Solar Probe Aditya-L1: লক্ষ্যে নিবিষ্ট ভারতের Aditya-L1, হাতে মাত্র একমাস, পৌঁছে যাবে সূর্যের আরও কাছে

ISRO Solar Probe: মহাশূন্যে সূর্য এবং পৃথিবীর মতো দুই বস্তুর পারস্পরিক আকর্ষণ এবং বিকর্ষণের ফলে যে স্থিতিশীল অঞ্চল গড়ে ওঠে, তাকে ল্যাগ্রেঞ্জ পয়েন্ট বলা হয়।

Continues below advertisement

নয়াদিল্লি: সূর্যের আরও কাছাকাছি ভারতের সৌরযান Aditya-L1. আগামী ৭ জানুয়ারি ল্যাগ্রেঢ্জ পয়েন্ট L1-কে ঘিরে থাকা কক্ষপথে প্রবেশ করবে সেটি। শনিবার তিরুঅনন্তপুরমে সাংবাদিক বৈঠক করে এমনটাই জানালেন ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ISRO-র চেয়ারম্যান এস সোমনাথ। প্রথম সৌর অভিযানে আপাতত সবকিছু ঠিকঠাকই চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি। (Solar Probe Aditya-L1)

Continues below advertisement

তুম্বা থেকে প্রথম ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের ৬০ বছর পূর্তিতে শনিবার বিশেষ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন সোমনাথ। সেখানেই সৌরযান Aditya-L1 নিয়ে আপডেট দেন তিনি। জানান, ল্যাগ্রেঞ্জ পয়েন্টে পৌঁছনোর একেবারে শেষ পর্যায়ে রয়েছে সৌরযান Aditya-L1. আগামী ৭ জুন L1-কে ঘিরে থাকা কক্ষপথে সেটি পৌঁছবে বলে আপাতত ঠিক হয়েছে। (ISRO Solar Probe)

 মহাশূন্যে সূর্য এবং পৃথিবীর মতো দুই বস্তুর পারস্পরিক আকর্ষণ এবং বিকর্ষণের ফলে যে স্থিতিশীল অঞ্চল গড়ে ওঠে, তাকে ল্যাগ্রেঞ্জ পয়েন্ট বলা হয়। পৃথিবী এবং সূর্যের মাঝখানে এমন পাঁচটি ল্যাগ্রেঞ্জ পয়েন্ট রয়েছে। তার মধ্যে একটিই হল L1, পৃথিবী থেকে যার দূরত্ব প্রায় ১৫ লক্ষ কিলোমিটার। এই ল্যাগ্রেঞ্জ পয়েন্টকে মহাকাশযানের পার্কিং স্পটও বলা হয়। কারণ সেখানে কম জ্বালানি খরচ করে, মহাজাগতিক কর্মকাণ্ডের উপর নির্বিঘ্নে নজরদরি চালানো যায়। 

আরও পড়ুন: Seamount Discovered: উচ্চতা বুর্জ খলিফার চেয়েও দ্বিগুণ, প্রশান্ত মহাসাগরের গর্ভে লুকিয়ে থাকা পর্বতের হদিশ মিলল

সেখানেই একটি কক্ষপথে অবস্থান করবে ভারতের সৌরযান Aditya-L1. সেখান থেকে সূর্যের উপর নজরদারি চালাবে সেটি। গত ২ সেপ্টেম্বর সৌরযান Aditya-L1-এর সফল উৎক্ষেপণ হয়, তাতে সাতটি পেলোড রয়েছে। সূর্যের বহিরাবরণ, সূর্যপৃষ্ঠ এবং বায়ুমণ্ডলের মধ্যেকার প্লাজমার আচ্ছাদন, সৌর আলোকমণ্ডল এবং সৌর বায়ুমণ্ডলের উপর নজরদারি চালাবে Aditya-L1.

সূর্যের উপর নজরদারি চালাতে করোনাগ্রাফ ব্যবহার করছেন ভারতীয় বিজ্ঞানীরা।  সৌরযানের উপর বসানো রয়েছে একটি চাকতি, যাতে সূর্যরশ্মি আবদ্ধ হয়ে যাবে এবং ওই চাকতির মধ্যেই সূর্যের বহিরাবরণ ফুটে উঠবে, যা দেখে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো সম্ভব হবে। এই করোনাগ্রাফ না থাকলে সৌরযানের সেন্সর কাজ করবে না। এ বছরের গোড়ায় ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ অ্যাস্ট্রোফিজিক্স (IIA) ISRO-র হাতে নিজেদের তৈরি ভিজিবল লাইন এমিসন করোনাগ্রাফ (VELC) তুলে দেয়। সেটিই বসানো হয় Aditya-L1 সৌরযানে।

এবছর চন্দ্রযান-৩ অভিযানে অভাববনীয় সাফল্যের পর থেকে ISRO-র মহাকাশ অভিযানের কাজ আরও গতি পেয়েছে। ২০২৪-এ G-X অভিযান রয়েছে। গগনযান অভিযানে মানুষ পাঠানোর আগে G-X অভিযানে 'ব্য়োমমিত্রা' নামের যন্ত্রমানবীকে মহাকাশে পাঠানো হবে। ISRO-র ইন্টারশিয়াল সিস্টেমস ইউনিট-ই 'ব্য়োমমিত্রা'কে তৈরি করেছে বলে জানিয়েছেন সোমনাথ।

আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।

https://whatsapp.com/channel/0029VaCBCh6545uwkeNBg11y

Continues below advertisement
Sponsored Links by Taboola