Nitish Reddy: থাকা-খাওয়ার বন্দোবস্ত করেছিল অ্য়াকাডেমিই, নীতীশের 'নায়ক' হওয়ার নেপথ্যের গল্প জানেন?
IND vs AUS 4th Test: ২১ বছরের এই তরুণের লড়াইয়ের সামনে বেশ নিষ্প্রভ মনে হচ্ছিল স্টার্ক-কামিন্সদের। কিন্তু আজকের নীতীশের এই জায়গায় পৌঁছানোর গল্পটা কিন্তু আরও বেশি আবেগপ্রবণ।
মেলবোর্ন: এই মুহূর্তে ভারতের সব ক্রিকেটপ্রেমীদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন নীতীশ কুমার রেড্ডি (Nitish Kumar Reddy)। মেলবোর্ন টেস্টে ভারতের ত্রাতা হয়ে দাঁড়িয়েছেন প্রথম ইনিংসে দুরন্ত শতরান হাঁকিয়েছেন। ফলো অন বাঁচিয়েছেন। শনিবার মেলবোর্নের নীতীশের সেলিব্রেশন, তাঁর বাবার আনন্দ অশ্রু গ্যালারিতে, এমন অনেক টুকরো টুকরো মুহূর্ত তৈরি হয়েছে। ২১ বছরের এই তরুণের লড়াইয়ের সামনে বেশ নিষ্প্রভ মনে হচ্ছিল স্টার্ক-কামিন্সদের। কিন্তু আজকের নীতীশের এই জায়গায় পৌঁছানোর গল্পটা কিন্তু আরও বেশি আবেগপ্রবণ। বাবা মুতিয়ালা রেড্ডি নিজের চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলেন। ছেলের জন্য অনেক শখ বিসর্জন দিয়েছেন। কিন্তু নীতীশের মেলবোর্নে সাফল্য়ের পেছনে বিরাট অবদান রয়েছে অন্ধ্র প্রদেশ ক্রিকেট বোর্ডেরও।
প্রাক্তন নির্বাচক প্রধান এম এস কে প্রসাদ নীতীশের সাফল্যে বেশ আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছেন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি নীতীশের সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে ফিরে গেলেন ১০ বছর আগে। তিনি বলছেন, ''২০১৩-১৪ সাল হবে। আমি তখন অন্ধ্রপ্রদেশ ক্রিকেট অ্য়াসোসিয়েশনের ডিরেক্টর ছিলাম। সে সময় আমরা রেসিডেন্সিয়াল অ্য়াকাডেমি শুরু করেছিল অন্ধ্রপ্রদেশ ক্রিকেট বোর্ড। লক্ষ্য ছিল বাচ্চাদের বাছাই করে এনে তাঁদের থাকা, খাওয়া, পড়াশুনো ও অনুশীলনের সব বন্দোবস্ত করা ও তাকে গড়ে তোলা। নীতীশের বাবা সে সময় আমাদের কাছে এসেছিলেন, বলেছিলেন যে তাঁর কিছু সমস্যা চলছে। সেই সময় অনূর্ধ্ব ১৪ শিবিরের জন্য নীতীশকে আমরা বেছে নিয়েছিলাম। ওকে নেটে কিছুক্ষণ দেখার পরই মনে হয়েছিল যে নীতীশের মধ্যে বড় ক্রিকেটার হওয়ার ক্ষমতা রয়েছে।'' অনূর্ধ্ব ১৬, অনূর্ধ্ব ১৯ পর্যায়ের অ্যাকাডেমিতে থেকে খেলেছেন নীতীশ। আর চলতি বছর টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দুটো ফর্ম্য়াটেই দেশের জার্সিতে অভিষেক হয়েছে নীতীশের। মেলবোর্নে শতরানের পরই অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার নীতীশের জন্য় ২৫ লক্ষ টাকা আর্থিক পুরষ্কার ঘোষণা করেছে।
নীতীশের কাছে এটা শুধু সেলিব্রেশন ছিল না। বাবা সহ গোটা পরিবারকে গর্বিত করার মুহূর্ত ছিল। বাবাকে স্ট্যান্ডে বসে কাঁদতে দেখে নীতীশ নিজেও আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন। তাঁর কথায়, 'আমি দেখলাম বাবা কাঁদছে। আমি বাবাকে গর্বিত করার স্বপ্ন দেখতাম।' সিরাজও ক্রিজে টিকে থেকে তাঁকে উৎসাহ জুগিয়েছেন বলে জানান নীতীশ। বলেন, 'সিরাজের মানসিকতাই ছিল এরকম যে, তুমি খেলে যায়, আমি সামলে দেব। এতে আমি খুব উদ্বুদ্ধ হয়েছিলাম। আমি খুব খুশি হয়েছিলাম।'