Bhuvneshwar Kumar: অবসর নিচ্ছেন ভুবনেশ্বর কুমার? ইনস্টাগ্রাম পোস্টে কীসের ইঙ্গিত?
Bhuvneshwar Kumar Update: চলতি বছর বিসিসিআইয়ের বার্ষিক চুক্তির আওতায়ও রাখা হয়নি তাঁকে। এবার নিজের ইনস্টাগ্রামের বায়ো থেকে 'ক্রিকেটার' শব্দটি সরিয়ে ফেললেন ডানহাতি এই তারকা পেসার।
লখনউ: গত বছর নভেম্বরে শেষবার জাতীয় দলের জার্সিতে খেলতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এই বছর আইপিএলে খেললেও নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। পারফরম্যান্স একদমই আশানুরুপ ছিল না। চলতি বছর বিসিসিআইয়ের বার্ষিক চুক্তির আওতায়ও রাখা হয়নি তাঁকে। এবার নিজের ইনস্টাগ্রামের বায়ো থেকে 'ক্রিকেটার' শব্দটি সরিয়ে ফেললেন ডানহাতি এই তারকা পেসার। ৩৩ বছরের পেসার এর আগে নিজের ইনস্টা বায়োতে 'ভারতীয় ক্রিকেটার' উল্লেখ করেছিলেন। তবে এখন ভুবির ইনস্টা বায়োতে আর তা দেখা যাচ্ছে না। তবে কি চুপিসারেই নিজের অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন উত্তরপ্রদেশের হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলা এই পেসার।
অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুবির এই বায়ো থেকে ক্রিকেটার শব্দটি সরিয়ে দেওয়ায় অবাক হয়েছেন। কেউ লিখেছেন, "এটাই জীবন। চুপিসারে অবসরের সিদ্ধান্ত।'' আবার কেউ লিখেছেন, ''ভুবি, আমি মনে করি তুমি খুব শক্তিশালী হয়ে কামব্যাক করবে। তোমার মধ্যে এখনও অনেক ক্রিকেট বাকি রয়েছে দেশের হয়ে খেলার জন্য।''
গত বছর নভেম্বরে কিউয়িদের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টিতে শেষবার জাতীয় দলের জার্সিতে খেলেছিলেন ভুবনেশ্বর কুমার। কিন্তু তারপর থেকেই দলের বাইরে তিনি। চোট আঘাত সমস্যাও নেই। গত বছর দেশের হয়ে টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে সর্বাধিক ৩৭ উইকেটও নিয়েছিলেন ভুবি। ২০১৮ সালের পর থেকে টেস্ট ফর্ম্যাটে ভুবিকে আর দেখা যায়নি। ওয়ান ডে ফর্ম্যাট থেকেও ধীরে ধীরে তাঁর জায়গা ফুরিয়েছে। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে শেষবার ওয়ান ডে ফর্ম্যাটে খেলেছেন। টি-টোয়েন্টিতে এবার জায়গা মিলছে না ভুবির স্কোয়াডে।
১০ বছরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কেরিয়ারে ভুবনেশ্বর টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে ভারতের হয়ে দ্বিতীয় সর্বাধিক উইকেট শিকারি। ৮৭ ম্যাচে ঝুলিতে পুরেছেন ৯০ উইকেট। চাহাল তাঁর আগে রয়েছেন ৯১ উইকেট নিয়ে। সর্বাধিক ১০ বার মেডেন ওভার দিয়েছেন। একমাত্র ভারতীয় বোলার যিনি টি-টোয়েন্টিতে ২ বার ইনিংসে পাঁচ বা তার বেশি উইকেট নিয়েছেন। টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভারতের হয়ে সবচেয়ে বেশি ২৯৮ ওভার বল করেছেন ভুবি।
সঞ্জুর জার্সি পরে মাঠে সূর্য, কেন?
ভারতের তারকা ব্যাটার জানিয়েছেন যে টিম ম্যানেজমেন্টের তরফে যে জার্সি তাঁকে দেওয়া হয়েছিল, তা মাপে ছোট হচ্ছিল। সূর্যকুমার লার্জ সাইজের জার্সি পরেন। তাঁকে দেওয়া হয়েছিল মিডিয়াম সাইজের। ফলে আপদকালীন পরিস্থিতিতে স্যামসনের জার্সি পরেই মাঠে নামতে হয়েছিল সূর্যকে। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী জার্সির পেছনে নম্বর ও নামের জায়গাতে কোনও ট্যাপ লাগাতে পারবেন না কোনও প্লেয়ার। ফলে সূর্যর কোনও উপায় ছিল না স্যামসনের নাম লেখা জার্সি পরা ছাড়া।