Virat Kohli: বাবর মধ্যেই বিরাটের ব্যাটিংয়ের ছায়া দেখতে পান টম মুডি
Tom Moody On Virat And Babar: বিরাট এখন আর জাতীয় দলের অধিনায়ক নন। তবে বাবরের সামনে সুযোগ এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপে অধিনায়ক হিসেবে দলকে সাফল্য এনে দেওয়ার।
সিডনি: বিরাট কোহলি ও বাবর আজম। কে সেরা, কে কাকে টেক্কা দিচ্ছেন এই নিয়ে বিস্তর তর্ক-বিতর্ক চলবেই। বয়স ও অভিজ্ঞতায় বাবর অনেকটাই পিছিয়ে বিরাটের তুলনায়। তাই পাকিস্তান অধিনায়ক নিজে কখনও বিরাটের সঙ্গে তুলনা পছন্দে করেন না। তবে প্রাক্তন অজি তারকা ও কোচ টম মুডি বাবরের মধ্যে বিরাটের ছায়া দেখতে পাচ্ছেন। বিশেষ করে ৫০ ওভারের ফর্ম্য়াটে ২ জনেই সমকক্ষের প্লেয়ার বলে মনে করেন মুডি। এক সাক্ষাৎকারে প্রাক্তন অজি তারকা বলেন, ''আমি এটা অবশ্যই বলব যে বাবরের মধ্যে আমি বিরাটের ছায়া দেখতে পাই। ও যেমন শট খেলে। যেভাবে ব্য়াটিং করে তা পুরোটাই বিরাটের মত। পাকিস্তান দলের ব্যাটিং ডিপার্টমেন্টকে বাবর নেতৃত্ব দিচ্ছে, ঠিক যেভাবে গত এক দশকের ওপর বিরাট ভারতীয় দলের ব্যাটিং বিভাগকে দিয়ে এসেছে। এশিয়া কাপেও ২ জনেই একে অপরকে টেক্কা দেওয়ার ও চাপে রাখার চেষ্টা করবে, এমনটাই মনে হয় আমার। এই দুজনকে ব্যাটিং করতে দেখাটা সত্যিই দারুণ অভিজ্ঞতা।''
আসন্ন এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপে অধিনায়ক হিসেবে দেখা যাবে বাবর আজমকেই। পাক দলকে বাবর ভরসা জোগাবেন বলে আশাবাদী মুডি। তিনি বলেন, ''এশিয়ার যে কোনও দলের অধিনায়ক হওয়াটা সত্যিই খুব চ্যালেঞ্জের সবসময়। নজর সবসময় তোমার দিকে থাকে। কখন, কোন সিদ্ধান্ত নিলে। তাতে কী ফল হল, সব কিছু নিয়েই কাটাছেঁড়া চলে প্রতিমুহূর্তেই। বাবর প্রতি মুহূর্তে উন্নতি করছে। আর তাছাড়া এই পাকিস্তান শিবিরে যা অভিজ্ঞতা রয়েছে তা বাবরের কাজটা আরও সহজ করে দিয়েছে।''
উল্লেখ্য, ওয়ান ডে কেরিয়ারের বিরাট ২৭৫ ম্যাচ খেলেছেন এখনও পর্যন্ত। মোট ১২, ৭৯৮ রান করেছেন। সেঞ্চুরির সংখ্যা ৪৬। সর্বোচ্চ ১৮৩। ৫৭.৩২ গড়ে ব্য়াটিং করেছেন কিং কোহলি। চলতি বছরেও রান ঈর্ষণীয়। এখনও পর্যন্ত ১০টি ওয়ান ডে ম্যাচ খেলে মোট ৪২৭ রান করেছেন। গড় ৫৩.৩৭। ২টো সেঞ্চুরি করেছেন। সর্বোচ্চ অপরাজিত ১৬৬।
অন্যদিকে বাবর ১০২টি ওয়ান ডে খেলেছেন এখনও পর্যন্ত। ৫১৪২ রান করেছেন ৫৮.৪৩ গড়ে। সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন ১৮টি। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১৫৮। চলতি বছরে ওয়ান ডে-তে ১১টি ম্যাচ খেলে ৫৩৮ রান করেছেন। গড় ৪৮.৯০। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১০৭।
বিরাট এখন আর জাতীয় দলের অধিনায়ক নন। তবে বাবরের সামনে সুযোগ এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপে অধিনায়ক হিসেবে দলকে সাফল্য এনে দেওয়ার।