Mount Everest: পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গে শিউরে ওঠা শব্দ! এভারেস্টে রাত নামলেই কান আসে অদ্ভূত আওয়াজ
Mount Everest Mysterious Sound: রাতে কণ্ঠস্বর শোনার বিষয়টিও রেকর্ড করেন বিজ্ঞানী। এরপর ফিল্টার ব্যবহার করে প্রতিটি ভয়েস সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেন।
নয়া দিল্লি: পৃথিবীর (Earth) সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টের (Mount Everest) নাম সবাই জানে। কিন্তু, খুব কম লোকই জানেন যে এই তুষার আচ্ছাদিত চূড়াগুলিতে রাতে শোনা যায় এক বিকট শব্দ। এই আওয়াজগুলো এতই জোরে এবং ভীতিকর হয় যে যে শত শত কিলোমিটার দূর থেকেও শোনা যায়। ডেভ হ্যানই সর্বপ্রথম এ সম্পর্কে জানান। তিনি ১৫ বার এভারেস্টের চূড়া জয় করেছেন। তবে এবার প্রথমবারের মতো এর কারণ খুঁজে বের করার দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা। যা জানলে আপনিও অবাক হবেন।
রাতে এভারেস্ট থেকে ভীতিকর শব্দ আসে
বিজ্ঞানীদের মতে, হিমালয়ে সূর্য অস্ত যাওয়ার পর তাপমাত্রা দ্রুত কমে যায়, যার কারণে এখানে থাকা হিমবাহদেরও সরণ শুরু হয়। উচ্চ উচ্চতায় অবস্থিত হিমবাহগুলো ভাঙতে শুরু করে, যার শব্দ খুবই শিউরে ওঠা। গবেষকরা বলেছেন যে এটি কেবল উচ্চ উচ্চতায় ঘটে থাকে।
কণ্ঠস্বরও শোনা যায়?
২০১৮ সালে, হিমবিজ্ঞানী ইভজেনি পোডলস্কির নেতৃত্বে বিজ্ঞানীদের একটি দল হিমবাহের ভূমিকম্পের ক্রিয়াকলাপ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছিলেন। তারা তিন সপ্তাহ এই হিমালয় অঞ্চলে ছিলেন। সেখানকার পরিবর্তনগুলি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করেছিল। শুধু তাই নয়, রাতে কণ্ঠস্বর শোনার বিষয়টিও রেকর্ড করেন। এরপর ফিল্টার ব্যবহার করে প্রতিটি ভয়েস সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেন। তবে তিনি বুঝতে পারেন এই আওয়াজ কোনও ভৌতিক নয়, হিমবাহ ভাঙার শব্দ।
গবেষকরা কী দেখেছেন?
পোডলস্কি জাপানের হোক্কাইডো বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্কটিক গবেষণা কেন্দ্রে কাজ করেন। তিনি জানান, ২৯ হাজার ফুট উচ্চতায় কাজ করার অভিজ্ঞতা ছিল একেবারেই আলাদা। এভারেস্টের চূড়ায় থাকা এবং খাওয়া। রাতের বেলা তাপমাত্রা -১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট এ নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চূড়ার উচ্চ অংশ থেকে এই শব্দ শোনা যায়।
পোডলস্কি বলেছিলেন তিনি শব্দ শুনে বুঝতে পারেন তা হিমবাহও বিস্ফোরিত হচ্ছে। কম্পন পরিমাপ করার জন্য, তারা হিমবাহের গভীরে সেন্সর স্থাপন করেছিল। যার কারণে প্রতি মুহূর্তে তথ্য পাওয়া যাচ্ছিল। এ থেকে তারা জানতে পেরেছে যে রাতে যে ভীতিকর শব্দ আসছে তা আসলে হিমবাহ ভাঙার শব্দ।
আরও পড়ুন, ভারতের জাতীয় সঙ্গীত ইংরেজিতেও অনুবাদ করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ! পাণ্ডুলিপি প্রকাশ সোশাল মিডিয়ায়