Match Fixing: বিতর্ক পিছুই ছাড়ছে না, এবার বিপিএলের আট ম্যাচে গড়াপেটার অভিযোগ উঠল
Bangladesh Match-Fixing Allegation: খবর অনুযায়ী বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ১০ জন ক্রিকেটারের বিষয়ে তদন্ত করছে।

ঢাকা: বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ বহুদিন ধরেই চলছে। তবে না না অব্যবস্থার জন্য খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে এই বিপিএল। কখনও খেলোয়াড়দের বেতন না দেওয়া, আবার কখনও তাদের হোটেল ছাড়তে বলা, কিছু না কিছু নিয়ে বিতর্ক লেগেই রয়েছে। এবার ম্যাচ গড়াপেটারও অভিযোগ উঠ আসছে।
খবর অনুযায়ী অজ্ঞাত পরিচয় জায়গা থেকে টিপস পাওয়ার পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (Bangladesh Cricket Board) দুর্নীতি দমন কমিটি বিপিএলের আটটি ম্যাচ পর্যবেক্ষণ করে। এই পর্যবেক্ষণে ১০ জনের বিরুদ্ধে সন্দেহ তৈরি হয়। এই ক্রিকেটারদের ওপর কড়া নজর রাখা হয়েছে। যা শোনা যাচ্ছে তাতে এই ১০ জনের ছয়জন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ক্রিকেটার। দুইজন এখনও আনক্যাপড, অর্থাৎ জাতীয় দলে এখনও সুযোগ পাননি এবং বাকি দুইজন হলেন বিদেশি ক্রিকেটার।
এ বিষয়ে বিসিবি সভাপতি ফারুখ আমেদ বলেন, 'এই বিষয়ে একটা নিয়মনীতি তো মেনে চলতে হয়, তাই আমি সরকারিভাবি কোনও বিবৃতি এই বিষয়ে দিতে পারি না। গোটা টুর্নামেন্ট জুড়ে যা যা হয়েছে, সেই বিষয়গুলি নোট করা হয়েছে এবং তারপরেই তদন্ত করা হবে। যদি এই তদন্তের সময় কিছু সামনে উঠে আসে, তাহলে এর জন্য যে কড়া শাস্তি রয়েছে, তা সবাই জানে। আমি যদি অপরাধের প্রমাণ পাই, তাহলে ওদের জীবন কিন্তু সম্পূর্ণ বদলে যাবে, আমি কাউকে ছাড়ব না। এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে যাতে সবার জন্য সেটা একটা উদাহরণ তৈরি করে।'
প্রসঙ্গত, বিপিএলে গড়াপেটার অভিযোগ কিন্তু এই প্রথমবার নয়, এর আগেও উঠেছে। ২০১২ সালে স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ উঠেছিল। ফের একবার এমন অভিযোগ ওঠায় যে বিতর্ক বাড়ল, তা বলাই বাহুল্য।
বিরাটের বেতন
অতীতে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলা খেলোয়াড়দের বেতন নিয়ে তর্ক বিতর্ক ছিল। তবে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বিসিসিআইয়ের শীর্ষে থাকাকালীনই ঘরোয়া ক্রিকেটে ম্যাচ পিছু বেতন বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেছিলেন তিনি। সেই অনুযায়ী পরিস্থিতি আগের থেকে অনেকটাই উন্নত হয়েছে বলে মনে করেন অনেকেই। খেলোয়াড়দের রঞ্জি ট্রফির (Ranji Trophy) জন্য ম্যাচপিছু আয় নির্ভর করে তাঁদের অভিজ্ঞতা এবং কোনও ক্রিকেটার কতগুলি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন তার ওপর।
৪০-র অধিক প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলা ক্রিকেটার প্রতিদিন পিছু ৬০ হাজার টাকা পান। ম্যাচের সংখ্যাটা ২১ থেকে ৪০-র মধ্যে থাকলে বেতন কমে দাঁড়াল ৫০ হাজার। আর যারা ২০-রও কম ম্যাচ খেলেছেন, সেইসব ক্রিকেটাররা প্রতিদিন রঞ্জি খেলার জন্য ২০ হাজার টাকা বেতন পান। যেসব ক্রিকেটাররা একাদশে সুযোগ পাননি, তাঁরা তাঁদের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকার মধ্যে পান। বিরাট কোহলি মাত্র ২৩টি রঞ্জি ট্রফির ম্যাচ খেলেছেন। তবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তাঁর এখনও পর্যন্ত ১৪০টি ম্যাচ খেলা হয়ে গিয়েছে। ফলে সর্বোচ্চ বেতন স্তরেই তিনি পড়বেন।
আরও পড়ুন: পুণেতে ব্যাট হাতে দুরন্ত ইনিংস খেললেন, ম্যাচ শেষে নিজের কর্মকাণ্ডেও মন জিতলেন হার্দিক
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
