 ল্যাগরেঞ্জ পয়েন্ট L1-এর দিকে রওনা দেয়। পৃথিবী থেকে রওনা দেওয়ার পর, ১৫ লক্ষ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে ল্যাগরেঞ্জ পয়েন্ট L1-এর কক্ষপথে পৌঁছনোর কথা। গত সপ্তাহে ISRO- প্রধান এস সোমনাথ জানান, ল্যাগরেঞ্জ পয়েন্ট L1-এর কক্ষপথে পৌঁছনোর আগে, শেষ পর্যায়ে রয়েছে Aditya-L1. আগামী ৭ জানুয়ারি সেটি গন্তব্যে পৌঁছে যাবে।