NASA News: দেড় গুণ বড় আরেক ‘পৃথিবী’! কতদূরে ? কেউ কি আছে
NASA Discovers Super Earth: নাসার খোঁজে এবার আরেকটি গ্রহ। সেখানে জলের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে।
![NASA News: দেড় গুণ বড় আরেক ‘পৃথিবী’! কতদূরে ? কেউ কি আছে NASA discovers super earth may be habitable NASA News: দেড় গুণ বড় আরেক ‘পৃথিবী’! কতদূরে ? কেউ কি আছে](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2024/02/05/1d903027ddf22792835ad321fbeb08e51707148931738928_original.png?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
কলকাতা: পৃথিবীর মতোই আরেক গ্রহের খোঁজ পেল নাসা। আর সেই গ্রহ বাসযোগ্য বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি নাসার তরফে এমনটাই জানানো হয়েছে। ওই গ্রহে জল থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। গ্রহের নাম TOI 715 b। একটি ছোট্ট লাল রঙের বামন নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করছে সেই গ্রহ। এর আকার আকৃতি সম্পর্কেও নানা চমকে দেওয়ার মতো তথ্য পেয়েছেন নাসার গবেষকরা।
পৃথিবীর থেকে দেড়গুণ বড়
আকারে পৃথিবীর থেকে দেড়গুণ বড় এই গ্রহটি। তবে গতি অনেকটাই বেশি। গ্রহের নক্ষত্রটি বামন আকৃতির বলে এটি ১৯ দিনে পুরো ঘোরা শেষ করে। অর্থাৎ বার্ষিক গতি ১৯ দিন। যেখানে পৃথিবীর ৩৬৫ দিন। এই গ্রহের মাটিতে জল পাওয়া যাবে বলে ধারণা বিজ্ঞানীদের। তবে একে সুপার-আর্থ নাম দিয়েছে নাসার গবেষকরা। তার অবশ্য একটি কারণ রয়েছে।
সুপার-আর্থ কেন ?
সুপার-আর্থ বলার কারণ এই গ্রহের চেহারা। পৃথিবীর থেকে এটি আয়তনে দেড়গুণ। পাশাপাশি এতে জল পাওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন বিজ্ঞানীরা। তাই সব মিলিয়ে নাম সুপার আর্থ। বিজ্ঞানীরা সুপার-আর্থ বলার জন্য আরেকটি সংজ্ঞা ঠিক করে রেখেছেন। তা হল একে আয়তনে পৃথিবীর থেকে বড় হতে হবে। কিন্তু ছোট হতে হবে নেপচুনের থেকে।
প্রাণের জন্য উপযোগী সুপার-আর্থ
সুপার-আর্থের আরও কিছু বৈশিষ্ট্য় রয়েছে। কিছু গ্রহের বায়ুমন্ডল পাতলা হয়। তার সঙ্গে গড়ন থাকে পাথুরে। যেমন পৃথিবীর রয়েছে। আবার কিছু গ্রহের নেপচুনের মতো খুব পুরু বায়ুমন্ডল থাকে। কিছু কিছু গ্রহের আবার রিং থাকে। যেমন শনি গ্রহের রয়েছে। সুপার আর্থের ভর, মাধ্যাকর্ষণ বল ও উষ্ণতা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই তিন উপাদানের উপর নির্ভর করে সেখানে প্রাণের জন্ম হবে কি না। পৃথিবী থেকে এই গ্রহ ১৩৭ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত।
কীভাবে সন্ধান মিলল ?
নাসার ট্রান্সিটিং এক্সোপ্ল্যানেট সার্ভে স্যাটেলাইট (টেস)-এর মাধ্যমেই গবেষকরা এটি আবিষ্কার করেন। পৃথিবীর আশেপাশের গ্রহগুলির সন্ধান পেতে ২০১৮ সালে এটি লঞ্চ করা হয়। প্রসঙ্গত, গ্রহগুলি নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করার সময় একটি ছোট্ট বিন্দুর মতো দেখায়। তার আকার আকৃতি থেকেই যন্ত্রটি গ্রহের অবস্থান ঠিক করে। এক্ষেত্রেও তাই করা হয়েছিল। তবে এই গ্রহ বাসযোগ্য কি না তা বুঝতে আরও কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা লাগবে বলেই মনে করছেন নাসার গবেষকরা।
আরও পড়ুন - Plastic Recycling: প্লাস্টিকের জঞ্জাল ‘সাফ’ করবে কাপড় কাচার ডিটারজেন্ট !
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)