Sun Aurora: সূর্যের চারপাশে অরোরা বলয়, নাসার ক্যামেরায় ধরা পড়ল সেই বিরল দৃশ্য
Solar Storm: সূর্যের বায়ুমণ্ডল, বা করোনা, যেখানে গতির প্রাবল্য মারাত্মক, যেখানে সৌর শিখা এবং করোনাল ভর ইজেকশন (CMEs) এর মতো বড় বিস্ফোরণ ঘটে, তারই পাশে তৈরি হয়েছে অরোরা আলোকবৃত্ত।
কলকাতা: ঔজ্জ্বল্য-তীব্রতা এতটাই, তাকে ছোঁয়া তো দূর, কাছেও যাওয়া যায় না। সৌরজগতের অধিপতি সে। তার তেজের কাছে নতিস্বীকার করা ছাড়া আর কোনও উপায় থাকে না। সেই নক্ষত্রেরই এক অপরূপ ছবি ধরা পড়ল নাসার অবজারভেটরি ক্যামেরায়।
সূর্যের বায়ুমণ্ডল, বা করোনা, যেখানে গতির প্রাবল্য মারাত্মক, যেখানে সৌর শিখা এবং করোনাল ভর ইজেকশন (CMEs) এর মতো বড় বিস্ফোরণ ঘটে, তারই পাশে তৈরি হয়েছে অরোরা আলোকবৃত্ত। বিজ্ঞান বলে, যেহেতু চৌম্বক ক্ষেত্রের ভূমিকা এখানে অনেকটাই। সেগুলি প্রচুর পরিমাণে শক্তি নির্গত করে। যা সৌরশিখা তৈরি করে চলে প্রতি নিয়ত।
মহাকাশ সংস্থা একটি ইনস্টাগ্রাম পোস্টে জানিয়েছে, আমাদের সৌরজগতের বৃহত্তম নক্ষত্র হল সূর্য। সূর্যকে ঘিরে কক্ষপথে বড় এবং ছোট গ্রহ থেকে ধূলিকণা ঘুরে বেড়াচ্ছে। সূর্য তার সমস্ত কিছুকেই এর বিশাল আকার এবং চৌম্বকীয় উপস্থিতির মাধ্যমে আটকে রাখে।
View this post on Instagram
সৌর শিখা হল আকস্মিক, উজ্জ্বল আলোর ঝলক যা সূর্যের পৃষ্ঠে দেখা যায়। এগুলি সাধারণত কয়েক মিনিট স্থায়ী হয়। এছাড়াও, এক্স-রে, অতিবেগুনী আলো এবং রেডিও তরঙ্গ সহ ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক বিকিরণের আকারে শক্তির বিস্ফোরণ ঘটে চলে সেখানে। আর্থ সোলার ডাইনামিক্স অবজারভেটরি তেমনই একটি বিকিরণ দেখতে পায়, যা প্রতি সেকেন্ডে ৯০০ মাইল ছুটে চলেছিল। যার ফলেই অরোরার মতো আলোকরেখা তৈরি হয়েছিল বলে ধারণা।
এদিকে, সূর্যের দিকে পাড়ি দেওয়ার পর চতুর্থ বার সৌরযানের কক্ষপথ পরিবর্তন করল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। ISRO সূত্রে জানানো হয়েছে, চতুর্থবার আদিত্য এল ওয়ানের কক্ষপথ পরিবর্তন সফল হয়েছে। আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর, রাত ২টো নাগাদ ফের সূর্যযানের কক্ষপথ বদল করা হবে।
মরিশাস, ব্যাঙ্গালোর, সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র এবং পোর্ট ব্লেয়ারের ইসরোর গ্রাউন্ড স্টেশন থেকে সৌরযানের উপর নজর রাখা হচ্ছে। এখন পৃথিবী থেকে সব থেকে কম ২৫৬ কিমি এবং সব থেকে বেশি ১ লক্ষ ২১ হাজার ৯৭৩ কিমি উপবৃত্তাকার পথে ঘুরছে মহাকাশযানটি। এরপর ১৯ সেপ্টেম্বর, রাত ২টো নাগাদ ফের সূর্যযানের কক্ষপথ বদল করা হবে।