ফাইনালে টস জিতলে আগে ব্যাটিং নিতে বলেছিলেন কুম্বলে, মানেননি কোহলি!
মুম্বই: আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে হার ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে বিরাট ধাক্কা ছিল। তার চেয়েও হয়ত বড় ধাক্কা কোচ হিসেবে অনিল কুম্বলের পদত্যাগ—যাকে ঘিরে ওঠে জোর বিতর্ক।
কানাঘুষো চলছিল যে, অধিনায়ক বিরাট কোহলির সঙ্গে কোচের না কি সম্পর্ক প্রায় আদা-কাঁচকলার। পদত্যাগের পর যাতে ঘৃতাহুতি দেন খোদ কুম্বলে। জানিয়ে দেন, অধিনায়কের তাঁর কোচিং স্টাইল ঠিক পছন্দ নয়।
সূত্রের খবর, কুম্বলে দলকে সেনাবাহিনীর মতো পরিচালনা করতেন বলে শোনা গিয়েছে। দলের কেউ কেউ আবার তাঁর এই শাসনের পদ্ধতিকে ‘স্বৈরাতান্ত্রিক’ বলে উল্লেখও করে থাকেন।
শোনা যায়, কেউ তাঁর নির্দেশ অমান্য করুক এটা একেবারে ‘জাম্বোর’ নাপসন্দ। যেমন, সব ক্রিকেটারদের কুম্বলে নির্দেশ দিয়েছিলেন, প্রতিদিন অন্তত ৫০টি ক্যাচ প্র্যাকটিস করতে।
কিন্তু, বহু ক্রিকেটার সেই কথা মানতেন না বলেই খবর। কোচের আরও নির্দেশ ছিল, জীবনধারা হতে হবে একেবারে শৃঙ্খলাবদ্ধ, ঠিক যেমনটা তিনি নিজে পালন করতেন।
কিন্তু, ভারতীয় দলের তরুণ প্রজন্ম সেই ধাঁচে বাঁধা পড়তে রাজি ছিলেন না। সেখান থেকেই কোচের বিরুদ্ধে অধিনায়ক থেকে শুরু করে দলের বিভিন্ন সদস্যের ‘জেহাদ’।
যা চরম আকার নেয় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। শোনা যায়, গোটা টুর্নামেন্টে একটা কথাও হয়নি কোচ-অধিনায়কের। শুধু তাই নয়। ফাইনাল ম্যাচের আগে কোচের নির্দেশ অমান্য করার অভিযোগও ওঠে কোহলির বিরুদ্ধে।
টিম সূত্রে খবর, অধিনায়কের প্রতি কুম্বলের নির্দেশ ছিল, টসে জিতলে যেন প্রথম ব্যাটিং নেওয়া হয়। কিন্তু, কোহলি তা মানেননি। তিনি ফিল্ডিং নেন। বাকিটা ইতিহাস।
বোর্ড সূত্রে খবর, এখানেই বিষয়টি থেমে থাকেনি। ফাইনালে বিপর্যয়ের পর, ড্রেসিং রুমে গোটা দলকে তীব্র তিরস্কার করেন কোচ। যা দলের সদস্যরা ভালভাবে নেননি।
এক সূত্র বলেন, শিক্ষক যেমন স্কুলের বাচ্চাদের ভালর জন্য তাদের বকাবকি করেন, ঠিক তেমনই করেছেন কুম্বলে। তিনি সবসময় দলের ভাল চেয়েছিলেন। কিন্তু, কুম্বলের এই আচরণে ক্ষুব্ধ হয় দল।
ফলে, অচিরেই নিজে থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন কোচ কুম্বলে।