Science News: সূর্যের গা ঘেঁষে উড়ান, সৌর বিস্ফোরণ মাথায় নিয়েও অক্ষত NASA-র মহাকাশযান, সামনে এল ছবি-ভিডিও
Space Science: NASA-র তরফে ওই বিশেষ মুহূর্তের ভিডিও-ও প্রকাশ করা হয়েছে। সূ
নয়াদিল্লি: নেহাত দূর থেকে পর্যবেক্ষণ নয়, ঝড়ঝঞ্ঝা, বিস্ফোরণ মাথায় নিয়ে সূর্যের প্রায় গা ঘেঁষে বেরিয়ে গেল আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা NASA-র পার্কার সোলার প্রোব মহাকাশ যান। যে সে ঝড় নয়, সূর্য থেকে উৎসারিত উষ্ণ ঢেউ (Coronal Mass Ejection) মাথায় নিয়ে অক্ষত অবস্থাতেই দুর্গম পথ পার করল সেটি। পার্কার সোলার প্রোবই প্রথম মহাকাশযান, যে এই অসাধ্য সাধন করে দেখাল। (Science News)
NASA-র তরফে ওই বিশেষ মুহূর্তের ভিডিও-ও প্রকাশ করা হয়েছে। সূর্য থেকে উৎসারিত এই উষ্ণ ঢেউয়ের মধ্যে দিয়ে ছুটে চলেছে পার্কার সোলার প্রোব। ২০২২ সালের ২ সেপ্টেম্বর এই দুর্গম পথ পার করে সেটি। মহাকাশযানের ক্যামেরায় দেখা গিয়েছে, সৌরবলয় থেকে ছিটকে আসছে মুহুর্মুহু আগুনের ফুলকি, প্লাজমা তরঙ্গ। সেই সব পার করে এগিয়ে চলেছে NASA-র মহাকাশযান। (Space Science)
সূর্যের এত কাছাকাছি পৌঁছনোর নেপথ্যে একটিই লক্ষ্য বিজ্ঞানীদের, তা হল সূর্যের রহস্যময় অভ্যন্তরীণ গতিবিদ্যা নিরীক্ষণ। ইদানীং কালে পৃথিবীর বুকে সৌরঝড় নেমে আসার ঘটনা ঘটে চলেছে অহরহ। এখনও পর্যন্ত তাতে বড় ধরনের কোনও বিপর্যয় না ঘটলেও, আগামী দিনে যাতে সতর্ক থাকা যায়, তার জন্যই ঝুঁকিপূর্ণ এই অভিযান।
]
গত ৫ সেপ্টেম্বর দ্য অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নালে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। তাতে হাতে আসা তথ্যাদি তুলে ধরেছে NASA. পার্কার সোলার প্রোব অভিযানের প্রজেক্ট সায়েন্টিস্ট নুর রউফি জানিয়েছেন, এই প্রথম সূর্য থেকে উৎসারিত এই উষ্ণ ঢেউয়ের এত কাছাকাছি পৌঁছনো গেল।
সূর্য থেকে উৎসারিত সৌরকণার ঢেউকে জ্যোতির্বিজ্ঞানের ভাষায় করোনাল মাস ইজেকশন বলা হয়। আগ্নেয়গিরি থেকে যেমন অগ্ন্যুৎপাত ঘটে, বেরিয়ে আসে লাভা, তেমনই সূর্যপৃষ্ঠ থেকে ছিটকে আসে সৌরকণা,যার গতিবেগ ঘণ্টায় কয়েক লক্ষ মাইল। সৌরকণাগুলি একত্রিত হয়ে আছড়ে পড়ে ঢেউয়ের আকারে। তার মধ্যে দিয়েই যাত্রাপথ অতিক্রম করল NASA-র মহাকাশযান।
২০১৮ সালের অগাস্ট মাসে পার্কার সোলার প্রোবের উৎক্ষেপণ হয়। অত্যধিক তাপমাত্রা এবং ক্ষতিকর বিকিরণ থেকে বাঁচতে তার গায়ে রয়েছে ‘হিট শিল্ড’ রক্ষাকবচ। দু’দিন ধরে সৌর উদগীরণকে পর্যবেক্ষণ করে যাকে বিজ্ঞানীরা তিনটি পর্যায়ে ভাগ করেছেন, সবার আগে শক এবং সৌর প্লাজমা, তার পর সৌরঝড় এবং সব শেষে গতিশীল কণার ধারা। পৃথিবীকে সৌরঝড় এবং সৌর উদগীরণ থেকে বাঁচাতেই এই অভিযান বলে জানিয়েছে NASA.