Moon: পৃথিবীর উপগ্রহকেই ভবিষ্যতের লাভজনক বিনিয়োগ হিসেবে দেখছে বিশ্ব! কী আছে চাঁদের বুকে?
Moon Mission: বিজ্ঞানীরা বলছেন, চাঁদের বুকে সম্পদের পরিমাণ অবাক করতে পারে যে কোনও শিল্পপতিকে।
কলকাতা: চাঁদের (Moon) যে মাটিতে বসে বুড়ি চরকা কাটে বলে গল্পগাথায় লেখা হয়, কী আছে সেই মাটির নীচে? বিজ্ঞানীরা (Scientist) বলছেন, চাঁদের বুকে সম্পদের পরিমাণ অবাক করতে পারে যে কোনও শিল্পপতিকে। কী আছে চাঁদের বুকে?
ভারত শুধু নয়, আমেরিকা, চিন থেকে রাশিয়া-- সবারই পাখির চোখ এখন চাঁদ। বলা হচ্ছে, চাঁদের পাহাড়ে সম্পদের পরিমাণ শুনলে যে কোনও ব্যবসায়ী বা শিল্পপতি অবাক হয়ে যেতে পারেন।
বিজ্ঞানীদের দাবি, চাঁদের মাটির গভীর আছে - ম্যাগনেসিয়াম, অ্যালুমিনিয়ম, টাইটেনিয়াম, সিলিকনের অফুরন্ত ভাঁড়ার। আধুনিক যুগে এই চারটি জিনিসের অফুরান জোগান অত্যন্ত জরুরি। এছাড়া বিজ্ঞানীরা বলছেন, চাঁদের মাটিতে আছে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম। আছে আর এক মহার্ঘ জিনিস- হিলিয়াম থ্রি। পৃথিবীতে যার খোঁজ বড় একটা মেলে না। এই হিলিয়াম থ্রি, কোনও বর্জ্য ছাড়া শক্তি উৎপাদনে সক্ষম।
একটা হিসেব দেখলে বোঝা যাবে, কত শক্তিশালী এই হিলিমায় থ্রি। ২ টন হিলিয়াম থ্রি সারা ভারতের এক বছরের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি উৎপাদন করতে পারে। স্বাভাবিকভাবে বিশ্বের সমস্ত দেশের নজর যে চাঁদের ওপর থাকবে, তাতে আর অবাক হওয়ার কী আছে।
ফলে, অদূর ভবিষ্যতে, চাঁদের মাটিতে হিলিয়াম থ্রি নিয়ে চোখ রাঙানি, লাঠালাঠি, এমনকী ছোটখাটো যুদ্ধও হতে পারে - এমন আশঙ্কা অমূলক নয়। তবে সেই আশঙ্কা উড়িয়ে আপাতত চোখ রাখা যাক, নতুন আবিষ্কারের আনন্দে।
এদিকে এখনও পর্যন্ত পরিকল্পনামাফিকই এগোচ্ছে চন্দ্রযান-৩। তবে এবারও চাঁদের দক্ষিণমেরুতেই অবতরণ করার কথা রয়েছে। ২০১৯ সালের ৭ সেপ্টেম্বর চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে ‘চন্দ্রযান-২’ থেকে অবতরণের চেষ্টা করেছিল ল্যান্ডার বিক্রম। কিন্তু সফল হয়নি। পেটের মধ্যে রোভার প্রজ্ঞানকে নিয়ে আছড়ে পড়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছিল। গোটা দেশের আশা-আখাঙ্খা শেষ হয়ে গিয়েছিল। তবে বিজ্ঞানীদের আশা, এই অংশে প্রাণের অস্তিত্বের জন্য উপযোগী সম্পদ পাওয়া যেতে পারে। অনুমান, চাঁদের এই অংশে জল এবং অন্যান্য একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ লুকিয়ে রেখেছে চাঁদের বুড়ি।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, অবতরণের সময় চন্দ্রযানের গতিবেগ হতে হবে সেকেন্ডে ২ মিটারের কম। সমান্তররাল গতিবেগ হবে সেকেন্ডে হাফ মিটারের কম। আপাতত এই দুই গতিবেগ নিয়ন্ত্রণই চ্যালেঞ্জ ইসরোর কাছে। অবতরণের জায়গার একাধিক ছবি আগেই পাঠিয়েছে চন্দ্রযান। সেই সব ছবি বিশ্লেষণ করে বাছা হবে অবতরণের ঝুঁকিহীন জায়গা। নামার জায়গাটা কতটা ঝুঁকিহীন সেটা দেখবে হ্যাজার্ডস ক্যামেরা।
আরও পড়ুন, গায়ে পড়ছে রুপোলি আলো, স্পর্শ পেতে আরও দু’দিন, বুধের সন্ধেয় চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ, সম্প্রচার সরাসরি